সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
- দেশের বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের চাহিদা মেটাতে ৪০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি করতে হয়
- কৃষিপণ্য আমদানি ০.৬৮% হারে বাড়ছে, ২০২৪ সালে সম্ভাব্য আমদানির পরিমাণ ৫.২ বিলিয়ন ডলার
- ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চাল আমদানির পরিমাণ ছিল ১.৮৬ কোটি ডলার, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ৫৪.৬২ কোটি ডলার
বাংলাদেশের কৃষি খাদ্যপণ্যের বাজার প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে স্থানীয় উৎপাদিত পণ্যের পরিমাণ ১০ বিলিয়ন ডলার। তবে চাহিদা মেটাতে বছরে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য আমদানি করতে হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ পরিস্থিতিতে দেশকে পুরোপুরি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং।
আমদানির ওপর নির্ভরতা
দেশের বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের চাহিদা মেটাতে ৪০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি করতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আমদানিনির্ভরতা কমাতে কৃষিপণ্য উৎপাদনে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
কৃষি পণ্যের বাজার ও আমদানি প্রবণতা
স্ট্যাটিস্টার তথ্য অনুযায়ী:
- ২০২৪ সালে স্থানীয় কৃষিপণ্যের বাজার দাঁড়াতে পারে ১০.১৪ বিলিয়ন ডলার।
- ২০২৯ সালের মধ্যে এ বাজার ১১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
- তবে কৃষিপণ্য আমদানি ০.৬৮% হারে বাড়ছে, ২০২৪ সালে সম্ভাব্য আমদানির পরিমাণ ৫.২ বিলিয়ন ডলার।
গম ও চাল আমদানির বর্তমান চিত্র
গম আমদানি
- গমের চাহিদার মাত্র ১৪-১৫% দেশীয়ভাবে উৎপাদিত, বাকি ৮৫% আমদানি করতে হয়।
- ২০২৩ সালে গম আমদানির পরিমাণ ছিল ৫৪.১৭ লাখ টন, যা ২০২৪ সালে ৭২.৭৫ লাখ টনে পৌঁছেছে।
চাল আমদানি
- ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চাল আমদানির পরিমাণ ছিল ১.৮৬ কোটি ডলার, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ৫৪.৬২ কোটি ডলার।
- সাম্প্রতিক বন্যার কারণে আমন উৎপাদন কমে যাওয়ায় সরকার চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিভিন্ন কৃষিপণ্যের আমদানি চিত্র
মসুর ডাল: মোট চাহিদার ৭০% আমদানি করতে হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশীয় উৎপাদন ১.৮৪ লাখ টন, কিন্তু চাহিদা প্রায় ৭ লাখ টন, ফলে ৫ লাখ টন আমদানি করা হয়।
পেঁয়াজ: দেশে বার্ষিক চাহিদা ৩৫ লাখ টন, কিন্তু ২৫-৩০% উৎপাদন ও সংরক্ষণ পর্যায়ে নষ্ট হয়। ফলে আমদানি প্রয়োজন হয়।
ভোজ্যতেল: ৯৭% ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়।
গরম মসলা: হলুদ, মরিচ, মৌরি, মেথি, কালিজিরা, তেজপাতা, আদা, রসুন, সরিষাসহ অধিকাংশ মসলা বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়।
বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের আমদানি ব্যয়
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী:
- ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষিপণ্য আমদানির ব্যয় ছিল ৫.৩ বিলিয়ন ডলার।
- ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা কমে ৪ বিলিয়ন ডলারে এসেছে।
- তবে, ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য পণ্য মিলিয়ে আমদানি ব্যয় ৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।