১১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৬৪) ক্ষমতার নৃত্য: ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস বলরুম প্রকল্পে দানের আড়ালে ব্যবসায়িক স্বার্থের খেলা জোহরান মামদানির সিরিয়ান স্ত্রী রামা দুয়াজি সম্পর্কে এই বিষয়গুলো কি জানেন? পুঁজিবাজারে পতনের ধারা অব্যাহত: সপ্তাহ শেষে ডিএসই ও সিএসই লাল সূচকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যু সংবিধান উপেক্ষা করে গণভোটের তাড়াহুড়ো জনমনে সন্দেহ জাগাচ্ছে: আমীর খসরু শেয়ারবাজারে পতন: সপ্তাহ শেষে লাল সংকেতে ডিএসই ও সিএসই ব্যাংক একীভূতকরণে বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভ: পদত্যাগ দাবি ও আন্দোলনের হুঁশিয়ারি নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও ধর্মনিরপেক্ষতা নিশ্চিতের আহ্বান হিন্দু মহাজোটের সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণন: গাজা পুনর্গঠন ও শান্তি আলোচনায় বাস্তব পদক্ষেপ চাইলেন

শেয়ারবাজারে পতন: সপ্তাহ শেষে লাল সংকেতে ডিএসই ও সিএসই

সপ্তাহজুড়ে পতনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বৃহস্পতিবার দেশের দুই প্রধান শেয়ারবাজার—ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)—সপ্তাহ শেষ করেছে সূচক পতনের মধ্য দিয়ে।


প্রধান সূচকগুলোর পতন

বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স (DSEX) ১৮ পয়েন্ট কমেছে, শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস (DSES) ৫ পয়েন্ট হারিয়েছে। তবে ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ (DS30) অপরিবর্তিত ছিল।


বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদাম কমেছে

দিনের লেনদেনে মোট ৩৯০টি কোম্পানির মধ্যে ২৫১টির শেয়ারদাম কমেছে, ১০২টি বেড়েছে এবং ৩৭টি অপরিবর্তিত ছিল।
সব ক্যাটাগরিতেই—A, B ও Z—শেয়ারদামে পতন লক্ষ্য করা গেছে।
এর মধ্যে A-ক্যাটাগরির (যেসব কোম্পানি নিয়মিত উচ্চ লভ্যাংশ দেয়) ১২৭টি প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে, ৬৩টির বেড়েছে এবং ২৪টির কোনো পরিবর্তন হয়নি।


লেনদেনের পরিমাণ কমেছে

ডিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪১৯ কোটি টাকা, যা আগের সেশনের ৪৮৫ কোটি টাকার তুলনায় কম।
ব্লক মার্কেটে ২৩টি কোম্পানির শেয়ার ১৩ কোটি টাকায় লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে খান ব্রাদার্স পিপি উভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড একাই ৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন করে শীর্ষে ছিল।


শীর্ষ লাভবান ও ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানি

ডিএসইতে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি দিনের সর্বোচ্চ ৮ শতাংশের বেশি দাম বাড়িয়ে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে।
অন্যদিকে, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ারদাম ১০ শতাংশের বেশি কমে দিনের সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।


সিএসইতেও একই ধারা

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) পতনের ধারা বজায় ছিল।
সিএসইর প্রধান সূচক ক্যাসপি (CASPI) সূচক ৭০ পয়েন্ট কমেছে।
সিএসইতে মোট ১৫৯টি কোম্পানির মধ্যে ৯৭টির দাম কমেছে, ৪৯টির বেড়েছে এবং ১৩টির কোনো পরিবর্তন হয়নি।
সিএসইর দৈনিক লেনদেনও কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি টাকায়, যা আগের সেশনের ২৪ কোটি টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।


সিএসইর শীর্ষ লাভবান ও ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান

সিএসইতে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ারদাম ৯ শতাংশের বেশি বেড়ে শীর্ষ অবস্থানে ছিল।
অন্যদিকে, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালস্‌ লিমিটেডের দাম ১০ শতাংশ কমে দিনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।

সপ্তাহজুড়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা ও বাজারের চাপের কারণে দুই শেয়ারবাজারেই লেনদেনের পরিমাণ ও সূচকে পতন লক্ষ্য করা গেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের নতুন করে আস্থা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।

#শেয়ারবাজারে_পতন #ডিএসই #সিএসই #অর্থনীতি

জনপ্রিয় সংবাদ

মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৬৪)

শেয়ারবাজারে পতন: সপ্তাহ শেষে লাল সংকেতে ডিএসই ও সিএসই

০৮:৩৯:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

সপ্তাহজুড়ে পতনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বৃহস্পতিবার দেশের দুই প্রধান শেয়ারবাজার—ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)—সপ্তাহ শেষ করেছে সূচক পতনের মধ্য দিয়ে।


প্রধান সূচকগুলোর পতন

বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স (DSEX) ১৮ পয়েন্ট কমেছে, শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস (DSES) ৫ পয়েন্ট হারিয়েছে। তবে ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ (DS30) অপরিবর্তিত ছিল।


বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদাম কমেছে

দিনের লেনদেনে মোট ৩৯০টি কোম্পানির মধ্যে ২৫১টির শেয়ারদাম কমেছে, ১০২টি বেড়েছে এবং ৩৭টি অপরিবর্তিত ছিল।
সব ক্যাটাগরিতেই—A, B ও Z—শেয়ারদামে পতন লক্ষ্য করা গেছে।
এর মধ্যে A-ক্যাটাগরির (যেসব কোম্পানি নিয়মিত উচ্চ লভ্যাংশ দেয়) ১২৭টি প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে, ৬৩টির বেড়েছে এবং ২৪টির কোনো পরিবর্তন হয়নি।


লেনদেনের পরিমাণ কমেছে

ডিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪১৯ কোটি টাকা, যা আগের সেশনের ৪৮৫ কোটি টাকার তুলনায় কম।
ব্লক মার্কেটে ২৩টি কোম্পানির শেয়ার ১৩ কোটি টাকায় লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে খান ব্রাদার্স পিপি উভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড একাই ৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন করে শীর্ষে ছিল।


শীর্ষ লাভবান ও ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানি

ডিএসইতে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি দিনের সর্বোচ্চ ৮ শতাংশের বেশি দাম বাড়িয়ে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে।
অন্যদিকে, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ারদাম ১০ শতাংশের বেশি কমে দিনের সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।


সিএসইতেও একই ধারা

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) পতনের ধারা বজায় ছিল।
সিএসইর প্রধান সূচক ক্যাসপি (CASPI) সূচক ৭০ পয়েন্ট কমেছে।
সিএসইতে মোট ১৫৯টি কোম্পানির মধ্যে ৯৭টির দাম কমেছে, ৪৯টির বেড়েছে এবং ১৩টির কোনো পরিবর্তন হয়নি।
সিএসইর দৈনিক লেনদেনও কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি টাকায়, যা আগের সেশনের ২৪ কোটি টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।


সিএসইর শীর্ষ লাভবান ও ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান

সিএসইতে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ারদাম ৯ শতাংশের বেশি বেড়ে শীর্ষ অবস্থানে ছিল।
অন্যদিকে, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালস্‌ লিমিটেডের দাম ১০ শতাংশ কমে দিনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।

সপ্তাহজুড়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা ও বাজারের চাপের কারণে দুই শেয়ারবাজারেই লেনদেনের পরিমাণ ও সূচকে পতন লক্ষ্য করা গেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের নতুন করে আস্থা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।

#শেয়ারবাজারে_পতন #ডিএসই #সিএসই #অর্থনীতি