মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ০২:৪০ পূর্বাহ্ন

লোহা কখন গরম হয় সেটা জেনারেলই জানেন

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫, ৩.০০ পিএম

স্বদেশ রায়

১৯৭১ সালে এপ্রিল মাসের দিকে পূর্ব পাকিস্তান সরকার ততক্ষনে তার প্রাইভেট বাহিনী পুরোপুরি গড়ে তুলতে না পারলেও, একটি অলিখিতি নির্দেশ দিয়ে দেয়, হিন্দু এবং আওয়ামী লীগারদের ওপর নির্যাতন, হত্যা ও তাদের সম্পদ লুট বৈধ। শুরু হয় লুটতরাজ ও হত্যা। তাই ওই সময়ে দলে দলে মানুষ ভারতের সীমান্তের দিকে যেতে থাকে। কেউবা নিজ নিজ এলাকা ছেড়ে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ এলাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে চলে যেতে থাকে।

আজ থেকে ৫৫ বছর আগের ঘটনা, তবু ওই সময়ের দৃশ্যগুলো এখনো এ দেশের বহু মানুষের চোখের সামনে ভাসে। দিকে দিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের ও আওয়ামী লীগের সদস্যদের বাড়ি পোড়ানো হচ্ছে। ওই সময়ের হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় অংশ চিন্তা চেতনায় বামপন্থী ও আরেকটি অংশ কংগ্রেস করতো। কিন্তু ৭০ এ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওই প্রথমবারের মতো হিন্দুদের বড় অংশ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। কারণ, তারা বিশ্বাস করেছিলো, শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তাদেরকে ওই সময়ের পূ্র্ব পাকিস্তানের থেকে দরিদ্র পশ্চিমবঙ্গে রিফিউজি হিসেবে আশ্রয় নিতে হবে না। বিশেষ করে পূর্ববঙ্গের মানুষ সব সময়ই একটু আয়েশি জীবন যাপন করে, পশ্চিমবঙ্গের বা কোলকাতা শহরের কঠিন পরিশ্রমের জীবনের দিকে তাকিয়ে তারা সব সময়ই ভীত ছিলো। তাই অনেক কিছু উপেক্ষা করেও তারা এ দেশে ছিলো। এমত অবস্থায় তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে পেয়ে আস্থার স্থান পায়। তারা দেখতে পায় ওই মানুষটি সকলের নিরাপত্তা দেবার মতো সাহসী এবং সৎ। আর এই আওয়ামী লীগকে ভোট দেবার কারণে পাকিস্তান সরকারের প্রাইভেট বাহিনীর আক্রমন ও লুটপাঠের শিকার হয়ে, সর্বোপরি নারীর সম্ভ্রম রক্ষার জন্যে ভারতের সীমান্ত’র দিকে ছুটতে হয়।

ভারতের বিভিন্ন শরনার্থী শিবিরে প্রায় এক কোটি মানুষ বাংলাদেশের স্বাধীনতা কামী,  যাদের একটি অংশ হিন্দু -তারা আশ্রয় নিতে শুরু করে এপ্রিল, ১৯৭১ থেকে- আর ঢল ছিলো নভেম্বর অবধি।

ওই সময়ে শরনার্থী শিবিরে কে কোন পথে গিয়েছিলো তার কোন ঠিক ঠিকানা ছিলো না। তবে শরণার্থী শিবিরে পৌঁছালেও কেউ দেশ নিয়ে  উদ্বেগের বাইরে ছিলো না। বিশেষ করে দেশ ও দেশের মানুষ নিয়ে। তখন তো আর মোবাইল ফোন, হোয়াটসআপ সহ বিভিন্ন অ্যাপস ছিলো না। যোগাযোগের মাধ্যম ছিলো একমাত্র চিঠি পত্র। তাও সে সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ডাক যোগাযোগ বন্ধ। যে কারণে শরণার্থী শিবিরের মানুষদের একটি অংশের নিয়মিত কাজ ছিলো কয়েক মাইল হেটে বা বাসে চড়ে ( তখন জয়বাংলার লোক হিসেবে চিহ্নিত এই মানুষদের বাস বা ট্রেনে ভাড়া নিতো না ভারতে) সীমান্তে যাওয়া। কারণ, নতুন কেউ শরণার্থী হিসেবে এলে তাদের কাছে দেশের খবর পাওয়া যেতো।

তাদের কাছে যে খবর পেতো, তার প্রায় প্রতিটি’র সারমর্ম এমন ছিলো, পুলিশ অনেকটা অসহায়। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীও সব সময় টহলে আসে না। বা তারা লুটপাঠে খুব বেশি জড়িত না। লুটপাঠ, নারী ধর্ষন ও বাড়ি ঘরে আগুন দিচ্ছে বেশি ক্ষেত্রে সরকারের প্রাইভেট বাহিনী। দেশের মুক্তমনা বুদ্ধিজীবিরা সকলে প্রাণের ভয়ে ও গ্রেফতারের ভয়ে আতঙ্কিত।

এর মধ্যে খবর পাওয়া যেতে লাগলো পূর্ব পাকিস্তানের মালেক মন্ত্রী সভায় একের পর এক এমন লোকজন মন্ত্রী হিসেবে যোগ দিচ্ছে তারা মূলত ওই সব লুটতরাজকারী প্রাইভেট বাহিনীর নেতা। দেশের ভেতর থেকে যারা আসছে তাদের কাছে এমনই খবর পাওয়া যেতো, তারা ধান ক্ষেতে ধর্ষিতা কিশোরীর লাশ দেখে এসেছে। কেউ বলতো, তারা বাড়ি ছাড়তো না- তবে তাদের পাশের বাসার বালিকাটি দোকানে গিয়েছিলো চা আর চিনি কিনতে- সেখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে সরকারের প্রাইভেট বাহিনীর লোকজন ধর্ষন করে মেরে ফেলেছে।  কেউ বা বলতো তাদের পাশের মহেন্দ্র বাবুর বাড়ি ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরুজ্জামান সাহেবের বাড়ি পুড়িয়ে দেবার পরে তারা পালিয়ে এসেছে। আর এসবই করছে পূর্ব পাকিস্তান সরকারের প্রাইভেট বাহিনীগুলো। প্রতিটি শহরের পাড়ার মাস্তান ও বখে যাওয়া ছেলে গুলোই এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তারাই এখন দন্ডমুন্ডের কর্তা।

অন্যদিকে ততদিনে আওয়ামীলীগ, ন্যাপ ( ভাসানী), ন্যাপ ( মোজাফফর ) কংগ্রেস ও কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়েছে। সকলের মধ্যে একটা দাবী উঠেছে ভারত সরকার, বিশেষ করে সরকারের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী যেন অবিলম্বে উদ্যোগ নিয়ে এই সরকারকে স্বীকৃতি দেন। ভারত সরাসরি হস্তক্ষেপ করে বাংলাদেশকে মুক্ত করে।

কিন্তু দিন দিন মানুষ হতাশ হয়ে পড়তে থাকে। কারণ, ভারত শরনার্থীদের ও মুক্তিকামী মানুষকে তাদের সাধ্যানুযায়ী সহযোগীতা করলেও বাংলাদেশর রাজনৈতিক বিষয়ে একদম চুপ। ভারত সরকারের অবস্থান শুধু এটুকুই,  ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, পূর্ব পাকিস্তানে গণতন্ত্র ব্যহত হয়েছে, সেখানে পরিস্থিতি স্থিতিশীল নয়। ভারত সেখানে গণতান্ত্রিক সরকার চায় এবং গণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায়। অন্যদিকে, “ ভারত সেবাশ্রম” , “ রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ “ এর মতো সেবা ধর্মী প্রতিষ্ঠানগুলো ( যারা প্রথম থেকেই শরণার্থীদের সাহায্য করছিলো) তারা বার বার বলতে থাকে পূর্ব পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে, তাদের সম্পদ লুঠ করা হচ্ছে।

কিন্তু শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া মানুষ ও বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ( যারা মুজিব নগর সরকারে বা সরকারের বাইরে) তারা ইন্দিরা গান্ধীর ওই শুধুমাত্র “ গণতন্ত্র” উদ্ধার ও “ গণতান্ত্রিক সরকারে সঙ্গে ভারত কাজ করবে” এই নীতির ভেতর নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখাতে অনেক হতাশ।  কারণ, এ কথাটুকুও ইন্দিরা গান্ধী নিজে বলেন না, বলে তার প্রশাসন- এসব মিলিয়ে দিন দিন আস্থা হারিয়ে ফেলতে থাকে শরনার্থী শিবিরে থাকা  হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা, এমনকি আওয়ামী লীগের অনেক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিও। তাছাড়া বর্তমান ভারতের মতো সে সময়ের ভারত অর্থনৈতিক বা সামরিকভাবে শক্তিশালীও ছিলো না।পাওয়ার বলতে তাদের সারা পৃথিবীতে একটিই পাওয়ার সেটা  তা “সফট পাওয়ার”, ভারত একটি শান্তিকামী দেশ, সেখানে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপে আছে। অসাংবিধানিকভাবে কোন অবৈধ সরকার সেখানে ক্ষমতা দখল করেনি কখনও। আর নেতা হিসেবে ইন্দিরা গান্ধী শক্তিশালী। কিন্তু ইন্দিরা গান্ধীর মুখ দিয়ে একবারও উচ্চারিত হচ্ছে না বাংলাদেশের “স্বাধীনতা” ও বাংলাদেশকে “স্বীকৃতি” দেবার বিষয়টি। যদিও মুজিব নগর সরকারের নেতাদেরকে “সর্বোচ্চ সম্মানে” ও “নিরাপত্তায়” তারা রেখেছে।

ওই সময়ে একদিন পারিবারিক আলোচনায় জানতে পারি,  বাংলা কংগ্রেস নেতা  অজয় মুর্খাজীর সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে ন্যাপ নেতা অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ বলেছেন,  আওয়ামী লীগের অনেক পার্লামেন্ট মেম্বর ইন্দিরা গান্ধী যে একটা কিছু করতে পারেন তা নিয়ে আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। তাছাড়া ততদিনে পূর্ব পাকিস্তানের মালেক মন্ত্রীসভা ও তাদের প্রাইভেট বাহিনীকে এক ধরনের মিলিশিয়ায় রূপ দিয়েছে। নতুন নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছে।আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে। উপস্থিত ও অনুপস্থিত অনেক আওয়ামী লীগ নেতার বিচার শুরু হয়ে গেছে। তারা আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করে দেশে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত করবে- এ উদ্যোগও নিয়েছে। তাই সব মিলে তখন একদিকে যেমন ইন্দিরা গান্ধীর নিশ্চুপতা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন তেমনি অনেকে মনে করছে তাদের নেতাদের অবস্থা তিব্বতের দালাইলামার মতো হবে। অবশ্য অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ তার যুক্তি দিয়ে বলেছেন, তিব্বত আর বাংলাদেশ এক নয়। আর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের মুক্তিকামী রাজনৈতিক দলগুলোর ও মানুষের শক্তি আর তিব্বতের অভ্যন্তরে দালাইলামার রাজনৈতিক শক্তি এক নয়।

যাহোক, এর কিছুদিন পরে শরনার্থী শিবির যেন একটু নড়ে চড়ে বসলো। ১৯৭১ এর সেই অবিবাম বর্ষার জল কাঁদার ভেতর শরনার্থী শিবিরের শিক্ষিত মানুষদের জটলা হয়। সেখানে আলোচনার বিষয় একটাই, ইন্দিরা গান্ধী “ভারত- সোভিয়েত ইউনিয়ন” বিশ বছরের মৈত্রী চুক্তি করেছেন। এবার ইন্দিরা গান্ধী আগের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। তিনি নিশ্চয়ই কিছু একটা করবেন। কিন্তু কয়েক দিনের ভেতর সে প্রদীপের শিখাটিও যেন নিভে গেলো।কারণ, ইন্দিরা গান্ধী নিশ্চুপ। তিনি সারা পৃথিবীর শান্তির কথা বলেন। যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলেন। আর তার প্রশাসন সেই আগের কথাই বলে, তারা পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায়। কোন অগণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে তারা নিজেদেরকে জড়াবে না।

এ পর্যায়ে শরণার্থী শিবিরে যেমন হতাশার ছায়া নেমে আসে তেমনি বাংলাদেশের বন্দী শিবির থেকে প্রতিদিন দু একজন যারা যান বা যে সকল মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশের মধ্যে অপারেশন সেরে চলে আসেন তাদের মুখেও শোনা যায়, বন্দী শিবিরের ( সে সময় গোটা বাংলাদেশটাকে বন্দী শিবির বলা হতো) মানুষও হতাশ হয়ে পড়েছে। তাদের মতে লোহা এখন ঠান্ডা হয়ে গেছে- এখন আর আঘাত করার কোন পথ নেই। মালেক সরকার জেঁকে বসেছে। তার মন্ত্রী সভার প্রতি শুধু মৌলবাদী দলগুলোর সমর্থন নয়, তার মন্ত্রী সভার লোকজনও মৌলবাদী।

পরবর্তীতে যুদ্ধকালীন নেতাদের কাছ থেকে জেনেছি, ওই সময়ে নাকি মিজান চৌধুরি, ওবায়দুর রহমানের মতো নেতারাও হতাশ হয়ে গিয়েছিলেন। এবং পাকিস্তান সরকার তখন নানাভাবে আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা শুরু করে -যাতে তারা তাদের রাজনীতি ছেড়ে এসে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নেয়। শরাণার্থীদের ফেরানোর জন্যে ক্যাম্পও খোলা হয়। এমনকি এই হতাশার একটা চূড়ান্তরূপ যখন চলছে সে সময়ে ইন্দিরা গান্ধী ও তার বিদেশমন্ত্রী সারা পৃথিবী ঘুরছেন। কিন্তু সেখানে তাদের মুখ দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা নেই। কেবলমাত্র তারা বলছেন, তাদের সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ধরনের অরাজগতা তাদের জন্যে ক্ষতিকর এবং তারা পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক সরকার চায়। এমনকি নভেম্বরেও তাদের মুখে একই কথা।  এ সময়ে বন্দী শিবির থেকে খবর আসে, দেশ জুড়ে চরম হতাশা।  আর শরনার্থী শিবিরের অনেকেই তখন ক্যাম্পের বাইরে নিজস্ব কোন ডেরা করা যায় কিনা এমনটিও ভাবতে শুরু করেছেন।

 

এর ভেতর ৩ ডিসেম্বর ইন্দিরা গান্ধী কোলকাতার জনসভায় এলেন। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের থেকে ওই জনসভায় শরনার্থীদের ভেতরের শিক্ষিত অংশই বেশি। কিন্তু না,  এ জনসভায়ও ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের স্বাধীনতা বা বাংলাদেশ সরকারকে স্বীকৃত দেবার কথা বললেন না। হতাশার একটা কালো ছায়া সারা শরীরে জুড়ে নিয়ে তাবুতে ফিরে গেলো শরনার্থী ওই মানুষেরা। এরপরে ওই রাতে তারা রেডিওতে শুনতে পায়, পাকিস্তান ভারত আক্রমন করেছে। এবং ভারত পাল্টা জবাব দিয়ে মুহূর্তের মধ্যে পশ্চিম পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের ১৩টি এয়ার বেজ ধ্বংস করে দিয়েছে। পূর্বখন্ডে মিত্র বাহিনী গঠিত হয়েছে, তার সর্বোচ্চ কমান্ডে জেনারেল জগজিত সিং অরোরা।

তখন ঘন্টায় ঘন্টায় পরিস্থিতি পালটে যেতে থাকে। প্রথমেই শান্তিকামী ক্ষুদ্র রাষ্ট্র ভূটান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। এর পরে ইন্দিরা গান্ধী তার পার্লামেন্টে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেন। তারপরের ইতিহাস যেন প্রতিদিন একটি করে নতুন সূর্য ওঠা।

দ্রুত বন্দী শিবিরে ও শরনার্থী শিবিরে হতাশা কেটে যেতে থাকে। আর শরণার্থী শিবিরের শিক্ষিতজনের জটলায় তখন একটাই কথা- লোহা কখন প্রকৃত গরম হয় এটা ইন্দিরা গান্ধীই জানেন, অর্থাৎ মূল জেনারেলই জানেন- আমরা জানতাম না। আমরা জানতাম না তার আঘাত করার সমর্থও কত বড়।

লেখক: রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক, সম্পাদক সারাক্ষণ, The Present World.

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024