বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন

প্রধান উপদেষ্টার কাতার সফরে গুরুত্ব পাবে কী কী

  • Update Time : সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৯.৪২ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “প্রধান উপদেষ্টার কাতার সফরে গুরুত্ব পাবে কী কী”

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ‘আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন–২০২৫’–এ যোগ দিতে আজ সোমবার কাতার যাচ্ছেন। চার দিনের এ সফরের সময় তিনি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল–থানির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। যেখানে ব্যবসা ও জ্বালানি সহযোগিতার পাশাপাশি ভিসা উন্মুক্ত করা এবং জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পেতে পারে।

দোহা থেকে কূটনৈতিক একটি সূত্র এই প্রতিবেদককে জানিয়েছে, ২৩ বা ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশ ও কাতারের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বৈঠক আয়োজনের প্রস্ততি চলছে।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারকে উদ্ধৃত করে বাসস জানায়, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির আমন্ত্রণে এ সফরে যাচ্ছেন। প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন। এই চার ক্রীড়াবিদ হলেন ফুটবলার আফিদা খন্দকার ও শাহেদা আখতার রিপা এবং ক্রিকেটার সুমাইয়া আখতার ও শারমিন সুলতানা।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র”

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অভিবাসন নীতির আওতায় চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩১ বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন ৩০ জন পুরুষ এবং একজন নারী। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান এবং বিভিন্ন মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পর তাদের ফেরত পাঠানো হয়।

ঢাকায় পৌঁছানো এসব নাগরিকদের মধ্যে তিনজনকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা বিশেষ নিরাপত্তায় নিয়ে আসেন। বাকিদের পাঠানো হয় বাণিজ্যিক এবং চার্টার্ড ফ্লাইটে। সর্বশেষ গত শনিবার চার্টার্ড একটি ফ্লাইটে পাঁচজন বাংলাদেশিকে দেশে পাঠানো হয়।

ফেরত আসা নোয়াখালীর এক বাসিন্দা গণমাধ্যমকে জানান, তাকে সম্মানের সঙ্গেই ফেরত পাঠানো হয়েছে। কোনো ধরনের অসম্মানজনক আচরণ করা হয়নি বলেও তিনি জানান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন, যা গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে পুলিশের বিশেষ শাখার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশি নাগরিকদের যাতে সম্মানজনকভাবে ফেরত পাঠানো হয়, সেজন্য শুরু থেকেই কূটনৈতিক পর্যায়ে কাজ করেছে বাংলাদেশ সরকার। মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। ফলস্বরূপ, বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে হাতকড়া কিংবা সামরিক বিমানের ব্যবহার এড়ানো হয়েছে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “বাংলাদেশে গ্যাসের সিস্টেম লস ভারতের তিন গুণ ও পাকিস্তানের দ্বিগুণ”

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদসহ পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রধান পাঁচটি শহরে পাঁচ বছর আগে গ্যাসের সিস্টেম লস (সঞ্চালন ও ডিস্ট্রিবিউশন) ছিল গড়ে ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ। মূলত পাইপলাইন লিকেজ, চুরি ও কারিগরি ত্রুটিজনিত কারণে এটি হতো। তাই গ্যাস খাতে আর্থিক ক্ষতি কমাতে এ পাঁচ শহরে ১ হাজার ৪৭০ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ করে পাকিস্তান সরকার। গ্যাস রক্ষণাবেক্ষণে বসানো হয় টাউন বর্ডার স্টেশন (টিবিএস)। এতে শহরগুলোয় গ্যাসের সিস্টেম লস ক্রমান্বয়ে ৫ দশমিক ১৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। সামগ্রিক হিসাবে দেশটির গ্যাস খাতের সিস্টেম লস এখন ৫ শতাংশের কিছু বেশি। টিবিএস প্রযুক্তি পুরনো পাইপলাইনে লিকেজ চিহ্নিতকরণ, চুরি বন্ধ করা, ছোট এলাকায় লিকেজ মেরামত এবং গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ শনাক্ত করতে বড় সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে।

পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রদেশভেদে গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণে বড় নেটওয়ার্ক রয়েছে। গ্যাস পাইপলাইনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে তাদের প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ খাতে সিস্টেম লস গড়ে ৩-৪ শতাংশের বেশি নয় বলে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তে উঠে এসেছে। মূলত গ্যাস খাতে সিস্টেম লস নির্ধারণ করে ভারত সরকারের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (পিএনজিআরবি)। পাইপলাইনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, নকশা, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণে দক্ষতার কারণে ভারতে সিস্টেম লস এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ পর্যন্ত। তবে এ লোকসান শুধু কারিগরি ত্রুটিজনিত কারণে হয়।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “২ ইস্যুতে অনড় বিএনপি”

একই ব্যক্তি সরকার প্রধান, দলের প্রধান ও সংসদ নেতা হতে পারবেন না। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই প্রস্তাবে সায় দেয়নি বিএনপি। দুই বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না ঐকমত্য কমিশনের এই প্রস্তাবেও সমর্থন দেয়নি দলটি। এই দুই ইস্যুতে দলের অনড় অবস্থানের বিষয় তুলে ধরেছে বিএনপি। গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করে বিএনপি’র প্রতিনিধিদল। দিনভর আলোচনা শেষে জানানো হয় মঙ্গলবার ফের বৈঠকে বসবে দুই পক্ষ।

রোববার জাতীয় সংসদের এলডি হলে বেলা ১১টায় শুরু হওয়া কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের বৈঠক শেষ হয় বিকাল ৫টায়।

বৈঠক শেষে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, টানা দু’বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, এ বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে বিএনপি। তবে এক বছর গ্যাপ হলে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হতে সমস্যা নাই।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, একই ব্যক্তি সরকার প্রধান ও দলীয় প্রধান হতে পারবে না, এমন চর্চা আমরা দেখি না। যুক্তরাজ্যেও আমরা দেখি, পার্টি প্রধানই সরকার প্রধান। এটি গণতান্ত্রিক চর্চা। যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রচলন হয় এবং নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রচলন করা যায়। তাহলে সেই ভোটে যারা ক্ষমতায় আসবে, মনে করতে হবে জনগণ তাদেরকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যমান ক্ষমতা বহাল রেখে রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতায়ন করার সুপারিশে একমত বিএনপি। দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়ার বিষয় বাধ্যতামূলক না রেখে উন্মুক্ত রাখতে চায় দলটি। সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের সদস্য সংখ্যা নিয়ে একমত বিএনপি। কিন্তু কোন প্রক্রিয়ায় তারা নির্বাচিত হবেন, তা নিয়ে আলোচনা চলমান আছে। এ ছাড়া নতুন আইন প্রণয়ন করে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স করার পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি। এনসিসি বা জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের বিষয়েও একমত নয় বিএনপি। এটা হলে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে রাষ্ট্র পরিচালনা দায় হয়ে যাবে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024