রেজাই রাব্বী
দেশের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডের নাম বললেই প্রথমেই আসে ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠান আড়ং-এর কথা। দেশীয় ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে হস্তশিল্পকে নগরজীবনে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যেই শুরু হয় এ ব্র্যান্ডের যাত্রা। ‘আড়ং’ শব্দের অর্থই ‘গ্রাম্য মেলা’।
পণ্যের বৈচিত্র্য
শুধু পোশাক নয়, আড়ং এক ছাদের নিচে নিয়ে এসেছে—
- গহনা (স্বর্ণ, রৌপ্য, মুক্তা, কাঠের অলঙ্কার)
- চামড়াজাত পণ্য (জুতা, ব্যাগ, বেল্ট, ওয়ালেট)
- হস্তশিল্প (মৃৎশিল্প, কাঠ ও ধাতব কাজ)
- গৃহসজ্জার সামগ্রী (সিরামিক, শোপিস)
- প্রসাধনী (হারবাল)
প্রায় ১০০টির বেশি ক্যাটাগরির পণ্য পাওয়া যায় আড়ং-এ। শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক—সব বয়সের জন্যই আছে পোশাক।
কেনাকাটার ভিড়
সরেজমিনে দেখা গেছে, গুলশান আড়ং আউটলেটে ঈদ উপলক্ষে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ফাহিমা আক্তার নামে এক ক্রেতা সারাক্ষণকে বলেন, “প্রতি বছরই পরিবারের জন্য এখান থেকে কেনাকাটা করি। ভিড় থাকলেও পছন্দের সব কিছুই পেয়েছি।”
এক বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, “দেশীয় ঐতিহ্যকে তুলে ধরার পাশাপাশি কাপড়ের গুণগত মান ধরে রাখার কারণেই ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করেছে আড়ং।”
উপ-ব্র্যান্ড ও প্রসার
আড়ং-এর অধীনে রয়েছে আরও কিছু ব্র্যান্ড:
- তাগা
- তাগা ম্যান
- হারস্টোরি বাই আড়ং – যা শুধু লিমিটেড কালেকশন নিয়ে আসে
- আড়ং আর্থ – হারবাল প্রসাধনী ব্র্যান্ড
এই সব পণ্যই আড়ংয়ের বিভিন্ন আউটলেটে পাওয়া যায়।
আড়ংয়ের বর্তমান পরিসর
বর্তমানে বাংলাদেশের ৮টি শহরে আড়ংয়ের ৩১টি বিক্রয় শাখা রয়েছে। কর্মীদের প্রায় ৪৫ শতাংশই নারী। সম্প্রতি ধানমন্ডিতে চালু হয়েছে নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্টোর, যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রাফট শপ হওয়ার দাবি করছে প্রতিষ্ঠানটি।