০১:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক: আইনগত বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ

  • Sarakhon Report
  • ০৭:০৬:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • 24

সারাক্ষণ রিপোর্ট

হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে, যেখানে বলা হচ্ছে বিয়ের প্রলোভনে সংঘটিত যৌন সম্পর্ককে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করার আইন অসাংবিধানিক। রিটটি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রাশিদুল হাসান এবং মানবাধিকার সংস্থা ‘এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশন’ এর পক্ষ থেকে আইনজীবী ইশরাত হাসানের মাধ্যমে দায়ের করা হয়েছে।

মূল দাবী
রিটে দাবি করা হয়েছে যে, দুই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির সম্মতিতে সংঘটিত যৌন সম্পর্ককে শুধুমাত্র ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি’ না রাখার কারণে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হলে তা ব্যক্তির স্বাধীনতা ও নারীর সম্মতির অধিকারের লঙ্ঘন হবে। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, এই আইন নারীকে ‘নির্বোধ’ বা ‘লোভী’ হিসেবে চিত্রায়িত করে, যা নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ও মর্যাদার প্রতি অসম্মান।

বিচারের গুরুত্ব
আইনজীবী ইশরাত হাসান যুক্তি প্রদান করেন, “প্রতিশ্রুতি না রাখার ভিত্তিতে শুধুমাত্র পুরুষের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটি নাগরিক অধিকার এবং ন্যায়বিচারের বিরুদ্ধে।” এই যুক্তির ভিত্তিতে রিটটি আইন বাতিলের দাবি নিয়ে দায়ের করা হয়েছে। রিট আবেদনের শুনানির জন্য বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালেদীর সমন্বয়ে একটি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে।

উপসংহার
এই রিটের মাধ্যমে বিচারব্যবস্থার কাছে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন একটি প্রাপ্তবয়স্ক দম্পতির সম্মতিতে সংঘটিত যৌন সম্পর্ককে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। রিটকারীরা দাবি করছেন, এই আইন ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও নারীর সম্মতির অধিকারের প্রতি আঘাত হানে।

বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক: আইনগত বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ

০৭:০৬:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে, যেখানে বলা হচ্ছে বিয়ের প্রলোভনে সংঘটিত যৌন সম্পর্ককে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করার আইন অসাংবিধানিক। রিটটি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রাশিদুল হাসান এবং মানবাধিকার সংস্থা ‘এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশন’ এর পক্ষ থেকে আইনজীবী ইশরাত হাসানের মাধ্যমে দায়ের করা হয়েছে।

মূল দাবী
রিটে দাবি করা হয়েছে যে, দুই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির সম্মতিতে সংঘটিত যৌন সম্পর্ককে শুধুমাত্র ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি’ না রাখার কারণে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হলে তা ব্যক্তির স্বাধীনতা ও নারীর সম্মতির অধিকারের লঙ্ঘন হবে। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, এই আইন নারীকে ‘নির্বোধ’ বা ‘লোভী’ হিসেবে চিত্রায়িত করে, যা নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ও মর্যাদার প্রতি অসম্মান।

বিচারের গুরুত্ব
আইনজীবী ইশরাত হাসান যুক্তি প্রদান করেন, “প্রতিশ্রুতি না রাখার ভিত্তিতে শুধুমাত্র পুরুষের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটি নাগরিক অধিকার এবং ন্যায়বিচারের বিরুদ্ধে।” এই যুক্তির ভিত্তিতে রিটটি আইন বাতিলের দাবি নিয়ে দায়ের করা হয়েছে। রিট আবেদনের শুনানির জন্য বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালেদীর সমন্বয়ে একটি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে।

উপসংহার
এই রিটের মাধ্যমে বিচারব্যবস্থার কাছে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন একটি প্রাপ্তবয়স্ক দম্পতির সম্মতিতে সংঘটিত যৌন সম্পর্ককে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। রিটকারীরা দাবি করছেন, এই আইন ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও নারীর সম্মতির অধিকারের প্রতি আঘাত হানে।