০৭:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

শ্রদ্ধা–ভালোবাসায় বীর সন্তানদের স্মরণ করবে জাতি

  • Sarakhon Report
  • ০৮:৩৭:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
  • 24

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “শ্রদ্ধা–ভালোবাসায় বীর সন্তানদের স্মরণ করবে জাতি”

শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার ফুলে আজ ভরে উঠবে স্মৃতির মিনার সাভার স্মৃতিসৌধ। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত লড়াইটা শুরু হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ। আজ বুধবার ৫৫তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও গৌরবময় জাতীয় দিবস। জাতি বীর শহীদদের আত্মদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে আজ।

একাত্তরের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাঙালি জাতির ওপর হামলে পড়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। কিন্তু বাঙালি জাতি সর্বশক্তি দিয়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের সূচনা করে। ৯ মাসের ধারাবাহিক রক্তক্ষয়ী লড়াই, অকাতরে আত্মদান এবং বীরত্বের স্বাক্ষর রেখে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্‌যাপনের জন্য সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এ উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা আয়োজনে গৌরবের দিনটি পালন করবে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ভোরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক দলের নেতা, সামাজিক সংগঠন ও সর্বস্তরের মানুষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে যাবেন।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা”

মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (২৬ মার্চ) ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদিতে রাষ্ট্রপতি এবং এরপর ৬ টা ১১ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এসময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার দেয়।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “পাকিস্তান আমলের স্বৈরতন্ত্রের মডেল অনুসৃত হয়েছে বাংলাদেশেও”

ইস্কান্দার মির্জাকে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত করে ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের শাসনভার হাতে তুলে নেন আইয়ুব খান। এর পর এক দশকেরও বেশি সময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে তিনি সক্ষম হয়েছিলেন। তার স্বৈরশাসনকে দীর্ঘস্থায়ী করার কারিকর হিসেবে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখে সিএসপি (সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তান) আমলাতন্ত্র ও এলিট সামরিকতন্ত্র। শুধু আইয়ুব খান নন, পাকিস্তানে তার পরে ক্ষমতায় আসা স্বৈরশাসকদেরও ক্ষমতার বড় ভরকেন্দ্র ছিলেন এলিট সিএসপি ও মিলিটারি কর্মকর্তারা।

এমনকি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশেও স্বৈরশাসনের ক্ষেত্রে একই মডেল অনুসৃত হয়েছে, যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও শেখ হাসিনার শাসনামল। সরকারি আমলা ও সামরিক বাহিনীর অনুগত এলিটদের সহায়তায় টানা দেড় দশক ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড গড়েছেন শেখ হাসিনা। একই কায়দায় এরশাদও ক্ষমতায় ছিলেন টানা সাত বছর।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। পরে ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে অনুসরণ করেন পাকিস্তানের কৌশল, যেখানে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয় সেনাবাহিনী ও আমলাদের। এতে বেশ সফলও হন জেনারেল এরশাদ।

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে বিধি অনুযায়ী আমলা ও সামরিক কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকায় থাকার কথা। যদিও এ দুই মহলে শেখ হাসিনার অনুগতরা উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনে ভূমিকা রেখেছিলেন অনেকটা দলীয় কর্মীর মতোই। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর শাসনামলকে স্বৈরতান্ত্রিক রূপ দেয়ার ক্ষেত্রে আমলাদের নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন এইচটি ইমাম। সাবেক এ সিএসপি কর্মকর্তাকে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর নিজের জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালে দেয়া হয় রাজনৈতিক উপদেষ্টার দায়িত্ব।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “হাসপাতালেই ঈদ কাটবে তাদের”

প্রায় আট মাস আগে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত হয়েছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়েছিল শরীর। গুলিতে কারও হাতকাটা পড়েছে। কারও পা। কারও চোখের আলো নিভেছে আজীবনের জন্য। আন্দোলনে প্রায় দেড় হাজার মানুষ জীবন দিয়েছেন। আহত হন ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ। আহতদের একটি অংশ এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঈদ কড়া নাড়লেও তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতাল), চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটসহ আরও কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন এসব আহতরা। নির্যাতনের ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন তারা।

তারা শুধু নিজেদের আহত শরীর নিয়ে নয়, বরং পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ না করতে পারার আফসোস নিয়েও দিন কাটাচ্ছেন। আগের বছরগুলোতে পরিবারের সঙ্গে ঈদের খুশি ভাগ করে নেয়া হলেও, এবার শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা তাদের পিছু ছাড়ছে না। আগের বছরগুলোতে পরিজনের সঙ্গে কাটানো ঈদের স্মৃতি মনে করে কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। কেউ কেউ ছুটি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা করলেও শারীরিক অবস্থার অবনতির আশঙ্কা থাকায় ছুটি দিতে চাইছে না হাসপাতাল। আহতরা বলছেন, প্রতি বছর পরিবার পরিজন, বন্ধুদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করতাম। এবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছি।

সরজমিন রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল), জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তিকৃত জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে কথা বললে আহতরা জানিয়েছেন, তারা ছুটি নিয়ে বাড়ি যেতে চান, তবে শারীরিক অবস্থার কারণে শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। কেউ কেউ এতটাই গুরুতর আহত যে, আপাতত হাসপাতালের শয্যা ছাড়া আর কোনো আশ্রয় নেই। তাদের ঈদ হাসপাতালেই করতে হবে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বেশির ভাগেরই অপারেশনসহ চিকিৎসা কার্যক্রম চলমান। অনেকেরই ২/৩ বার করে অপারেশন হয়েছে। অনেকের বিশ্রাম দরকার। আবার কারও কারও থেরাপি দিতে হচ্ছে। এমন রোগীরা চাইলে নিজ দায়িত্বে ছুটি নিয়ে যেতে পারবে। নিয়মিত চেকআপের অংশ হিসেবে তাদের আসতে হবে মাঝেমধ্যে।

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রদ্ধা–ভালোবাসায় বীর সন্তানদের স্মরণ করবে জাতি

০৮:৩৭:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “শ্রদ্ধা–ভালোবাসায় বীর সন্তানদের স্মরণ করবে জাতি”

শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার ফুলে আজ ভরে উঠবে স্মৃতির মিনার সাভার স্মৃতিসৌধ। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত লড়াইটা শুরু হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ। আজ বুধবার ৫৫তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও গৌরবময় জাতীয় দিবস। জাতি বীর শহীদদের আত্মদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে আজ।

একাত্তরের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাঙালি জাতির ওপর হামলে পড়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। কিন্তু বাঙালি জাতি সর্বশক্তি দিয়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের সূচনা করে। ৯ মাসের ধারাবাহিক রক্তক্ষয়ী লড়াই, অকাতরে আত্মদান এবং বীরত্বের স্বাক্ষর রেখে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্‌যাপনের জন্য সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এ উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা আয়োজনে গৌরবের দিনটি পালন করবে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ভোরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক দলের নেতা, সামাজিক সংগঠন ও সর্বস্তরের মানুষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে যাবেন।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা”

মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (২৬ মার্চ) ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদিতে রাষ্ট্রপতি এবং এরপর ৬ টা ১১ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এসময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার দেয়।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “পাকিস্তান আমলের স্বৈরতন্ত্রের মডেল অনুসৃত হয়েছে বাংলাদেশেও”

ইস্কান্দার মির্জাকে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত করে ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের শাসনভার হাতে তুলে নেন আইয়ুব খান। এর পর এক দশকেরও বেশি সময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে তিনি সক্ষম হয়েছিলেন। তার স্বৈরশাসনকে দীর্ঘস্থায়ী করার কারিকর হিসেবে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখে সিএসপি (সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তান) আমলাতন্ত্র ও এলিট সামরিকতন্ত্র। শুধু আইয়ুব খান নন, পাকিস্তানে তার পরে ক্ষমতায় আসা স্বৈরশাসকদেরও ক্ষমতার বড় ভরকেন্দ্র ছিলেন এলিট সিএসপি ও মিলিটারি কর্মকর্তারা।

এমনকি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশেও স্বৈরশাসনের ক্ষেত্রে একই মডেল অনুসৃত হয়েছে, যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও শেখ হাসিনার শাসনামল। সরকারি আমলা ও সামরিক বাহিনীর অনুগত এলিটদের সহায়তায় টানা দেড় দশক ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড গড়েছেন শেখ হাসিনা। একই কায়দায় এরশাদও ক্ষমতায় ছিলেন টানা সাত বছর।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। পরে ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে অনুসরণ করেন পাকিস্তানের কৌশল, যেখানে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয় সেনাবাহিনী ও আমলাদের। এতে বেশ সফলও হন জেনারেল এরশাদ।

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে বিধি অনুযায়ী আমলা ও সামরিক কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকায় থাকার কথা। যদিও এ দুই মহলে শেখ হাসিনার অনুগতরা উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনে ভূমিকা রেখেছিলেন অনেকটা দলীয় কর্মীর মতোই। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর শাসনামলকে স্বৈরতান্ত্রিক রূপ দেয়ার ক্ষেত্রে আমলাদের নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন এইচটি ইমাম। সাবেক এ সিএসপি কর্মকর্তাকে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর নিজের জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালে দেয়া হয় রাজনৈতিক উপদেষ্টার দায়িত্ব।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “হাসপাতালেই ঈদ কাটবে তাদের”

প্রায় আট মাস আগে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত হয়েছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়েছিল শরীর। গুলিতে কারও হাতকাটা পড়েছে। কারও পা। কারও চোখের আলো নিভেছে আজীবনের জন্য। আন্দোলনে প্রায় দেড় হাজার মানুষ জীবন দিয়েছেন। আহত হন ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ। আহতদের একটি অংশ এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঈদ কড়া নাড়লেও তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতাল), চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটসহ আরও কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন এসব আহতরা। নির্যাতনের ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন তারা।

তারা শুধু নিজেদের আহত শরীর নিয়ে নয়, বরং পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ না করতে পারার আফসোস নিয়েও দিন কাটাচ্ছেন। আগের বছরগুলোতে পরিবারের সঙ্গে ঈদের খুশি ভাগ করে নেয়া হলেও, এবার শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা তাদের পিছু ছাড়ছে না। আগের বছরগুলোতে পরিজনের সঙ্গে কাটানো ঈদের স্মৃতি মনে করে কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। কেউ কেউ ছুটি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা করলেও শারীরিক অবস্থার অবনতির আশঙ্কা থাকায় ছুটি দিতে চাইছে না হাসপাতাল। আহতরা বলছেন, প্রতি বছর পরিবার পরিজন, বন্ধুদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করতাম। এবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছি।

সরজমিন রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল), জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তিকৃত জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে কথা বললে আহতরা জানিয়েছেন, তারা ছুটি নিয়ে বাড়ি যেতে চান, তবে শারীরিক অবস্থার কারণে শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। কেউ কেউ এতটাই গুরুতর আহত যে, আপাতত হাসপাতালের শয্যা ছাড়া আর কোনো আশ্রয় নেই। তাদের ঈদ হাসপাতালেই করতে হবে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বেশির ভাগেরই অপারেশনসহ চিকিৎসা কার্যক্রম চলমান। অনেকেরই ২/৩ বার করে অপারেশন হয়েছে। অনেকের বিশ্রাম দরকার। আবার কারও কারও থেরাপি দিতে হচ্ছে। এমন রোগীরা চাইলে নিজ দায়িত্বে ছুটি নিয়ে যেতে পারবে। নিয়মিত চেকআপের অংশ হিসেবে তাদের আসতে হবে মাঝেমধ্যে।