০৪:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
হংকং-এর মেট্রোপল রেস্তোরাঁ বন্ধ হতে চলেছে: এক ঐতিহ্যের অবসান রাজসাহীর ইতিহাস (পর্ব -২৫) ভিয়েতনাম রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ইন্টারভিশন গান প্রতিযোগিতায় বিজয়ী জাপানিদের দীর্ঘ জীবনের রহস্য কী, কেন সেখানে এত বেশি শতবর্ষী নারী? চীনের জলবায়ু প্রতিশ্রুতি হতাশাজনক, তবে সৌরশক্তিতে অবিশ্বাস্য অগ্রগতি দেশে আবারও স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্রে নতুন এইচ-১বি ভিসা ফি পুরনো ভিসাধারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় আইফোন এয়ার থেকে শুরু করে পাওয়ারহাউস ১৭ প্রো ম্যাক্স: আপনার জন্য সঠিক আইফোনটি খুঁজে নিন রেমা–কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য: হবিগঞ্জ ভ্রমণের এক বিস্তৃত গাইড এইচ-১বি ভিসার ফি বাড়ানো: যুক্তরাষ্ট্রের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত, ভারতের জন্য সুযোগ

বাংলাদেশের খাদ্যপণ্যের আমদানির নির্ভরতা

  • Sarakhon Report
  • ০৩:৪৯:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • 54

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • দেশের বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের চাহিদা মেটাতে ৪০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি করতে হয়
  • কৃষিপণ্য আমদানি ০.৬৮% হারে বাড়ছে, ২০২৪ সালে সম্ভাব্য আমদানির পরিমাণ ৫.২ বিলিয়ন ডলার
  • ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চাল আমদানির পরিমাণ ছিল ১.৮৬ কোটি ডলার, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ৫৪.৬২ কোটি ডলার

বাংলাদেশের কৃষি খাদ্যপণ্যের বাজার প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে স্থানীয় উৎপাদিত পণ্যের পরিমাণ ১০ বিলিয়ন ডলার। তবে চাহিদা মেটাতে বছরে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য আমদানি করতে হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ পরিস্থিতিতে দেশকে পুরোপুরি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং

আমদানির ওপর নির্ভরতা

দেশের বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের চাহিদা মেটাতে ৪০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি করতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আমদানিনির্ভরতা কমাতে কৃষিপণ্য উৎপাদনে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।

কৃষি পণ্যের বাজার ও আমদানি প্রবণতা

 

স্ট্যাটিস্টার তথ্য অনুযায়ী:

  • ২০২৪ সালে স্থানীয় কৃষিপণ্যের বাজার দাঁড়াতে পারে ১০.১৪ বিলিয়ন ডলার
  • ২০২৯ সালের মধ্যে এ বাজার ১১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
  • তবে কৃষিপণ্য আমদানি ০.৬৮% হারে বাড়ছে, ২০২৪ সালে সম্ভাব্য আমদানির পরিমাণ ৫.২ বিলিয়ন ডলার

গম ও চাল আমদানির বর্তমান চিত্র

গম আমদানি

  • গমের চাহিদার মাত্র ১৪-১৫% দেশীয়ভাবে উৎপাদিত, বাকি ৮৫% আমদানি করতে হয়।
  • ২০২৩ সালে গম আমদানির পরিমাণ ছিল ৫৪.১৭ লাখ টন, যা ২০২৪ সালে ৭২.৭৫ লাখ টনে পৌঁছেছে।

চাল আমদানি

  • ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চাল আমদানির পরিমাণ ছিল ১.৮৬ কোটি ডলার, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ৫৪.৬২ কোটি ডলার
  • সাম্প্রতিক বন্যার কারণে আমন উৎপাদন কমে যাওয়ায় সরকার চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিভিন্ন কৃষিপণ্যের আমদানি চিত্র

মসুর ডাল: মোট চাহিদার ৭০% আমদানি করতে হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশীয় উৎপাদন ১.৮৪ লাখ টন, কিন্তু চাহিদা প্রায় ৭ লাখ টন, ফলে ৫ লাখ টন আমদানি করা হয়।

পেঁয়াজ: দেশে বার্ষিক চাহিদা ৩৫ লাখ টন, কিন্তু ২৫-৩০% উৎপাদন ও সংরক্ষণ পর্যায়ে নষ্ট হয়। ফলে আমদানি প্রয়োজন হয়

ভোজ্যতেল: ৯৭% ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়।

গরম মসলা: হলুদ, মরিচ, মৌরি, মেথি, কালিজিরা, তেজপাতা, আদা, রসুন, সরিষাসহ অধিকাংশ মসলা বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়

বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের আমদানি ব্যয়

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী:

  • ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষিপণ্য আমদানির ব্যয় ছিল ৫.৩ বিলিয়ন ডলার
  • ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা কমে ৪ বিলিয়ন ডলারে এসেছে
  • তবে, ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য পণ্য মিলিয়ে আমদানি ব্যয় ৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

হংকং-এর মেট্রোপল রেস্তোরাঁ বন্ধ হতে চলেছে: এক ঐতিহ্যের অবসান

বাংলাদেশের খাদ্যপণ্যের আমদানির নির্ভরতা

০৩:৪৯:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • দেশের বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের চাহিদা মেটাতে ৪০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি করতে হয়
  • কৃষিপণ্য আমদানি ০.৬৮% হারে বাড়ছে, ২০২৪ সালে সম্ভাব্য আমদানির পরিমাণ ৫.২ বিলিয়ন ডলার
  • ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চাল আমদানির পরিমাণ ছিল ১.৮৬ কোটি ডলার, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ৫৪.৬২ কোটি ডলার

বাংলাদেশের কৃষি খাদ্যপণ্যের বাজার প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে স্থানীয় উৎপাদিত পণ্যের পরিমাণ ১০ বিলিয়ন ডলার। তবে চাহিদা মেটাতে বছরে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য আমদানি করতে হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ পরিস্থিতিতে দেশকে পুরোপুরি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং

আমদানির ওপর নির্ভরতা

দেশের বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের চাহিদা মেটাতে ৪০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি করতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আমদানিনির্ভরতা কমাতে কৃষিপণ্য উৎপাদনে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।

কৃষি পণ্যের বাজার ও আমদানি প্রবণতা

 

স্ট্যাটিস্টার তথ্য অনুযায়ী:

  • ২০২৪ সালে স্থানীয় কৃষিপণ্যের বাজার দাঁড়াতে পারে ১০.১৪ বিলিয়ন ডলার
  • ২০২৯ সালের মধ্যে এ বাজার ১১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
  • তবে কৃষিপণ্য আমদানি ০.৬৮% হারে বাড়ছে, ২০২৪ সালে সম্ভাব্য আমদানির পরিমাণ ৫.২ বিলিয়ন ডলার

গম ও চাল আমদানির বর্তমান চিত্র

গম আমদানি

  • গমের চাহিদার মাত্র ১৪-১৫% দেশীয়ভাবে উৎপাদিত, বাকি ৮৫% আমদানি করতে হয়।
  • ২০২৩ সালে গম আমদানির পরিমাণ ছিল ৫৪.১৭ লাখ টন, যা ২০২৪ সালে ৭২.৭৫ লাখ টনে পৌঁছেছে।

চাল আমদানি

  • ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চাল আমদানির পরিমাণ ছিল ১.৮৬ কোটি ডলার, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ৫৪.৬২ কোটি ডলার
  • সাম্প্রতিক বন্যার কারণে আমন উৎপাদন কমে যাওয়ায় সরকার চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিভিন্ন কৃষিপণ্যের আমদানি চিত্র

মসুর ডাল: মোট চাহিদার ৭০% আমদানি করতে হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশীয় উৎপাদন ১.৮৪ লাখ টন, কিন্তু চাহিদা প্রায় ৭ লাখ টন, ফলে ৫ লাখ টন আমদানি করা হয়।

পেঁয়াজ: দেশে বার্ষিক চাহিদা ৩৫ লাখ টন, কিন্তু ২৫-৩০% উৎপাদন ও সংরক্ষণ পর্যায়ে নষ্ট হয়। ফলে আমদানি প্রয়োজন হয়

ভোজ্যতেল: ৯৭% ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়।

গরম মসলা: হলুদ, মরিচ, মৌরি, মেথি, কালিজিরা, তেজপাতা, আদা, রসুন, সরিষাসহ অধিকাংশ মসলা বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়

বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের আমদানি ব্যয়

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী:

  • ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষিপণ্য আমদানির ব্যয় ছিল ৫.৩ বিলিয়ন ডলার
  • ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা কমে ৪ বিলিয়ন ডলারে এসেছে
  • তবে, ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য পণ্য মিলিয়ে আমদানি ব্যয় ৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।