বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দেশে প্রথম এনজিএস-ভিত্তিক ক্যান্সার পরীক্ষা চালু করছে আইসিডিডিআর,বি দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবৃদ্ধিতে সবচেয়ে পিছিয়ে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ভারতের সুইজারল্যান্ডখ্যাত পহালগামের টেরোরিস্ট হামলা, রক্তের বন্যা অ্যান্টার্কটিকায় ছিনলিং স্টেশনে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির সাফল্যগাথার নেপথ্যে রাজনৈতিক দল গঠনের মৌসুম চলছে:  নতুন ৬০ এর বেশি আবেদন ইসিতে পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের স্মৃতিকথা (পর্ব-১৭৫) অনলাইনে আত্মপ্রকাশ করল চাইনিজ কালচারপিডিয়া আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৩৫) রাষ্ট্রীয় কাজের বাইরে যে ভাবে সারাদিন দিল্লি কাটালেন ভ্যান্স তার পরিবার নিয়ে প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫৫)

রণক্ষেত্রে (পর্ব-১২)

  • Update Time : শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ১০.০০ পিএম

আর্কাদি গাইদার

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

ধোঁয়ার গন্ধওয়ালা ঝল‌সানো হাঁসটাকে ছি’ড়ে টুকরো-টুকরো করে পরম তৃপ্তিতে ভোজ লাগালুম আমরা। আর বন্ধুর মতো দু-জনে গল্পগুজব শুরু করলুম।

সঙ্গী জুটে যাওয়ায় ভারি খুশি হয়েছিলুম সেদিন। আমার মনে ফের নতুন করে সাহস ফিরে এল। ভাবলুম, যে-বিপদে জড়িয়ে পড়েছি দু-জনে মিলে নিশ্চয় আমরা তা থেকে উদ্ধারের একটা উপায় খুজে বের করতে পারব।

‘সূর্য’ আকাশে থাকতে-থাকতে এস খানিক ঘুমিয়ে নিই,’ আমার নতুন সঙ্গী পরামর্শ দিল। ‘অন্তত এখন ঘুমটা তো ভালো হবে। রাত্রে যা ঠান্ডা, ঘুমনো যাবে ना।’

একটা ফাঁকা জায়গা বেছে নিয়ে শুলুম আমরা। সঙ্গে সঙ্গে ঢুলুনি এসে গেল। খুব সম্ভব ঘুমিয়েই পড়েছিলুম, কিন্তু একটা হতচ্ছাড়া পি’পড়ে আমার নাকের মধ্যে ঢুকে পড়ায় ঘুমটা গেল ভেঙে। তাড়াতাড়ি উঠে বসে নাক ঝাড়লুম। আমার সঙ্গীটি দেখলুম গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। ওর টিউনিকের গলার বোতামটা খোলা আর কলারের ভেতরদিকে ক্যাম্বিসের আন্তরটা দেখা যাচ্ছে। দেখি, সেই আন্তরের গায়ে কালো কালিতে ছাপমারা কটা অক্ষর ‘সি-টি. এ. সি. সি.।’

ভাবলুম, ‘ওটা আবার কোন্ ইশকুল? আমার বেল্টের বসে তো ‘এ. টি. এচ. এস’ এই চারটে অক্ষর খোদাই-করা। তার মানে, ‘আরুজ্জামাস টেকনিক্যাল হাই স্কুল’। কিন্তু ওর দেখছি লেখা আছে প্রথমে ‘সি-টি.’, তারপর ‘এ.সি.সি.’।’ অক্ষর কটার মানে নানাভাবে বের করার চেষ্টা করলুম, কিন্তু পারলুম না। ভাবলুম, ‘ও জেগে উঠলে পর জানতে চাইব।’

গুরুপাক খাবার খেয়ে তেষ্টা পেয়ে গিয়েছিল। কাছাকাছি কোথাও জল ছিল না। তাই ঠিক করলুম খাদের একেবারে তলায় নামব। ধারণা ছিল ওখানে নিশ্চয়ই নদীর সন্ধান পাওয়া যাবে। সত্যিই ছোট নদীর সন্ধান পাওয়া গেল, কিন্তু তার পাড়ের কাছটা পাঁকে এত পেছল যে নদীতে নামা সম্ভব হল না। একটা শুকনো জায়গার সন্ধানে তাই আরও খানিকটা এগিয়ে গেলুম। খাদের ভিতরে দেখলুম নদীর পাশে পাশে একটা ঘোড়া গাড়ি চলার সরু রাস্তা চলে গেছে। সেখানে ভিজে মাটির ওপর ঘোড়ার খুরের দাগ আর ঘোড়ার টাটকা নাদ নজরে পড়ল। দেখে মনে হল যেন সেই দিন সকালেই একপাল ঘোড়াকে ওই মেঠো পথ ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024