সারাক্ষণ রিপোর্ট
1. জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে কিছু অগ্রগতি হলেও, ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চীন ও তুরস্কের সাথে বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা কার্যত স্থবির অবস্থায় রয়েছে।
2.২০২৬ সালে এলডিসি মর্যাদা হারানোর পর বাংলাদেশ বিভিন্ন প্রাধান্যপ্রাপ্ত বাণিজ্য সুবিধা হারাতে পারে, যা মোকাবিলার জন্য দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গত আগস্ট থেকে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর প্রাধান্যপ্রাপ্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনায় কোন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটেনি। এই পরিস্থিতি আগামী ২০২৬ সালে এলডিসি মর্যাদা থেকে উত্তীর্ণ হওয়াকে আরও চ্যালেঞ্জময় করে তুলতে পারে, বলে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়িক নেতারা উল্লেখ করেছেন।
আলোচনার বর্তমান অবস্থা
- জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির (EPA) আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হয়েছে।
- জাপানের সাথে আলোচনার তৃতীয় ও চতুর্থ পর্ব টোকিও ও ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে, এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে নভেম্বর মাসে আলোচনার সূচনা হয়েছে।
- তবে, ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চীন ও তুরস্কের সাথে বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা কার্যত স্থবির অবস্থায় রয়েছে।
এলডিসি মর্যাদা ও ভবিষ্যতের প্রভাব
- আগামী নভেম্বর বাংলাদেশের এলডিসি মর্যাদা থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর অনেক প্রাধান্যপ্রাপ্ত বাজার সুবিধা হারানোর সম্ভাবনা আছে।
- দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর বাংলাদেশের এই সুবিধা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে।
চুক্তি স্বাক্ষরের প্রচেষ্টা ও চ্যালেঞ্জ
- মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্য চুক্তি যেমন ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (FTA), প্রেফারেনশিয়াল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (PTA), EPA ও CEPA নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করছে।
- পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকার এশিয়ান দেশ ও RCEP-এর মতো বৃহৎ বাণিজ্য গোষ্ঠীর সাথে একই ধরনের আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল।
অবস্থান
- বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিনের মতে, প্রধান দেশের সাথে আলোচনা স্থগিত নয়; সরকারি অফিসিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে যোগাযোগ অব্যাহত আছে।
- উদ্দিন উল্লেখ করেন, জাপানের সাথে আলোচনার চারটি পর্ব ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং পক্ষসমূহ পরবর্তী পঞ্চম পর্বের তারিখ নির্ধারণে কাজ করছে।
- তবে, ভারত ও চীনের সাথে আলোচনার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটেনি।
- চীনের ক্ষেত্রে, গত বছরের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে আলোচনা শুরু করার পরিকল্পনা ছিল, যা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।