সারাক্ষণ রিপোর্ট
দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী আয়োজন
বাংলা নববর্ষ উদযাপনে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘টেলিহোম’ একটি সুপরিচিত নাম। ১৯৯৫ সাল থেকে মোঃ আলী বশীর ও তার স্ত্রী শামীমা শাম্মী—যিনি একজন পরিচিত উপস্থাপিকা, নাট্যকার ও নাট্যনির্দেশক—এই আয়োজন নিয়মিতভাবে করে আসছেন। পহেলা বৈশাখে তাদের এই ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন তারকাদের কাছে এক অনন্য আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।
শিল্পীরা এই অনুষ্ঠানকে শুধুই আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে নয়, বরং নববর্ষ উদযাপনের আবশ্যিক অংশ হিসেবে দেখে থাকেন। তাই প্রতিবছর তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে শোবিজ অঙ্গনের বহু পরিচিত মুখ এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এবারের ১৪৩২ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখও তার ব্যতিক্রম ছিল না।
গুলশানে জমজমাট আয়োজন
রাজধানীর গুলশানের জারা কনভেনশন সেন্টারে সকাল থেকেই জমে ওঠে টেলিহোমের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় ছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় অভিনেতা-অভিনেত্রী ও বিনোদন অঙ্গনের পরিচিত মুখরা। উপস্থিত ছিলেন:
আবুল হায়াত ও স্ত্রী শিরীন হায়াত, দিলারা জামান, রহমত আলী ও জলি, চিত্রলেখা গুহ ও উত্তম গুহ, তৌকীর আহমেদ, আমিন খান, মোশাররফ করিম ও জুঁই, শাহনাজ খুশী, মনিরা মিঠু, মুনিরা ইউসুফ মেমী, বৃন্দাবন দাস, দিব্য সৌম্য, মীর সাব্বির ও চুমকি, শাহেদ আলী, দীপা, তাহমিনা সুলতানা মৌ, বিন্দু, কণা, সুষমা, শ্যামল মাওলা, জাকিয়া বারী মম, সজল, শাহেদ ও নাতাশা, নিলয়, তানিয়া বৃষ্টি, হিমি, আরশ খান, নাজনীন চুমকি, সুমাইয়া শিশু, জেবুন্নেসা টুনটুনি ও ছেলে নির্ঝর চৌধুরী, রাজীব সালেহীন ও শর্মীমালা, মৌসুমী ও ওমর সানী, চয়নিকা চৌধুরী, মিম চৌধুরী, স্বাগতা, শবনম ফারিয়া, সারিকা সাবাহ, নিশাত প্রিয়ত, আলিফ চৌধুরী, মুকিত জাকারিয়া, চাঁদনী, শান্তা ইসলাম, নাসিম ও রওনক, স্পর্শিয়া, মোমেনা চৌধুরী, নীরব ও লিজা, শহীদ উন নবী, অনিক, শিরতাজ জেবিন, শেলী আহসান, পাপিয়াসহ আরও অনেকেই।
কনার পরিবেশনায় সুর ও নৃত্যের উৎসব
দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে মঞ্চে ওঠেন জনপ্রিয় গায়িকা কনা। তার পরিবেশিত ‘কন্যা’ গানটি দর্শকদের আনন্দে মাতিয়ে তোলে। গান শুরু হওয়ার সাথে সাথেই দর্শকরা মঞ্চের সামনে এসে নাচে গানে অংশ নেন।
সবচেয়ে চমকপ্রদ মুহূর্ত তৈরি হয় যখন কনা তার জনপ্রিয় গান ‘দুষ্টু কোকিল’ পরিবেশন করেন এবং মঞ্চে উঠে কিংবদন্তী অভিনেত্রী দিলারা জামানও এতে পারফর্ম করেন। উপস্থিত সবাই এই মুহূর্তে মুগ্ধ হয়ে যান।
এরপর আরও কয়েকটি গান পরিবেশন করে কনা তার একক পরিবেশনা শেষ করেন, যা পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে এক আনন্দঘন আবহ তৈরি করে।
সারাংশ
টেলিহোমের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান কেবল একটি সাংস্কৃতিক আয়োজন নয়, এটি একপ্রকার শিল্পীদের মিলনমেলা। পহেলা বৈশাখে এমন একটি আয়োজনে বহু গুণীজনের অংশগ্রহণ এবং সুর-নৃত্য-আড্ডায় ভরা সময় আসলে বাংলা সংস্কৃতির আনন্দঘন চিত্রই তুলে ধরে।
Leave a Reply