সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
- চলতি অর্থবছরে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি প্রায় ৪.৮৪ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে
- অতীতের কিছু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় সরকার বিদেশি ঋণ গ্রহণে দ্বিধা বোধ করছে
- নতুন ঋণ কম নেওয়া হলেও, পুরনো ঋণ পরিশোধের দায় বাড়ছে এবং ভবিষ্যতে এই চাপ অব্যাহত থাকবে
- বিদেশি ঋণের উপর নির্ভরতা কমাতে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে সুশাসন নিশ্চিত করা এবং দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এবং কিছু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রকল্প থেকে সরে যাওয়ায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। এর ফলে, চলতি অর্থবছরে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি কমে গেছে প্রায় ৪.৮৪ বিলিয়ন ডলার।
সতর্কতা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত জুলাই-আগস্টে প্রশাসনে বড় রকমের রদবদলের পর সরকার নতুন কোনো উন্নয়ন প্রকল্পে বিদেশি ঋণ নেওয়ার ব্যাপারে অনেক বেশি সতর্ক।
পুরনো ঋণ শোধের চাপ বাড়ছে
যদিও নতুন করে কম ঋণ নেওয়া হচ্ছে, পুরনো ঋণ শোধের দায়বদ্ধতা বাড়ছে এবং ভবিষ্যতেও এই চাপ অব্যাহত থাকবে। তবুও, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য এখনো বিদেশি ঋণ প্রয়োজন। তবে সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকলে ঋণ প্রবাহ কমে যাওয়াটা ভবিষ্যতের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
ERD-এর তথ্য: ঋণ প্রতিশ্রুতি কারা কত দিয়েছে
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ সরকার যেসব ঋণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে:
- বিশ্বব্যাংক: $944.5 মিলিয়ন
- এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (ADB): $700 মিলিয়ন
- জাপান: $252 মিলিয়ন
- AIIB (এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক): $160 মিলিয়ন
কারা কত ঋণ ছেড়েছে
একই সময়ে নিচের দেশ ও সংস্থাগুলো বাংলাদেশকে যে পরিমাণ ঋণ ছেড়েছে:
- ADB: $1.13 বিলিয়ন
- বিশ্বব্যাংক: $959.14 মিলিয়ন
- জাপান: $728.39 মিলিয়ন
- রাশিয়া: $536.87 মিলিয়ন
- চীন: $267.81 মিলিয়ন
- ভারত: $96.80 মিলিয়ন
পরিশেষে: সুশাসনের গুরুত্ব
বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরতা কমাতে চাইলে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে সুশাসন নিশ্চিত করা ও দক্ষতা বাড়ানো জরুরি। তবে এখনই ঋণ প্রতিশ্রুতি ও বিতরণ কমে যাওয়া ভবিষ্যতের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সংকেত হয়ে উঠতে পারে।