ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়
সাধারণত ২৫ বছর বয়স্ক বা তার একটু কম (যদি বিবাহিত হন) এমন পুরুষকে গোষ্ঠীগত কিছু বাধ্যবাধকতা বা দায়িত্ব পালন করতে হত। কোবো এই কৃষিপণ্য উৎপাদককে বা মাঝারি চাষীকে করদাতা হিসেবে মনে করতেন। এর বাইরে যাদের পেশা বা জীবিকা ছিল তাদের কর ব্যবস্থা বা আইনের মধ্যে রাখেনি।
এক্ষেত্রে কৃষক বা খামার মালিকের উৎপাদিত পণ্য কর-এর আওতাভুক্ত ছিল না। কিন্তু মিতা বা পরিষেবা ব্যবস্থাটা ছিল কর-কাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ একক। আদতে বলা ভাল যে কৃষি করের মূল উপাদান ছিল গোষ্ঠীগত শ্রম এবং মাঠ বা ক্ষেতের ফসল ফলানোর প্রক্রিয়া।
জীবিকা বা পেশা কাঠামো গড়ে উঠবার আরেকটি ক্ষেত্র হল ইনকাদের বিচার ব্যবস্থা। সরকারি কাজ-এর সহযোগী কর্মী হিসাবে থাকত বিচার-বিভাগের বিভিন্ন স্তরে নিযুক্ত কর্মীবৃন্দ। তবে ইনকাদের বিচার বিভাগীয় কাজ-এর ক্ষেত্রে আজকের দিনের মত বিচারক থাকত এমন নয়।
সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা তার স্থানীয় অঞ্চলে বিচার-সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করত। অন্য সূত্র থেকে জানা যায় যে ইনকাদের আদালতের মত যা ছিল তাতে মোট ১২ জন বিচারক থাকত।
(চলবে)