০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

কৃষিতে রূপান্তরের মডেল এখন চীনের সবজি-রাজধানী শৌকুয়াং

  • Sarakhon Report
  • ০৬:৩৭:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 18

ফেব্রুয়ারি ২০, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: চীনের সবজির রাজধানী বলা হয় শানতোং প্রদেশের শৌকুয়াং সিটিকে। আধুনিক পদ্ধতির ব্যবহার করে সেখানকার সবজি উৎপাদনকারীরা ফলাচ্ছেন উচ্চমানের সুস্বাদু সব সবজি। সবজি উৎপাদনে তারা একদিকে যেমন পরিবেশের কথা মাথায় রাখছেন, তেমনি স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাড়াচ্ছেন ফলন, তৈরি করছেন উন্নত জাতের বীজ। আর এতে করে কৃষিতে রূপান্তরের মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শৌকুয়াং সিটি। এখানে স্মার্ট প্রযুক্তিতে উৎপাদনের মাধ্যমে উচ্চমানের সবজি ফলানো হচ্ছে, যা স্বাস্থ্যকর ও পরিবেশবান্ধব।

চীনের সবচেয়ে বড় সবজি উৎপাদন এবং পাইকারি বাজারও শৌকুয়াংয়ে। এখানকারই একটি গ্রিনহাউসে চমৎকার সুস্বাদু লাল চেরি টমেটো বেড়ে উঠছে একদম নিশ্চিন্তে।

স্থানীয় এক সবজি চাষি বললেন, ‘এখন আমরা দিনে ১৫০ থেকে ২০০ কেজি চেরি টমেটো সংগ্রহ করছি। পাতাগুলো দেখুন, আগের তুলনায় ভালো। পাতা আরও সবুজ এবং কীটপতঙ্গ ও রোগের সংখ্যাও কম।’

এখন শৌকুয়াংয়ের সবজি চীনের সব জায়গায় ব্যাপক চাহিদার সৃষ্টি করলেও আগে বিদেশি জাতের তুলনায় এগুলো পিছিয়েই ছিল।

শৌকুয়াং ভেজিটেবল হাই-টেক ডেমোনস্ট্রেশন পার্কের চাষাবাদ প্রযুক্তিবিদ লি সি‌শি জানালেণ, ‘আগে উচ্চ বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহার করা হতো। এখন আমরা কম কীটনাশক ব্যবহার করছি, যেগুলোর কোনো চিহ্ন ফসলে থাকে না। পাশাপাশি জৈবিক পদ্ধতিতে কীট নিয়ন্ত্রণ এবং জৈব সারের ব্যবহারও বাড়ানো হচ্ছে।’

শৌকুয়াংয়ের গ্রিনহাউসগুলোতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি গ্রিনহাউসে তাপমাত্রা থেকে শুরু করে গাছের শিকড়ের শোষণ প্রক্রিয়াও রিয়েল-টাইমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

২০১০ সাল থেকে, শহরটি সবজি বীজের গবেষণা ও উন্নয়নে মনোযোগ দিয়েছে। এতে চাষের খরচ কমানো এবং আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমানো সম্ভব হয়েছে।

লি সি‌শি আরও জানালেন, ‘শৌকুয়াংয়ে ব্যবহৃত ৭০ শতাংশের বেশি বীজ আমাদের মেধাস্বত্বের আওতাধীন। এটি দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি জাতের ওপর নির্ভরশীলতার সমস্যার সমাধান করেছে।’

ফয়সল/নাহার

কৃষিতে রূপান্তরের মডেল এখন চীনের সবজি-রাজধানী শৌকুয়াং

০৬:৩৭:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ফেব্রুয়ারি ২০, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: চীনের সবজির রাজধানী বলা হয় শানতোং প্রদেশের শৌকুয়াং সিটিকে। আধুনিক পদ্ধতির ব্যবহার করে সেখানকার সবজি উৎপাদনকারীরা ফলাচ্ছেন উচ্চমানের সুস্বাদু সব সবজি। সবজি উৎপাদনে তারা একদিকে যেমন পরিবেশের কথা মাথায় রাখছেন, তেমনি স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাড়াচ্ছেন ফলন, তৈরি করছেন উন্নত জাতের বীজ। আর এতে করে কৃষিতে রূপান্তরের মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শৌকুয়াং সিটি। এখানে স্মার্ট প্রযুক্তিতে উৎপাদনের মাধ্যমে উচ্চমানের সবজি ফলানো হচ্ছে, যা স্বাস্থ্যকর ও পরিবেশবান্ধব।

চীনের সবচেয়ে বড় সবজি উৎপাদন এবং পাইকারি বাজারও শৌকুয়াংয়ে। এখানকারই একটি গ্রিনহাউসে চমৎকার সুস্বাদু লাল চেরি টমেটো বেড়ে উঠছে একদম নিশ্চিন্তে।

স্থানীয় এক সবজি চাষি বললেন, ‘এখন আমরা দিনে ১৫০ থেকে ২০০ কেজি চেরি টমেটো সংগ্রহ করছি। পাতাগুলো দেখুন, আগের তুলনায় ভালো। পাতা আরও সবুজ এবং কীটপতঙ্গ ও রোগের সংখ্যাও কম।’

এখন শৌকুয়াংয়ের সবজি চীনের সব জায়গায় ব্যাপক চাহিদার সৃষ্টি করলেও আগে বিদেশি জাতের তুলনায় এগুলো পিছিয়েই ছিল।

শৌকুয়াং ভেজিটেবল হাই-টেক ডেমোনস্ট্রেশন পার্কের চাষাবাদ প্রযুক্তিবিদ লি সি‌শি জানালেণ, ‘আগে উচ্চ বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহার করা হতো। এখন আমরা কম কীটনাশক ব্যবহার করছি, যেগুলোর কোনো চিহ্ন ফসলে থাকে না। পাশাপাশি জৈবিক পদ্ধতিতে কীট নিয়ন্ত্রণ এবং জৈব সারের ব্যবহারও বাড়ানো হচ্ছে।’

শৌকুয়াংয়ের গ্রিনহাউসগুলোতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি গ্রিনহাউসে তাপমাত্রা থেকে শুরু করে গাছের শিকড়ের শোষণ প্রক্রিয়াও রিয়েল-টাইমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

২০১০ সাল থেকে, শহরটি সবজি বীজের গবেষণা ও উন্নয়নে মনোযোগ দিয়েছে। এতে চাষের খরচ কমানো এবং আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমানো সম্ভব হয়েছে।

লি সি‌শি আরও জানালেন, ‘শৌকুয়াংয়ে ব্যবহৃত ৭০ শতাংশের বেশি বীজ আমাদের মেধাস্বত্বের আওতাধীন। এটি দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি জাতের ওপর নির্ভরশীলতার সমস্যার সমাধান করেছে।’

ফয়সল/নাহার