সারাক্ষণ রিপোর্ট
বরগুনায়, ৩৫ বছর বয়সী মন্টু চন্দ্র দাসের মৃতদেহ নিজের বসতবাড়ির পেছনের ঝোপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মন্টুর মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে। মন্টুর এই নির্মম মৃত্যুর শিকার হওয়ার একমাত্র কারণ, তার সপ্তম শ্রেনী পড়ুয়া মেয়ে ধর্ষিতা হবার পরে তিনি আদালতে তার বিচার চেয়েছিলেন।
২. ঘটনার বিবরণ
- অবস্থান ও সময়:
বরগুনায়, মন্টুর মৃতদেহ নিজ বাসস্থানের পেছনের ঝোপ থেকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ধারণা করছে, গত সোমবার (১০ মার্চ) রাতের কোনো সময় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে মৃতদেহ দেখে জরুরি সেবায় (৯৯৯) কল করা হয়।
- পেশা ও পারিবারিক পটভূমি:
মন্টু বরগুনা পৌর মুরগি বাজারের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। তিনি, মৃত জয়েশ্বর দাসের ছেলে, এবং তাঁর পরিবারে তিন মেয়ে আছে, যার মধ্যে একের বয়স মাত্র এক মাস। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে মন্টুর গুরুত্ব ছিল অপরিসীম।

- মামলার প্রেক্ষাপট:
সপ্তাহখানেক আগে, মন্টু তাঁর সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা করেছিলেন। মামলার প্রধান আসামি বর্তমানে জেলে থাকা অবস্থায়, তাঁর বন্ধু ও স্বজনদের উপর হত্যাকাণ্ডের সন্দেহ উঠেছে।
৩. পরিবারের ও পুলিশের প্রতিক্রিয়া
- পরিবারের দাবি:
মন্টুর স্ত্রী শিখা রানি দাস জানান, মামলার প্রধান আসামি ও তাঁর সাথে জড়িতদের হাত ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
- পুলিশের মন্তব্য:
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল হালিম বলেছেন, “ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মন্টুর মৃতদেহের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছি। প্রাথমিক পর্যায়ে মন্টুর মৃত্যু হত্যাকাণ্ড হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং পুলিশের তদন্ত চলছে।”
Leave a Reply