সারাক্ষণ ডেস্ক
নতুন ট্যারিফ কাঠামো অনুসারে, নতুন শিল্প ইউনিট এবং যেসব প্রতিষ্ঠান তাদের গ্যাস ব্যবহারে বৃদ্ধি করেছে, তাদের জন্য পুরনো গ্রাহকদের তুলনায় ৩৩% বেশি ট্যারিফ দিতে হবে, যদিও তারা একই শিল্প শ্রেণীতে পড়ে। এফআইসিসিআই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, এই মূল্য বৃদ্ধির কারণে অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হতে পারে এবং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
এফআইসিসিআই, যা ৩৫টি দেশের ২১টি সেক্টরের বিদেশী বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধিত্ব করে, জানিয়েছে যে, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির এই প্রভাবের ফলে নতুন ব্যবসা ও সম্প্রসারণকারী শিল্পগুলো উচ্চ অপারেশনাল খরচে পরিণত হতে পারে, যা দেশটির বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করবে। এফআইসিসিআইয়ের সভাপতি জাভেদ আখতার বলেছেন যে, একটি স্বচ্ছ, পূর্বানুমেয় এবং ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ কাঠামো অপরিহার্য যা ব্যবসায়িক খাতের জন্য সহায়ক এবং বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয়।

এফআইসিসিআই নীতি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে
এফআইসিসিআই তাদের বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে যে, এই নতুন নীতির ফলে দীর্ঘদিনের শিল্পগুলোর মধ্যে প্রশাসনিক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে, যা তাদের ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতা এবং বৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এফআইসিসিআই বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে এ নীতির পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে আরও স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছে যাতে এই নীতি দেশের শিল্প খাতের উন্নয়ন এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ থাকে।
এফআইসিসিআই আরও জানিয়েছে যে, সরকারের আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সাথে সাম্প্রতিক সময়ে যেসব উদ্যোগ যেমন বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটে বিদেশী অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর জন্য কাজ করার চেষ্টাগুলো, তা নতুন ট্যারিফ কাঠামোর কারণে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তারা স্বচ্ছ এবং স্থিতিশীল গ্যাস মূল্য কাঠামো প্রবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরেছে যাতে শিল্প খাতের পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয়।
Sarakhon Report 



















