০৮:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
ট্রাম্পের বিপরীতে, প্রাচীন চীন এর শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর ঐতিহ্য রণক্ষেত্রে (পর্ব-৭৭) সমুদ্রের ওপার থেকে নতুন স্বপ্ন: তাইওয়ান তরুণদের ফুচিয়ানে নতুন জীবনগাঁথা ব্যর্থ কলম্বো, গলের লড়াই -এ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ঘরে জয় কেন ? ‘আকাশ হয়ে যাই’ মিউজিক ভিডিতে প্রশংসিত পূর্ণিমা বৃষ্টি সাউথ চায়নান মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন: ইরান আক্রমনে লাভ ক্ষতি ইউক্রেন দাবি করেছে বাংলাদেশের কিছু সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিক ইইউ কলকাতার কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার তিন ‘চুরির গম’ আমদানি: বাংলাদেশের ওপর ইইউ নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন চীনের বৃহত্তম গভীর সমুদ্র গ্যাসক্ষেত্রের দ্বিতীয় পর্যায়ের উৎপাদন শুরু

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫১)

  • Sarakhon Report
  • ০৩:৫৪:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  • 32

প্রদীপ কুমার মজুমদার

অঙ্ক পাতনের জন্য যে অক্ষর সংখ্যা প্রণালী তিনি বলেছেন তা কোন একটি অধ্যায়েই সম্পূর্ণরূপে বলেন নাই। দ্বিতীয় ভূমিকা শ্লোকে অক্ষর সংখ্যাকে বর্গ ও অবর্গ এই দুই ভাগে বিভক্ত করেছেন এবং এ দুটি ভাগ সম্পর্কে জানতে গেলে গণিতাধ্যায়ের চতুর্থ শ্লোক পড়া দরকার।

স্থানীয়মান সহকারে গণনা সম্পর্কে দ্বিতীয় শ্লোকে বলেছেন। অর্থাৎ এ তিনটি শ্লোকের মধ্যে এত সুন্দর সম্পর্ক বর্তমান যা থেকে স্পষ্ট বলা যায় গণিতপার আর্যভটীয়ের একটি অংশ।

দশগীতিকার দশম শ্লোকে Sin Sin (48), n=1, 2,…, 24 এর মান দেওয়া আছে কিন্তু ‘কে। ‘কে কি করে চব্বিশ ভাগ করতে হবে তা গণিতপাদের একাদশ ও 2 দ্বাদশ শ্লোকে বলা হয়েছে।

আমরা পূর্বেই বলেছি একশ আটটি শ্লোক হেতু আর্যভটীয়ের দ্বিতীয় ভাগটির নাম হয় “আর্যাষ্টশত”। কিন্তু ক্যে’র মতানুযায়ী গণিতপাদ প্রথম আর্যভটের না হলে গণিতপাদের তেত্রিশটি শ্লোক বাদ দিতে হয় এবং তাহলে এক্ষেত্রে পঁচাত্তরটি শ্লোক থাকবে। কিন্তু তা অসম্ভব।

আরবীয় গণিতবিদ ইয়াকুব ইবন তারিক ‘এর যে মান নিয়েছেন তা আর্যভটের মানের সমান। সমস্ত কিছু থেকে স্পষ্টই বলা যায় যে, গণিতপাদ প্রথম আর্যভটের লেখা এবং এ সম্পর্কে ক্যে প্রমুখের দুরভিসন্ধিমূলক মন্তব্য ভ্রমাত্মক।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫০)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫০)

ট্রাম্পের বিপরীতে, প্রাচীন চীন এর শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর ঐতিহ্য

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫১)

০৩:৫৪:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

অঙ্ক পাতনের জন্য যে অক্ষর সংখ্যা প্রণালী তিনি বলেছেন তা কোন একটি অধ্যায়েই সম্পূর্ণরূপে বলেন নাই। দ্বিতীয় ভূমিকা শ্লোকে অক্ষর সংখ্যাকে বর্গ ও অবর্গ এই দুই ভাগে বিভক্ত করেছেন এবং এ দুটি ভাগ সম্পর্কে জানতে গেলে গণিতাধ্যায়ের চতুর্থ শ্লোক পড়া দরকার।

স্থানীয়মান সহকারে গণনা সম্পর্কে দ্বিতীয় শ্লোকে বলেছেন। অর্থাৎ এ তিনটি শ্লোকের মধ্যে এত সুন্দর সম্পর্ক বর্তমান যা থেকে স্পষ্ট বলা যায় গণিতপার আর্যভটীয়ের একটি অংশ।

দশগীতিকার দশম শ্লোকে Sin Sin (48), n=1, 2,…, 24 এর মান দেওয়া আছে কিন্তু ‘কে। ‘কে কি করে চব্বিশ ভাগ করতে হবে তা গণিতপাদের একাদশ ও 2 দ্বাদশ শ্লোকে বলা হয়েছে।

আমরা পূর্বেই বলেছি একশ আটটি শ্লোক হেতু আর্যভটীয়ের দ্বিতীয় ভাগটির নাম হয় “আর্যাষ্টশত”। কিন্তু ক্যে’র মতানুযায়ী গণিতপাদ প্রথম আর্যভটের না হলে গণিতপাদের তেত্রিশটি শ্লোক বাদ দিতে হয় এবং তাহলে এক্ষেত্রে পঁচাত্তরটি শ্লোক থাকবে। কিন্তু তা অসম্ভব।

আরবীয় গণিতবিদ ইয়াকুব ইবন তারিক ‘এর যে মান নিয়েছেন তা আর্যভটের মানের সমান। সমস্ত কিছু থেকে স্পষ্টই বলা যায় যে, গণিতপাদ প্রথম আর্যভটের লেখা এবং এ সম্পর্কে ক্যে প্রমুখের দুরভিসন্ধিমূলক মন্তব্য ভ্রমাত্মক।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫০)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৫০)