১০:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

বিদেশি ঋণ প্রতিশ্রুতি গতবারের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে ৬৭ শতাংশ

  • Sarakhon Report
  • ০৪:৩০:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 15

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

১. ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে বিদেশি ঋণের নতুন প্রতিশ্রুতি আগের বছরের তুলনায় ৬৭% কমে ২.৩৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

২. এডিবি সর্বোচ্চ ৭০০ মিলিয়ন ডলার এবং বিশ্বব্যাংকের আইডিএ ৯৪৪.৫ মিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি দিলেও ভারত, চীন ও রাশিয়া নতুন ঋণ প্রতিশ্রুতি দেয়নি।

৩. জুলাই ২০২৪ থেকে জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত মোট ঋণ ছাড়ের পরিমাণ ৩.৯৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কম।


বাংলাদেশে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের (জুলাই ২০২৪ থেকে জানুয়ারি ২০২৫) প্রথম সাত মাসে বিদেশি ঋণের নতুন প্রতিশ্রুতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। গত বছর এ সময়ের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে শতকরা ৬৭ ভাগ।  অর্থনীতি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য এটি ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রতিশ্রুতির হ্রাস: মূল তথ্য

  • অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) অনুযায়ী, এই সময়কালে মোট ২.৩৫ বিলিয়ন ডলার নতুন ঋণ প্রতিশ্রুত হয়েছে।
  • আগের অর্থবছর (২০২৩-২৪)-এর একই সময়ে প্রতিশ্রুতি ছিল ৭.১৭ বিলিয়ন ডলার, যা থেকে প্রায় ৬৭ শতাংশ হ্রাস দেখা গেছে।
  • উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তার প্রতিশ্রুতি কমে যাওয়াই এই হ্রাসের অন্যতম বড় কারণ।

বিভিন্ন ঋণদাতার ভূমিকা

  • এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সর্বোচ্চ ৭০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
  • বিশ্বব্যাংকের আইডিএ (ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন) প্রতিশ্রুত করেছে ৯৪৪.৫ মিলিয়ন ডলার
  • ভারতচীন ও রাশিয়া নতুন কোনো ঋণ প্রতিশ্রুতি না দিলেও পূর্ববর্তী ঋণের অর্থ ছাড়ের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য: রাশিয়া ৫৩৬.৮৭ মিলিয়ন ডলার, চীন ২৬৭.৮১ মিলিয়ন ডলার এবং ভারত ৮০.১৪ মিলিয়ন ডলার ছাড় করেছে।

ঋণ ছাড় ও ঋণ পরিষেবার তথ্য

  • জুলাই ২০২৪ থেকে জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত মোট ঋণ ছাড়ের পরিমাণ ৩.৯৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪.৩৯ বিলিয়ন ডলার
  • জাপান এই সময়ে ২৫২.১২ মিলিয়ন ডলার এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) ১৬০ মিলিয়ন ডলার ঋণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বিদেশি ঋণ প্রতিশ্রুতি গতবারের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে ৬৭ শতাংশ

০৪:৩০:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

১. ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে বিদেশি ঋণের নতুন প্রতিশ্রুতি আগের বছরের তুলনায় ৬৭% কমে ২.৩৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

২. এডিবি সর্বোচ্চ ৭০০ মিলিয়ন ডলার এবং বিশ্বব্যাংকের আইডিএ ৯৪৪.৫ মিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি দিলেও ভারত, চীন ও রাশিয়া নতুন ঋণ প্রতিশ্রুতি দেয়নি।

৩. জুলাই ২০২৪ থেকে জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত মোট ঋণ ছাড়ের পরিমাণ ৩.৯৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কম।


বাংলাদেশে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের (জুলাই ২০২৪ থেকে জানুয়ারি ২০২৫) প্রথম সাত মাসে বিদেশি ঋণের নতুন প্রতিশ্রুতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। গত বছর এ সময়ের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে শতকরা ৬৭ ভাগ।  অর্থনীতি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য এটি ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রতিশ্রুতির হ্রাস: মূল তথ্য

  • অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) অনুযায়ী, এই সময়কালে মোট ২.৩৫ বিলিয়ন ডলার নতুন ঋণ প্রতিশ্রুত হয়েছে।
  • আগের অর্থবছর (২০২৩-২৪)-এর একই সময়ে প্রতিশ্রুতি ছিল ৭.১৭ বিলিয়ন ডলার, যা থেকে প্রায় ৬৭ শতাংশ হ্রাস দেখা গেছে।
  • উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তার প্রতিশ্রুতি কমে যাওয়াই এই হ্রাসের অন্যতম বড় কারণ।

বিভিন্ন ঋণদাতার ভূমিকা

  • এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সর্বোচ্চ ৭০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
  • বিশ্বব্যাংকের আইডিএ (ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন) প্রতিশ্রুত করেছে ৯৪৪.৫ মিলিয়ন ডলার
  • ভারতচীন ও রাশিয়া নতুন কোনো ঋণ প্রতিশ্রুতি না দিলেও পূর্ববর্তী ঋণের অর্থ ছাড়ের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য: রাশিয়া ৫৩৬.৮৭ মিলিয়ন ডলার, চীন ২৬৭.৮১ মিলিয়ন ডলার এবং ভারত ৮০.১৪ মিলিয়ন ডলার ছাড় করেছে।

ঋণ ছাড় ও ঋণ পরিষেবার তথ্য

  • জুলাই ২০২৪ থেকে জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত মোট ঋণ ছাড়ের পরিমাণ ৩.৯৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪.৩৯ বিলিয়ন ডলার
  • জাপান এই সময়ে ২৫২.১২ মিলিয়ন ডলার এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) ১৬০ মিলিয়ন ডলার ঋণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।