১১:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
নিজের জীবনের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে লিখলেন উপন্যাস ‘দ্য সিস্টার্স’ হিউএনচাঙ (পর্ব-১৩৩) কলম্বিয়ার সংবিধান পরিবর্তনের উদ্যোগ সাকিব ও মাশরাফি ছাড়া পারফরম্যান্স, শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজের পর পথ কি? রাষ্ট্রে কখন ও কেন সংখ্যালঘুরা সংগঠিত ধর্ষণের শিকার হয় গ্রামীণ গর্ভবতী নারীদের আয়রন ঘাটতি: অর্ধেকের বেশি রক্তস্বল্পতায় আরব আমিরাত, মরুভূমি শহরে ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মুরাদনগরে সংখ্যালঘু নারী ধর্ষণ: ‘এরপর সরকার ক্ষমতায় থাকার যোগ্য নয়’—জাপা চেয়ারম্যান ইরান ও পাকিস্তান থেকে আফগানদের গণনির্বাসনে উদ্বেগ স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্যে নতুন নিষেধাজ্ঞা ভারতের, প্রভাব কেমন হবে

বেক্সিমকোর কর্মচারীদের বকেয়া মেটাতে ব্যাংক থেকে ৬’শ কোটি টাকা দেবে সরকার

  • Sarakhon Report
  • ০৩:৪৪:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 14

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • বেক্সিমকো গ্রুপ বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে মোট ৪০,০০০ কোটি টাকারও বেশি ঋণী
  • শেয়ার বিক্রয়ের প্রচেষ্টা দ্রুত শেষ না হওয়ার কারণে সরাসরি ফান্ডের ব্যবস্থা নেওয়া হবে
  • পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত ছিল আজকের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করা, তবে সময়সীমা ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে
  • ৩২টি টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল সহযোগী প্রতিষ্ঠান ২৮,৫৪৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যার ১৬টি কাগজে বিদ্যমান মাত্র
  • সরকারের এই পদক্ষেপটি বেক্সিমকো গ্রুপের চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ও সেবাসুবিধা দ্রুত প্রদান নিশ্চিত করার জন্য অপরিহার্য

সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বাংলাদেশের বেক্সিমকো গ্রুপের ১৬টি টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট ইউনিটে চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ও সেবাসুবিধা পরিশোধের জন্য ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। পূর্বে শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে এই তহবিলের উৎস নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল, তবে তা স্বল্প সময়ের মধ্যে কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।

প্রেক্ষাপট

  • চাকরিচ্যুত কর্মচারী সংখ্যা: ২৭,০০০ জন
  • প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য: চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ও সেবাসুবিধা সময়মত প্রদান।
  • পূর্বের পরিকল্পনা: লাভজনক ইউনিটগুলির শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা, যা দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।

সরকারের সিদ্ধান্ত

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান জানিয়েছেন,

  • কার্যক্রমের সময়সীমা: পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত ছিল আজকের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করা, তবে সময়সীমা ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
  • সরাসরি ফান্ড: শেয়ার বিক্রয়ের প্রচেষ্টা দ্রুত শেষ না হওয়ার কারণে সরাসরি ফান্ডের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • ঋণের বিকল্প: প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণও বিবেচনায় আছে।

শেয়ার বিক্রির জটিলতা ও ব্যাংক ঋণ

  • শেয়ার বিক্রয়ের সমস্যা: বেক্সিমকো মালিকদের শেয়ার বিক্রয়ের বিষয়ে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকায় এই পথটি দ্রুত সফল করা কঠিন।
  • মোট ঋণের পরিমাণ: বেক্সিমকো গ্রুপ বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে মোট ৪০,০০০ কোটি টাকারও বেশি ঋণী।
  • অংশীদারী প্রতিষ্ঠান: ৩২টি টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল সহযোগী প্রতিষ্ঠান ২৮,৫৪৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যার ১৬টি কাগজে বিদ্যমান মাত্র।

ব্যাংকের ঋণের অবস্থা

বেক্সিমকো গ্রুপের উল্লেখযোগ্য ব্যাংক ঋণের বিস্তারিত নিম্নে দেয়া হলো:

  • জনতা ব্যাংক: ২৩,২৮৫ কোটি টাকা
  • সোনালী ব্যাংক: ১,৪২৪ কোটি টাকা
  • আগ্রনী ব্যাংক: ৪২০ কোটি টাকা
  • রূপালী ব্যাংক: ৯৮৭ কোটি টাকা
  • ন্যাশনাল ব্যাংক: ৩১৫ কোটি টাকা

  • ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক: ৩৩৩ কোটি টাকা
  • এবি ব্যাংক: ৯৩৮ কোটি টাকা
  • এক্সিম ব্যাংক: ৪৯৭ কোটি টাকা
  • গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক: ৬১ কোটি টাকা
  • ডাচ বাংলা ব্যাংক: ৯৪ কোটি টাকা
  • আইএফআইসি ব্যাংক: ৭৮ কোটি টাকা
  • বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড: প্রায় ৮৭ কোটি টাকা

উপসংহার

সরকারের এই পদক্ষেপটি বেক্সিমকো গ্রুপের চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ও সেবাসুবিধা দ্রুত প্রদান নিশ্চিত করার জন্য অপরিহার্য। শেয়ার বিক্রয়ের প্রচেষ্টা চালু থাকলেও, স্বল্প সময়ে বকেয়া পরিশোধের জন্য সরাসরি ফান্ডের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যা প্রয়োজনে ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে।

নিজের জীবনের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে লিখলেন উপন্যাস ‘দ্য সিস্টার্স’

বেক্সিমকোর কর্মচারীদের বকেয়া মেটাতে ব্যাংক থেকে ৬’শ কোটি টাকা দেবে সরকার

০৩:৪৪:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • বেক্সিমকো গ্রুপ বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে মোট ৪০,০০০ কোটি টাকারও বেশি ঋণী
  • শেয়ার বিক্রয়ের প্রচেষ্টা দ্রুত শেষ না হওয়ার কারণে সরাসরি ফান্ডের ব্যবস্থা নেওয়া হবে
  • পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত ছিল আজকের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করা, তবে সময়সীমা ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে
  • ৩২টি টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল সহযোগী প্রতিষ্ঠান ২৮,৫৪৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যার ১৬টি কাগজে বিদ্যমান মাত্র
  • সরকারের এই পদক্ষেপটি বেক্সিমকো গ্রুপের চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ও সেবাসুবিধা দ্রুত প্রদান নিশ্চিত করার জন্য অপরিহার্য

সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বাংলাদেশের বেক্সিমকো গ্রুপের ১৬টি টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট ইউনিটে চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ও সেবাসুবিধা পরিশোধের জন্য ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। পূর্বে শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে এই তহবিলের উৎস নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল, তবে তা স্বল্প সময়ের মধ্যে কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।

প্রেক্ষাপট

  • চাকরিচ্যুত কর্মচারী সংখ্যা: ২৭,০০০ জন
  • প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য: চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ও সেবাসুবিধা সময়মত প্রদান।
  • পূর্বের পরিকল্পনা: লাভজনক ইউনিটগুলির শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা, যা দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।

সরকারের সিদ্ধান্ত

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান জানিয়েছেন,

  • কার্যক্রমের সময়সীমা: পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত ছিল আজকের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করা, তবে সময়সীমা ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
  • সরাসরি ফান্ড: শেয়ার বিক্রয়ের প্রচেষ্টা দ্রুত শেষ না হওয়ার কারণে সরাসরি ফান্ডের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • ঋণের বিকল্প: প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণও বিবেচনায় আছে।

শেয়ার বিক্রির জটিলতা ও ব্যাংক ঋণ

  • শেয়ার বিক্রয়ের সমস্যা: বেক্সিমকো মালিকদের শেয়ার বিক্রয়ের বিষয়ে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকায় এই পথটি দ্রুত সফল করা কঠিন।
  • মোট ঋণের পরিমাণ: বেক্সিমকো গ্রুপ বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে মোট ৪০,০০০ কোটি টাকারও বেশি ঋণী।
  • অংশীদারী প্রতিষ্ঠান: ৩২টি টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল সহযোগী প্রতিষ্ঠান ২৮,৫৪৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যার ১৬টি কাগজে বিদ্যমান মাত্র।

ব্যাংকের ঋণের অবস্থা

বেক্সিমকো গ্রুপের উল্লেখযোগ্য ব্যাংক ঋণের বিস্তারিত নিম্নে দেয়া হলো:

  • জনতা ব্যাংক: ২৩,২৮৫ কোটি টাকা
  • সোনালী ব্যাংক: ১,৪২৪ কোটি টাকা
  • আগ্রনী ব্যাংক: ৪২০ কোটি টাকা
  • রূপালী ব্যাংক: ৯৮৭ কোটি টাকা
  • ন্যাশনাল ব্যাংক: ৩১৫ কোটি টাকা

  • ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক: ৩৩৩ কোটি টাকা
  • এবি ব্যাংক: ৯৩৮ কোটি টাকা
  • এক্সিম ব্যাংক: ৪৯৭ কোটি টাকা
  • গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক: ৬১ কোটি টাকা
  • ডাচ বাংলা ব্যাংক: ৯৪ কোটি টাকা
  • আইএফআইসি ব্যাংক: ৭৮ কোটি টাকা
  • বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড: প্রায় ৮৭ কোটি টাকা

উপসংহার

সরকারের এই পদক্ষেপটি বেক্সিমকো গ্রুপের চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ও সেবাসুবিধা দ্রুত প্রদান নিশ্চিত করার জন্য অপরিহার্য। শেয়ার বিক্রয়ের প্রচেষ্টা চালু থাকলেও, স্বল্প সময়ে বকেয়া পরিশোধের জন্য সরাসরি ফান্ডের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যা প্রয়োজনে ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে।