প্রদীপ কুমার মজুমদার
এবার আমরা যুক্তি-তর্কের সাহায্যে দেখাবো গণিতপাদ আর্যভটীয়ের একটি অংশ। আমরা প্রত্যেকেই জানি সংস্কৃত সাহিত্যে বা প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যে ইষ্টদেবতার মঙ্গলাচরণ করা হয়ে থাকে এবং লেখক যে মতাবলম্বী তিনি সেই মতাবলম্বীর উপাস্য দেবতার নামে মঙ্গলাচরণ করে থাকেন।
এদিক দিয়ে প্রথম আর্যভট বৈদান্তিক, ব্রহ্মগুপ্ত, লল্প, শ্রীধর শৈব, মহাবীর জৈন ছিলেন। গণিতপাদের প্রথম শ্লোকে প্রথম আর্যভট বলেছেন:
“ব্রহ্মকুশশিবুধভূগুর বিকুজগুরুকোণ ভগণান্ নমস্কৃত্য
আর্যভটন্তিহ নিগদতি কুসুমপুরেহভ্যচিতং জ্ঞানম্।
এখন যদি এই শ্লোকটি, আর্যভটীয়ের প্রথম শ্লোক এবং দশগীতিকার শেষোক্ত শ্লোক নিয়ে পরীক্ষা করা যায় তাহলে স্পষ্টই বলা যেতে পারে এই তিনটি শ্লোক একই লেখকের।
“আর্যভটস্ত্রীণি গদতি গণিতং কালক্রিয়াং গোলম্।” এই শ্লোকটি থেকে বলা যেতে পারে গণিত আর্যভটীয়ের একটি অংশ।
(চলবে)
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৯)