সারাক্ষণ রিপোর্ট
- এনজিও‑ঋণের কিস্তি সামলাতে না পেরে পেঁয়াজচাষি মীর রুহুলআমিন আত্মহত্যা করেন
• সাপ্তাহিক কিস্তি প্রায় ৪,৫০০ টাকা; আয় কমে যাওয়ায় ধারাবাহিক পরিশোধ অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়
• মহাজন ও আড়তদারের অগ্রিম টাকায় কিছুদিন কিস্তি চালালেও পেঁয়াজ বিক্রির পরেও দেনা শোধের পথ খোলা ছিলো না।
• পুলিশও প্রাথমিকভাবে “ঋণ‑দুশ্চিন্তা”কে আত্মহত্যার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে
এনজিও‑ঋণের তিক্ত বাস্তবতা
রুহুল আমিনের স্ত্রী মরিয়ম বেগম মিডিয়াকে জানান, স্বামী তিনটি এনজিও থেকে ঋণ নেন। নিয়মিত কিস্তি দিলেও সাপ্তাহিক গড় কিস্তি সাড়ে চার হাজার টাকা পেঁয়াজ বিক্রির আয় দিয়ে মেটানো কঠিন। স্থানীয় এনজিও কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন—এই আয়ের সঙ্গে কিস্তি সামঞ্জস্যহীন ছিল।
অগ্রিম টাকার ফাঁদ
মিডিয়ায় দেয়া পরিবারের ভাতিজার ভাষ্য, কিস্তি চালিয়ে নিতে রুহুল আমিন মহাজন ও আড়তদারের কাছ থেকে অগ্রিম নিতেন। বর্গাচাষে ১ বিঘা ৫ কাঠা জমিতে পেঁয়াজ রোপণ করলেও ফলনের আয়ে সব দেনা শোধের আশা ছিল অনিশ্চিত। এ হতাশাই তাঁকে আরও ভেঙে দেয়।
পুলিশের প্রাথমিক অনুসন্ধান
রেলওয়ে ঈশ্বরদী থানার ওসি জিয়াউর রহমান জানান, গত ১৫‑২০ দিনে রুহুল আমিন কারও সঙ্গে স্বাভাবিক কথা বলতেন না; শারীরিক সমস্যাও ছিল। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশ মনে করছে, স্থায়ী আয় না থাকা ও ঋণ‑দুশ্চিন্তাই আত্মহত্যার মূল কারণ।