সারাক্ষণ রিপোর্ট
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকরা এখন থেকে ৯ মার্চ ২০১৪ থেকে দশম গ্রেডে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা ও সুবিধা পাবে। এতে প্রায় ৩০,০০০ জন প্রধান শিক্ষক উপকৃত হবেন।
আদালতের রায় ও শুনানির বিবরণ
- রায় জারি:
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে এই রায় প্রদান করেছে।
- পূর্ববর্তী নির্দেশ:
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯-এ হাইকোর্ট প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডসহ গেজেটেড মর্যাদা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল, যেখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয়ের জন্য ৯ মার্চ ২০১৪ থেকে দশম গ্রেডের বেতন স্কেল কার্যকর করার কথা বলা হয়।

কার্যকর করার সমস্যা ও পদক্ষেপ
- বিলম্ব ও আদালত অবমাননার মামলা:
হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের রায় তিন মাস ধরে কার্যকর না হওয়ায় প্রধান শিক্ষকরা আদালতের প্রতি অবমাননা করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
- নতুন নির্দেশনা:
২৭ জুন, হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ আদালতের রায় কার্যকর না করায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলে এক মাসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।
- সিভিল রিভিউ পিটিশন:
মন্ত্রণালয় দুই দিন আগেই সিভিল রিভিউ পিটিশন দাখিল করে। পরে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানির মাধ্যমে পিটিশন নিষ্পত্তি করে, যার ফলে আদালতের রায় প্রয়োগে আর কোনো বাধা থাকে না।
উপসংহার
এই রায়ের মাধ্যমে দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে দাবী করা মর্যাদা ও সুবিধা পেয়ে শিক্ষা খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে।
Leave a Reply