০২:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
স্ট্রেঞ্জার থিংস’-এর শেষ অধ্যায়—নেটফ্লিক্সের মহাকাব্যিক সিরিজের অন্তরালের গল্প ‘হোয়েন দে বার্নড দ্য বাটারফ্লাই’—নারী গোপন সমাজের ইতিহাস ও আগুনের শক্তি নিয়ে ওয়েন–ই লির নতুন উপন্যাস মেগান লাউ—দর্শনশাস্ত্রের শিক্ষার্থী থেকে ‘হাউস অব ড্যান্সিং ওয়াটার’-এর আকাশচারী নায়িকা সুদানের জ্বালানি পুনর্গঠনে রাশিয়া—যুদ্ধোত্তর পুনরুদ্ধারে মস্কো প্রধান অংশীদার হতে পারে আফগানিস্তানে মাদকবিরোধী কঠোর অভিযান—আসক্তি, ধর্মীয় উপদেশ ও পুনর্বাসনের নতুন বাস্তবতা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪৩) অফিসে ফিরছে ওয়াই-টু-কে ফ্যাশন—জেন জেডের হাতে ড্রেস কোডের বদল মানসিক রোগের ভাইরাস কোথা থেকে আসছে হোক্কাইদোতে স্যামন রোর দাম চড়া—ধরা কম, খরচ বেশি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

পাকিস্তানে ট্রেন ছিনতাই: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১, উত্তেজনা অব্যাহত

  • Sarakhon Report
  • ০৬:১০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
  • 82

সারাক্ষণ ডেস্ক

ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ

মঙ্গলবার পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)-র জঙ্গিরা জাফর এক্সপ্রেস ট্রেন ছিনতাই করে। এ ঘটনায় ৩১ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে সেনা সদস্য, রেলওয়ে কর্মী এবং সাধারণ যাত্রী রয়েছেন।

ছিনতাইয়ের বিবরণ

জাফর এক্সপ্রেস যখন বেলুচিস্তানের প্রত্যন্ত পাহাড়ি পথ অতিক্রম করছিল, তখন জঙ্গিরা বিস্ফোরকের সাহায্যে রেললাইন উড়িয়ে দিয়ে ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে। প্রায় ৩০ ঘণ্টার টানটান উত্তেজনার পর পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী উদ্ধার অভিযান চালায়। সামরিক বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, অভিযানে ৩৩ জন বিদ্রোহী নিহত হয় এবং ৩৫৪ জন জিম্মিকে উদ্ধার করা হয়।

নিহত ও উদ্ধার অভিযান

নিহতদের মধ্যে ২৩ জন সেনা সদস্য, তিনজন রেলওয়ে কর্মী এবং পাঁচজন সাধারণ যাত্রী রয়েছেন। উদ্ধার অভিযান জটিল হয়ে পড়ে, কারণ জঙ্গিরা আত্মঘাতী বোমা পরার পাশাপাশি জিম্মিদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছিল, যা নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।

দাবি ও পাল্টা দাবি

বিএলএ এ হামলার দায় স্বীকার করেছে এবং দাবি করেছে যে তাদের যোদ্ধারা ২১৪ জন জিম্মিকে নিয়ে পালিয়ে গেছে এবং তাদের সবাইকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এর পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে অতিরিক্ত কোনো জিম্মিকে অপহরণের প্রমাণ নেই।

আঞ্চলিক প্রভাব

বিএলএ দীর্ঘদিন ধরে একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিসেবে সক্রিয়, যারা বেলুচিস্তানের খনিজ সম্পদসমৃদ্ধ এলাকায় অধিক স্বায়ত্তশাসন ও নিয়ন্ত্রণ দাবি করছে। এ অঞ্চলটি চীনের নেতৃত্বে পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যার মধ্যে বন্দর ও খনিশিল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অতীতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো এসব প্রকল্পে হামলা চালিয়েছে।

সরকারের প্রতিক্রিয়া

পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে যে প্রতিবেশী দেশ, বিশেষ করে ভারত ও আফগানিস্তান, বিদ্রোহীদের সহায়তা দিচ্ছে। তবে উভয় দেশই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পাকিস্তান সরকার বিদ্রোহ মোকাবিলায় আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছে।

উপসংহার

এই মর্মান্তিক ঘটনা পাকিস্তানে বিদ্রোহী কার্যকলাপ দমন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে দেশটির চ্যালেঞ্জকে আরও প্রকট করেছে। ব্যাপক প্রাণহানি এবং হামলার বিস্তৃতি সমস্যাটির গভীরতা প্রকাশ করে, যা সমাধানে দীর্ঘমেয়াদী কৌশল গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্ট্রেঞ্জার থিংস’-এর শেষ অধ্যায়—নেটফ্লিক্সের মহাকাব্যিক সিরিজের অন্তরালের গল্প

পাকিস্তানে ট্রেন ছিনতাই: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১, উত্তেজনা অব্যাহত

০৬:১০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ

মঙ্গলবার পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)-র জঙ্গিরা জাফর এক্সপ্রেস ট্রেন ছিনতাই করে। এ ঘটনায় ৩১ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে সেনা সদস্য, রেলওয়ে কর্মী এবং সাধারণ যাত্রী রয়েছেন।

ছিনতাইয়ের বিবরণ

জাফর এক্সপ্রেস যখন বেলুচিস্তানের প্রত্যন্ত পাহাড়ি পথ অতিক্রম করছিল, তখন জঙ্গিরা বিস্ফোরকের সাহায্যে রেললাইন উড়িয়ে দিয়ে ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে। প্রায় ৩০ ঘণ্টার টানটান উত্তেজনার পর পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী উদ্ধার অভিযান চালায়। সামরিক বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, অভিযানে ৩৩ জন বিদ্রোহী নিহত হয় এবং ৩৫৪ জন জিম্মিকে উদ্ধার করা হয়।

নিহত ও উদ্ধার অভিযান

নিহতদের মধ্যে ২৩ জন সেনা সদস্য, তিনজন রেলওয়ে কর্মী এবং পাঁচজন সাধারণ যাত্রী রয়েছেন। উদ্ধার অভিযান জটিল হয়ে পড়ে, কারণ জঙ্গিরা আত্মঘাতী বোমা পরার পাশাপাশি জিম্মিদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছিল, যা নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।

দাবি ও পাল্টা দাবি

বিএলএ এ হামলার দায় স্বীকার করেছে এবং দাবি করেছে যে তাদের যোদ্ধারা ২১৪ জন জিম্মিকে নিয়ে পালিয়ে গেছে এবং তাদের সবাইকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এর পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে অতিরিক্ত কোনো জিম্মিকে অপহরণের প্রমাণ নেই।

আঞ্চলিক প্রভাব

বিএলএ দীর্ঘদিন ধরে একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিসেবে সক্রিয়, যারা বেলুচিস্তানের খনিজ সম্পদসমৃদ্ধ এলাকায় অধিক স্বায়ত্তশাসন ও নিয়ন্ত্রণ দাবি করছে। এ অঞ্চলটি চীনের নেতৃত্বে পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যার মধ্যে বন্দর ও খনিশিল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অতীতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো এসব প্রকল্পে হামলা চালিয়েছে।

সরকারের প্রতিক্রিয়া

পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে যে প্রতিবেশী দেশ, বিশেষ করে ভারত ও আফগানিস্তান, বিদ্রোহীদের সহায়তা দিচ্ছে। তবে উভয় দেশই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পাকিস্তান সরকার বিদ্রোহ মোকাবিলায় আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছে।

উপসংহার

এই মর্মান্তিক ঘটনা পাকিস্তানে বিদ্রোহী কার্যকলাপ দমন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে দেশটির চ্যালেঞ্জকে আরও প্রকট করেছে। ব্যাপক প্রাণহানি এবং হামলার বিস্তৃতি সমস্যাটির গভীরতা প্রকাশ করে, যা সমাধানে দীর্ঘমেয়াদী কৌশল গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।