সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের ‘কাফন মিছিল”
ছয় দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর ‘কাফন মিছিল’ করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আন্দোলনকারীরা আজকের এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। ঘোষণা অনুযায়ী, আজ দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা জুমার নামাজের পর একযোগে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ মিছিল করবেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, জুমার নামাজের পর বেলা দুইটার দিকে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট জামে মসজিদের সামনে থেকে ‘কাফন মিছিল’ বের হয়।
মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মাথায় কাফনের কাপড় বাঁধা ছিল। কারও কারও পরনেও ছিল কাফনের কাপড়।
দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “বাংলাদেশের মন্তব্যকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বললো ভারত”
সম্প্রতি ওয়াকফ আইনকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়ানোর ভারতের চেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পাশাপাশি দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে।
এর প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকারের এই আহ্বানকে অপ্রয়োজনীয় ও লোক দেখানো বলে দাবি করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে তুলনা করার জন্য এটি একটি ছদ্মবেশী এবং ছলনাপূর্ণ প্রচেষ্টা। সেখানে এই ধরনের অপরাধের জন্য দায়ীরা এখনও মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অযৌক্তিক মন্তব্য করা এবং পরামর্শ প্রদানের পরিবর্তে বাংলাদেশ যদি তার নিজস্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করে, তাহলে আরও ভাল করবে।
গত সপ্তাহে মুসলিম-অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ জেলায় নতুন ওয়াকফ আইন নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলি জেলায় এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে আগুন লাগানো, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং রাস্তা অবরোধের ঘটনা ঘটে।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার”
পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনা অন্বেষণের লক্ষ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গতকাল দেশটির পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান।
দুই দেশের সহযোগিতা বৃদ্ধি ও বাণিজ্যে কিছু বাধা রয়েছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সেগুলো অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজে বের করতে হবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগানোর উপায় খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের নিজেদের মধ্যে বিশাল আঞ্চলিক বাজার রয়েছে। এটি কাজে লাগানো উচিত।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা অনেকদিন ধরে একে অপরকে মিস করেছি। কারণ আমাদের সম্পর্ক হিমায়িত ছিল। আমাদের সে বাধা অতিক্রম করতে হবে।’
জবাবে আমনা বালুচ বলেন, ‘আমরা প্রতিবারই সুযোগ হারাতে পারি না। দুই দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে নিয়মিত ব্যবসা-ব্যবসা (বিটুবি) যোগাযোগ এবং সব পর্যায়ে সফর বিনিময় হওয়া প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘ ১৫ বছর পর পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় সভা হচ্ছে ঢাকায়। এতে আমনা বালুচ পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর আগে গত জানুয়ারিতে পাকিস্তানের শীর্ষ ব্যবসায়ী চেম্বার এফপিসিসিআইয়ের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে। ওই সময় এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে তাদের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ আশা প্রকাশ করেন, এপ্রিলের শেষের দিকে দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের আসন্ন সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করবে।
প্রধান উপদেৈষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ সময় বলেন, ‘তিনি বরাবরই পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার পক্ষে ছিলেন, বিশেষ করে সার্ক কাঠামোর আওতায়। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে আরো বেশি যুব বিনিময় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আদান-প্রদান করা উচিত, যাতে জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার হয়।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “চেকপোস্ট ব্যারাক থেকে পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার”
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় জয়নগর পুলিশ চেকপোস্ট ব্যারাক থেকে এক পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম শামীম হোসেন। বয়স ৩০। নিহত শামীম হোসেন কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানাধীন জুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে চেকপোস্ট সংলগ্ন পুলিশ ব্যারাকের ২য় তলার একটি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায়, নিহত শামীম হোসেন দর্শনা চেকপোস্টে কর্মরত ছিলেন। ব্যারাকের একটি কক্ষে একাই থাকতেন। সকালে তিনি ডিউটিতে অনুপস্থিত থাকায় সহকর্মীরা তাকে ডাকাডাকি করেন। তারা কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফ্যানের সঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
Sarakhon Report 



















