০৩:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
আলোচনার পরিবর্তে কেন শিক্ষকদের ওপর সহিংসতা — প্রশ্ন জিএম কাদেরের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডের ৯ রানে জয়; ওয়েস্ট ইনডিজকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল কিউইরা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল তুরস্ক নাটোরে পুলিশের হাত থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীকে ছিনিয়ে নিল জনতা বেতন কাঠামো উন্নয়ন ও উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন অব্যাহত রাজশাহীতে তাপমাত্রা নেমে ১৬.৫ ডিগ্রিতে: শীতের আগমনী বার্তা মোহাম্মদপুরে গ্যারেজে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি যানবাহন শীতের আরাম নিশ্চিত করুন: বাংলাদেশে কোন গিজারগুলো সেরা ঢাকা-খুলনাসহ ১৫ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ ব্যাংকঅ্যাশিওরেন্স: শোকাহত পরিবারের পাশে দ্রুত সহায়তা

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪১)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • 17

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

ধর্মগুরু যখন উপস্থিত হন, তার অল্প কিছুকাল আগেই তুরফান-রাজকন্যার মৃত্যু হয়। তারদুশাদ শীঘ্রই আবার তাঁর শ্যালীকে বিবাহ করলেন। কিন্তু নতুন রানী আগেকার রানীর ছেলের প্রণয়িনী হয়ে তারদুশাকে হত্যা ক’রে তার প্রণয়ীকে রাজা করল।

যা হোক্ নতুন রাজাও, হিউএনচাঙের আশ্রয়দাতা হলেন আর তাঁকে পরামর্শ দিলেন যে, সোজা গান্ধারের দিকে না গিয়ে তিনি যেন বাল্ব (বাহুলীক) হয়ে যান। বললেন, ‘বাল্ব আপনার এ শিষ্যের রাজত্বের মধ্যেই একটা নগর। এখানে এত পবিত্র স্মৃতিচিহ্ন আছে যে, লোকে একে ছোটরাজগৃহ বলে। আমার ইচ্ছা ধর্মগুরু সেখানে গিয়ে পবিত্রস্থান-‘গুলিতে পূজা দেন।’

আধুনিক কালে বাল্থ দেশটা একরকম মৃতই বলা যায়। কিন্তু হিউএনচাঙের সময়ে এখানকার অবস্থা বেশ ভালোই ছিল। হিউএনচাঙ এখানে তিন হাজার ভিক্ষু আর একশত সঙ্ঘারাম দেখতে পান। অনেক সঙ্ঘারামে বুদ্ধের নিদর্শন ছিল।

অর্হৎ ও ভিক্ষুদের স্মারকস্তূপ তো শত শত ছিল। ‘নগরের বাইরে নবসঙ্ঘারাম নামে অদ্ভুত কারুকার্যময় একটা প্রকাণ্ড সঙ্ঘারাম আছে। এর ভিতর বুদ্ধমন্দিরে বুদ্ধের একটা জলের পাত্র, একটা দাঁত আর একটা ঝাঁটা রাখা আছে। এই সঙ্ঘারামের উত্তরে একটা দুই শত ফুট উঁচু স্তূপ আছে।’

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪০)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪০)

জনপ্রিয় সংবাদ

আলোচনার পরিবর্তে কেন শিক্ষকদের ওপর সহিংসতা — প্রশ্ন জিএম কাদেরের

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪১)

০৯:০০:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

ধর্মগুরু যখন উপস্থিত হন, তার অল্প কিছুকাল আগেই তুরফান-রাজকন্যার মৃত্যু হয়। তারদুশাদ শীঘ্রই আবার তাঁর শ্যালীকে বিবাহ করলেন। কিন্তু নতুন রানী আগেকার রানীর ছেলের প্রণয়িনী হয়ে তারদুশাকে হত্যা ক’রে তার প্রণয়ীকে রাজা করল।

যা হোক্ নতুন রাজাও, হিউএনচাঙের আশ্রয়দাতা হলেন আর তাঁকে পরামর্শ দিলেন যে, সোজা গান্ধারের দিকে না গিয়ে তিনি যেন বাল্ব (বাহুলীক) হয়ে যান। বললেন, ‘বাল্ব আপনার এ শিষ্যের রাজত্বের মধ্যেই একটা নগর। এখানে এত পবিত্র স্মৃতিচিহ্ন আছে যে, লোকে একে ছোটরাজগৃহ বলে। আমার ইচ্ছা ধর্মগুরু সেখানে গিয়ে পবিত্রস্থান-‘গুলিতে পূজা দেন।’

আধুনিক কালে বাল্থ দেশটা একরকম মৃতই বলা যায়। কিন্তু হিউএনচাঙের সময়ে এখানকার অবস্থা বেশ ভালোই ছিল। হিউএনচাঙ এখানে তিন হাজার ভিক্ষু আর একশত সঙ্ঘারাম দেখতে পান। অনেক সঙ্ঘারামে বুদ্ধের নিদর্শন ছিল।

অর্হৎ ও ভিক্ষুদের স্মারকস্তূপ তো শত শত ছিল। ‘নগরের বাইরে নবসঙ্ঘারাম নামে অদ্ভুত কারুকার্যময় একটা প্রকাণ্ড সঙ্ঘারাম আছে। এর ভিতর বুদ্ধমন্দিরে বুদ্ধের একটা জলের পাত্র, একটা দাঁত আর একটা ঝাঁটা রাখা আছে। এই সঙ্ঘারামের উত্তরে একটা দুই শত ফুট উঁচু স্তূপ আছে।’

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪০)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪০)