রাশিয়া যখন ইউক্রেন আক্রমন করে সে সময় পৃথিবীর স্বাধীনতাকামী মানুষ ইউক্রেন ও জেলনেস্কির পক্ষে ছিলো। কারণ, তারা মনে করেছিলো রাশিয়ার এ আগ্রাসন বাড়তে দিলে পৃথিবীর বড় রাষ্ট্রের পাশে অবস্থিত ছোট রাষ্ট্রগুলো বা বেলিস্টেটগুলোর স্বাধীনতা ভবিষ্যতে বিপন্ন হবে। এ কারণে আমেরিকার গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাকামীও মানুষ তাদের ট্যাক্সের টাকার বিপুল খরচ মেনে নিয়েছিলো। আমেরিকার মানুষ ধনী। তারা এ খরচ বইতে পারে। তবে পৃথিবীতে অনেক দরিদ্র দেশের মানুষও অন্য দেশের প্রকৃত স্বাধীনতা ও গনতন্ত্র’র জন্যে অনেক ত্যাগ করে। মেনে নেয় তাদের ট্যাক্সের টাকার ভিন্ন দেশের স্বার্থে খরচ হওয়া। যা বাংলাদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে দেখেছে। তাদের দেশের স্বাধীনতার জন্যে ভারতের দরিদ্র মানুষ কীভাবে ট্যাক্স দিয়েছে তাদের সরকারকে- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সাহায্য করতে।
কিন্তু ইউক্রেনের নেতা জেলনেস্কি তার দেশের স্বাধীনতা রক্ষার কাজে মনোযোগী না থেকে এক পর্যায়ে সে বাইডেন এবং তার দুর্নীতিগ্রস্থ ছেলে হান্টার বাইডেনের চক্রে ঢুকে যায়। যার মূল উদ্দেশ্য ছিলো, বাইডেন নিয়ন্ত্রিত ডিপস্টেটকে কাজ লাগিয়ে ইউক্রেনের মানুষকে মূলত তাদের স্বাধীনতা রক্ষার বদলে সন্ত্রাসী কাজের জন্যে উপযোগী করে তোলা। এছাড়া হান্টার বাইডেন ও বাইডেন প্রশাসন নিয়ন্ত্রিত ডিপস্টেট এর অসাধু লোকদের যুদ্ধের নামে বরাদ্দ অর্থ থেকে ভাগ নেবার পথ করে দেয়া। সর্বোপরি ইউক্রেনের স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধকে ন্যাটো বনাম রাশিয়ার যুদ্ধে পরিণত করে এক ধরনের বিশ্বযুদ্ধের আবহাওয়া তৈরি করা। আর এ ধরনের যুদ্ধ আবহাওয়ায় সব থেকে সুবিধা নেয় বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে থাকা আন্ডারওয়ার্ল্ডের নানান মাফিয়া ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী গোষ্টি। এছাড়া বাইডেন প্রশাসন যখন এ যুদ্ধকে ন্যাটো বনাম রাশিয়ার যুদ্ধে পরিণত করে বিশ্ব-মাফিয়াদের পক্ষে কাজ করে, জেলনেস্কিও সেই কাজকে এগিয়ে নেবার পথে হাঁটে।
বর্তমানে ট্রাম্প প্রশাসন আমেরিকার জনগনের অর্থ রক্ষা ও পাশাপাশি বিশ্বকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’র হাত থেকে রক্ষার জন্যে সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলে শান্তি প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে ইতোমধ্যে প্রমানিত হয়ে গেছে, জেলনেস্কি জড়িত হয়ে পড়েছিলো বাইডেন প্রশাসনের অনৈতিক কাজের সঙ্গে। এমনকি জেলনেস্কি’র অনেক সন্ত্রাসী এখন আমেরিকাতে এলন মাস্কের টেলসা গাড়ি ও তার ডিলারদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। যাদেরকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইতোমধ্যে আন্তদেশীয় সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করেছে। শুধু এখানে শেষ নয়, বড় অর্থনীতির পাশের এই ছোট দেশ বা বেলিস্টেট গুলো যাতে এভাবে আর্ন্তজাতিক সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে না ঢুকে পড়ে সে ব্যবস্থা গ্রহনকে তারা জরুরী বলে মনে করছে। যে কারণ বড় অর্থনীতির দেশগুলো এই ধরেনর সমস্যাযুক্ত ছোট দেশের ক্ষমতা ও তাদের কোন নেতা যদি সন্ত্রাসীদের সহযোগী হয় -তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে- সে বিষয়ে একটা ঐকমত্য তৈরি পথে, যা এখন স্পষ্ট। যেমনটি ঘটেছিলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ক্রিমিয়া সম্মেলনের মাধ্যমে। তার ফলে জাপান, কোরিয়া, জার্মানী’র মত বড় শক্তিরও স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। জেলনেস্কির ভুলের কারণে পৃথিবীর অনেক বেলিস্টেট সহ সমস্যাযুক্ত রাষ্ট্রের স্বাধীনতার ভবিষ্যত এখন সে পথেই।