বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে টানা মন্দার ধারা অব্যাহত রয়েছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার, ঢাকা ও চট্টগ্রাম উভয় স্টক এক্সচেঞ্জেই সূচক লাল চিহ্নে বন্ধ হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৮ পয়েন্ট কমেছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ৫ পয়েন্ট হারিয়েছে, আর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ অপরিবর্তিত রয়েছে।
লেনদেনে ধীরগতি, বেশিরভাগ শেয়ারের দরপতন
বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমে গেছে। মোট ২৫১ কোম্পানির দরপতন হয়েছে, ১০২টির দাম বেড়েছে এবং ৩৭টির কোনো পরিবর্তন হয়নি।
সব শ্রেণির (এ, বি ও জেড) শেয়ারেই পতন লক্ষ্য করা গেছে। এ-শ্রেণির কোম্পানিগুলোর মধ্যে—যারা নিয়মিত লভ্যাংশ প্রদান করে—১২৭টির শেয়ারদর কমেছে, ৬৩টির বেড়েছে এবং ২৪টির অপরিবর্তিত ছিল।
লেনদেনের পরিমাণও কমে দাঁড়িয়েছে ৪১৯ কোটি টাকায়, যা আগের কার্যদিবসের ৪৮৫ কোটি টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
ব্লক মার্কেটে ২৩ কোম্পানির মোট ১৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে খান ব্রাদার্স পিপি উভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ছিল শীর্ষে, ৪ কোটি টাকার লেনদেন নিয়ে।
সিমটেক্স শীর্ষে, ফাস ফাইন্যান্স বড় ক্ষতিগ্রস্ত
দিনের সর্বোচ্চ মুনাফাকারী কোম্পানি ছিল সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি, যার শেয়ারমূল্য বেড়েছে ৮ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে, ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ারদর ১০ শতাংশেরও বেশি কমে দিনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।
একই প্রবণতা দেখা গেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সিএসইর প্রধান সূচক কাসপি ৭০ পয়েন্ট কমে বন্ধ হয়।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৯৭টি কোম্পানির দাম কমেছে, ৪৯টির বেড়েছে এবং ১৩টির কোনো পরিবর্তন হয়নি। বন্দরনগরীর বোরসায় মোট লেনদেনও কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি টাকায়, যা আগের দিনের ২৪ কোটি টাকার তুলনায় প্রায় অর্ধেক।
সিএসইতে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ারমূল্য বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি, যা দিনের শীর্ষ গেইনার। অন্যদিকে, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালস লিমিটেডের শেয়ারদর ১০ শতাংশ কমে দিনের সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিতে পরিণত হয়।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















