সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
১. ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে বিদেশি ঋণের নতুন প্রতিশ্রুতি আগের বছরের তুলনায় ৬৭% কমে ২.৩৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
২. এডিবি সর্বোচ্চ ৭০০ মিলিয়ন ডলার এবং বিশ্বব্যাংকের আইডিএ ৯৪৪.৫ মিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি দিলেও ভারত, চীন ও রাশিয়া নতুন ঋণ প্রতিশ্রুতি দেয়নি।
৩. জুলাই ২০২৪ থেকে জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত মোট ঋণ ছাড়ের পরিমাণ ৩.৯৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কম।
বাংলাদেশে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের (জুলাই ২০২৪ থেকে জানুয়ারি ২০২৫) প্রথম সাত মাসে বিদেশি ঋণের নতুন প্রতিশ্রুতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। গত বছর এ সময়ের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে শতকরা ৬৭ ভাগ। অর্থনীতি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য এটি ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিশ্রুতির হ্রাস: মূল তথ্য
- অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) অনুযায়ী, এই সময়কালে মোট ২.৩৫ বিলিয়ন ডলার নতুন ঋণ প্রতিশ্রুত হয়েছে।
- আগের অর্থবছর (২০২৩-২৪)-এর একই সময়ে প্রতিশ্রুতি ছিল ৭.১৭ বিলিয়ন ডলার, যা থেকে প্রায় ৬৭ শতাংশ হ্রাস দেখা গেছে।
- উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তার প্রতিশ্রুতি কমে যাওয়াই এই হ্রাসের অন্যতম বড় কারণ।
বিভিন্ন ঋণদাতার ভূমিকা
- এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সর্বোচ্চ ৭০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
- বিশ্বব্যাংকের আইডিএ (ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন) প্রতিশ্রুত করেছে ৯৪৪.৫ মিলিয়ন ডলার।
- ভারত, চীন ও রাশিয়া নতুন কোনো ঋণ প্রতিশ্রুতি না দিলেও পূর্ববর্তী ঋণের অর্থ ছাড়ের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য: রাশিয়া ৫৩৬.৮৭ মিলিয়ন ডলার, চীন ২৬৭.৮১ মিলিয়ন ডলার এবং ভারত ৮০.১৪ মিলিয়ন ডলার ছাড় করেছে।
ঋণ ছাড় ও ঋণ পরিষেবার তথ্য
- জুলাই ২০২৪ থেকে জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত মোট ঋণ ছাড়ের পরিমাণ ৩.৯৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪.৩৯ বিলিয়ন ডলার।
- জাপান এই সময়ে ২৫২.১২ মিলিয়ন ডলার এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) ১৬০ মিলিয়ন ডলার ঋণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।