০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

রসুননের কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা

  • Sarakhon Report
  • ০৪:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • 27

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সরবরাহ সংকটে দাম বৃদ্ধির কারণ

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে রসুনের কেজি প্রতি মূল্য ৬০ টাকা লাফিয়েছে। ব্যবসায়ী ও বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, হঠাৎ সরবরাহ হ্রাস পাওয়ায় বাজারে চাপ তৈরি হয়েছে, যার ফলে দাম উর্ধ্বমুখী হয়েছে।

ক্রেতাদের কষ্টের কথা

হিলি স্থলবন্দর হওয়ায় অন্যান্য বাজারের তুলনায় নিত্যপণ্য এখানে সস্তা পাওয়া যায়—এমনটাই দাবি ক্রেতাদের। সে কারণ দেখিয়ে গত সপ্তাহ থেকে রসুনের কেজিপ্রতি দাম ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় মূলত এখানকার সাধারণ মানুষই সমস্যায় পড়ছেন। ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য সবজির দামও বাড়ায় সংসারিক বাজেট ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

বাজারে বর্তমান চিত্র

রবিবার হিলি বাজারে দেখা যায়, যেখানে আগের সপ্তাহে রসুনের কেজি ৮০–৯০ টাকায় বিক্রি হত, এখন সেটি ১৪০–১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট আকারের রসুনও ১২০ টাকিতে বিক্রি হচ্ছে। মূল্য বৃদ্ধির ফলে ক্রেতাদের এক কেজির বদলে অর্ধেক কেজিই কেনার সুযোগ হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের ব্যাখ্যা

বিক্রেতারা বলছেন, পূর্বে দেশি রসুনের প্রচুর সরবরাহ থাকায় দাম কম ছিল। এখন মরশুমের শেষ পর্যায়ে পৌঁছানোয় ক্ষেতে তোলা হচ্ছে শুকনো রসুন, ক্ষেতের কাঁচা রসুনও কৃষকরা মজুত করছেন। এরকম মজুদ আর প্রতিযোগিতাহীন পরিবেশে সরবরাহ কমে গেলে দাম স্বাভাবিকভাবেই বাড়তে পারে।

“আগে প্রতি মণ রসুন ৩,০০০–৩,২০০ টাকায় বিক্রি হতো, এখন সেটা ৫,০০০–৫,৫০০ টাকা,”—হিলির এক জানান।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক অভিযান

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ জানায়,

“নিত্যপণ্যের দাম পর্যবেক্ষণে নিয়মিত হাট-বাজারে অভিযান চালাচ্ছি। দোকানিরা কেনা-বিক্রয়ের তালিকা টাঙিয়েছেন কিনা জানতে চাইছি এবং অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধিতে জরিমানা করা হবে।”

অভিযান অব্যাহত আছে, তবে বাজারে স্বাভাবিক সরবরাহ না বাড়লে মূল্য স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা কঠিন হতে পারে।

রসুননের কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা

০৪:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সরবরাহ সংকটে দাম বৃদ্ধির কারণ

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে রসুনের কেজি প্রতি মূল্য ৬০ টাকা লাফিয়েছে। ব্যবসায়ী ও বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, হঠাৎ সরবরাহ হ্রাস পাওয়ায় বাজারে চাপ তৈরি হয়েছে, যার ফলে দাম উর্ধ্বমুখী হয়েছে।

ক্রেতাদের কষ্টের কথা

হিলি স্থলবন্দর হওয়ায় অন্যান্য বাজারের তুলনায় নিত্যপণ্য এখানে সস্তা পাওয়া যায়—এমনটাই দাবি ক্রেতাদের। সে কারণ দেখিয়ে গত সপ্তাহ থেকে রসুনের কেজিপ্রতি দাম ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় মূলত এখানকার সাধারণ মানুষই সমস্যায় পড়ছেন। ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য সবজির দামও বাড়ায় সংসারিক বাজেট ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

বাজারে বর্তমান চিত্র

রবিবার হিলি বাজারে দেখা যায়, যেখানে আগের সপ্তাহে রসুনের কেজি ৮০–৯০ টাকায় বিক্রি হত, এখন সেটি ১৪০–১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট আকারের রসুনও ১২০ টাকিতে বিক্রি হচ্ছে। মূল্য বৃদ্ধির ফলে ক্রেতাদের এক কেজির বদলে অর্ধেক কেজিই কেনার সুযোগ হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের ব্যাখ্যা

বিক্রেতারা বলছেন, পূর্বে দেশি রসুনের প্রচুর সরবরাহ থাকায় দাম কম ছিল। এখন মরশুমের শেষ পর্যায়ে পৌঁছানোয় ক্ষেতে তোলা হচ্ছে শুকনো রসুন, ক্ষেতের কাঁচা রসুনও কৃষকরা মজুত করছেন। এরকম মজুদ আর প্রতিযোগিতাহীন পরিবেশে সরবরাহ কমে গেলে দাম স্বাভাবিকভাবেই বাড়তে পারে।

“আগে প্রতি মণ রসুন ৩,০০০–৩,২০০ টাকায় বিক্রি হতো, এখন সেটা ৫,০০০–৫,৫০০ টাকা,”—হিলির এক জানান।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক অভিযান

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ জানায়,

“নিত্যপণ্যের দাম পর্যবেক্ষণে নিয়মিত হাট-বাজারে অভিযান চালাচ্ছি। দোকানিরা কেনা-বিক্রয়ের তালিকা টাঙিয়েছেন কিনা জানতে চাইছি এবং অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধিতে জরিমানা করা হবে।”

অভিযান অব্যাহত আছে, তবে বাজারে স্বাভাবিক সরবরাহ না বাড়লে মূল্য স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা কঠিন হতে পারে।