০৭:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

হিউএনচাঙ (পর্ব-৩৬)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 5

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

হিউএনচাঙকে দেখে সম্রাট খুশী হয়ে বললে- ‘দিনকতক এখানে থাকুন, দু-তিন দিন পরে আমি ফিরে আসছি।’ এই বলে একটা তাঁবুতে তাঁর থাকবার বন্দোবস্ত করে দিয়ে শিকারে গেলেন। শিকার শেষ হলে সম্রাট হিউএনচাঙকে ডেকে পাঠালেন। ‘সম্রাট বাস করতেন একটা প্রকাণ্ড তাঁবুতে। তাতে সোনালি ফুলের এমন কাজ করা যে চোখ ঝলসে যায়।

তুরুস্করা অগ্নির উপাসক, কাঠে সুক্ষ্মভাবে অগ্নি আছে মনে করে এরা কাঠের আসনে বসে না। রাজকর্মচারীরা লম্বা লম্বা মাদুর পেতে তার উপর বসে ছিলেন, প্রত্যেকেরই পরিধানে ব্রোকেডের জমকাল পরিচ্ছদ। যদিও ইনি যাযাবর জাতির রাজা বই নন, চামড়ার তাঁবুতে বাস, তবু তাঁর দিকে চাইলে বিস্ময় ও শ্রদ্ধা উদ্রেক হতেই হয়।’

হিউএনচাঙের ঐ জায়গায় অবস্থানের সময়েই সম্রাট একবার বিদেশী দূতদের অভ্যর্থনা করেন। হিউএনচাঙ তার এই বিবরণ দেন-‘অসভ্য সম্রাট দূতদের বসতে বললেন। এই সময়ে বাজনদারদের বাদ্য আরম্ভহল আর পানীয় আনবার হুকুম হল। বিদেশী দূতদের সঙ্গে সম্রাট মদ্যপান করলেন। অতিথিদের ক্রমশই স্ফূর্তি বাড়তে লাগল।

তারা পরস্পরের পানপাত্র ঠোকাঠুকি করে মদ খাবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে লাগল। এই সময়ে চারিদিক থেকে বাজনা বেজে উঠল। সুরগুলি অর্ধঅসভ্য হলেও কানে মন্দ লাগছিল না। ভালোই লাগছিল। কিছু পরেই নতুন পাত্র এল। অতিথিদের সামনে স্তূপাকারে ভেড়ার আর গোবৎসের সিদ্ধ মাংস রাখা হল।’

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৩৫)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৩৫)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

হিউএনচাঙ (পর্ব-৩৬)

০৯:০০:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

হিউএনচাঙকে দেখে সম্রাট খুশী হয়ে বললে- ‘দিনকতক এখানে থাকুন, দু-তিন দিন পরে আমি ফিরে আসছি।’ এই বলে একটা তাঁবুতে তাঁর থাকবার বন্দোবস্ত করে দিয়ে শিকারে গেলেন। শিকার শেষ হলে সম্রাট হিউএনচাঙকে ডেকে পাঠালেন। ‘সম্রাট বাস করতেন একটা প্রকাণ্ড তাঁবুতে। তাতে সোনালি ফুলের এমন কাজ করা যে চোখ ঝলসে যায়।

তুরুস্করা অগ্নির উপাসক, কাঠে সুক্ষ্মভাবে অগ্নি আছে মনে করে এরা কাঠের আসনে বসে না। রাজকর্মচারীরা লম্বা লম্বা মাদুর পেতে তার উপর বসে ছিলেন, প্রত্যেকেরই পরিধানে ব্রোকেডের জমকাল পরিচ্ছদ। যদিও ইনি যাযাবর জাতির রাজা বই নন, চামড়ার তাঁবুতে বাস, তবু তাঁর দিকে চাইলে বিস্ময় ও শ্রদ্ধা উদ্রেক হতেই হয়।’

হিউএনচাঙের ঐ জায়গায় অবস্থানের সময়েই সম্রাট একবার বিদেশী দূতদের অভ্যর্থনা করেন। হিউএনচাঙ তার এই বিবরণ দেন-‘অসভ্য সম্রাট দূতদের বসতে বললেন। এই সময়ে বাজনদারদের বাদ্য আরম্ভহল আর পানীয় আনবার হুকুম হল। বিদেশী দূতদের সঙ্গে সম্রাট মদ্যপান করলেন। অতিথিদের ক্রমশই স্ফূর্তি বাড়তে লাগল।

তারা পরস্পরের পানপাত্র ঠোকাঠুকি করে মদ খাবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে লাগল। এই সময়ে চারিদিক থেকে বাজনা বেজে উঠল। সুরগুলি অর্ধঅসভ্য হলেও কানে মন্দ লাগছিল না। ভালোই লাগছিল। কিছু পরেই নতুন পাত্র এল। অতিথিদের সামনে স্তূপাকারে ভেড়ার আর গোবৎসের সিদ্ধ মাংস রাখা হল।’

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৩৫)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৩৫)