সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
১. রাইস ব্র্যান তেল রপ্তানির ওপর নতুন করে ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে
২. বাজারে এ মুহূর্তে সহজে মিলছে না সয়াবিন ও পাম ওয়েল
৩. রাইস ব্র্যান রফতানির ওপর করারোপ মূলত রমজান সামনে রেখে তেলটিকে বাজারে আনা
৪. এ মুহূর্তে বাজারে মিলছে না রাইস ব্র্যান
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) স্থানীয় বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিত ও দাম স্থিতিশীল রাখতে অপরিশোধিত ও পরিশোধিত রাইস ব্র্যান তেল রপ্তানির ওপর নতুন করে ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রক শুল্ক আরোপ করেছে। রোববার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে কর প্রশাসন।

এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) এনবিআরের কাছে রাইস ব্র্যান তেল রপ্তানির ওপর শুল্ক আরোপের আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল।
বর্তমানে ভোজ্য তেলের বাজার অস্থির। মিলছে না প্রয়োজনীয় ভোজ্য তেল। বেশিরভাগ ভোজ্য তেল পরিশোধকর মুাদি দোকানে সরবরাহ কমিয়ে
অনেক পরিবেশক অভিযোগ অনুযায়ী মজুদকৃত তেল উচ্চ মূল্যে বিক্রি করেছে। অন্যদিকে, কিছু মুদি দোকানকে-অনুমোদিত মূল্যের চেয়ে বেশি, প্রতি লিটার ১৯০-২১০ টাকা মূল্যে নকল পণ্য বিক্রি করছে, যা সরকার-নির্ধারিত ১৭৫ টাকা প্রতি লিটারের চেয়ে বেশি।
সয়াবিন তেলের পাশাপাশি পাম তেলের দামও লিটারে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে, ঢাকার বাজারে খোলা তেল বিক্রেতারা এটি ১৭৫-১৮৫ টাকা প্রতি লিটার বিক্রি করছে।

উল্লখ্যে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর বড় ধরনের কর রেহাই ঘোষণা করেছিল, যার মধ্যে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত ভোজ্য তেল যেমন সূর্যমুখী, ক্যানোলা, সয়াবিন এবং পাম তেলের আমদানি শুল্ক, নিয়ন্ত্রক শুল্ক এবং অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এই কর রেহাই মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
বর্তমানে বাজারে রাইস ব্র্যান তেল এক প্রকার সরবরাহ নেই বললেই চলে। এমত অবস্থায় সরকার রফতানির ওপর এই কর ধার্য করলো । উদ্দেশ্য আগামী রমজান সামনে রেখে রাইস ব্র্যানকে বাজারে আনার জন্যে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
Sarakhon Report 
















