০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন কঠোরতায় বাংলাদেশিদের উদ্বেগ

  • Sarakhon Report
  • ১০:৫৬:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • 34

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

১. ফেরত পাঠানো হতে পারে কয়েক হাজার

২. চার্টাড ও সামারিক বিমানে পাঠানো হতে পারে

৩. নিউ ইয়র্কের প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে ভয় কাজ করছে। মাসের বাজার করতেও অনেকে বের হচ্ছেন না।

ফেরত পাঠানোর পরিসংখ্যান

বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপি গোলাম রসুল জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ৩১ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে; এর মধ্যে গত দুই দিনে এক চার্টার্ড ফ্লাইটে পাঁচজন এসেছেন। গত দেড় মাসে বাণিজ্যিক এবং চার্টার্ড উভয় ধরনের ফ্লাইটে ফেরত পাঠানোর হার খুব বেড়ে গেছে, সাধারণত ইমিগ্রেশন মামলা হেরে যাওয়ার পরই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

কূটনৈতিক আলোচনার অগ্রগতি

ফেব্রুয়ারি ২৩-এ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও প্রধান উপদেষ্টা (গৃহকার্য) বিশেষ সহকারী খুদা বক্স চৌধুরী এবং ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন মেগান বোল্ডিন প্রথম বৈঠক করেন। এরপর মার্চ ৫-এ প্রত্যাবর্তন সংক্রান্ত লজিস্টিক নিয়ে দ্বিতীয় অংশগ্রহণমূলক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এক আলোচক বলছেন, “ফেরত পাঠানো বাংলাদেশিদের সংখ্যা কয়েক হাজারেও পৌঁছতে পারে।”

প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়ার ধারা

মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, চূড়ান্ত বহিষ্কার আদেশ পাওয়া বাংলাদেশিদের ৩০ দিনের মধ্যে ভ্রমণ নথি তৈরি করে বাণিজ্যিক, চার্টার্ড কিংবা সামরিক যেকোনো ফ্লাইটে ফেরত আনা হবে। দুই দেশ যৌথভাবে এই নিয়ম মেনে ফেরত প্রক্রিয়া চালাচ্ছে এবং বাংলাদেশের নাগরিকরা সম্মানজনকভাবে ফিরে পাচ্ছেন—হাতকড়ার কোনো প্রয়োগ হচ্ছে না।

ফেরত প্রবাসীদের অভিজ্ঞতা

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্পেশাল ব্রাঞ্চ তাদের পরিচয় যাচাই ও রেজিস্ট্রেশন করে এবং প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করে। সরকার আইনি সহায়তার ব্যবস্থা করেছে, এবং ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ও তরুণ প্ল্যাটফর্মের শারিফুল হাসান জানান, “আমরা ফেরত প্রবাসীদের কাউন্সেলিং এবং আর্থিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত।”

মুন্সীগঞ্জের রতন মোল্লা বলেন, “গত সেপ্টেম্বরে আমি আশ্রয় আবেদন করেছিলাম; মার্চ ১৬-তে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বিমানভাড়া আমেরিকান কর্তৃপক্ষ বহন করেছে এবং বিমানবন্দরে সম্মানের সঙ্গে আচরণ পেয়েছি—ওখানে প্রায় ৫০ জন বাংলাদেশিকে দেখেছিলাম।” নোয়াখালির ইব্রাহিম খলিল জানান, “মার্চ ৯-এ কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে আনা হলে কোনো অসম্মান হয়নি—হাতকড়া ছাড়াই অন্যান্য যাত্রীর মতোই আমার সঙ্গে আচরণ করা হয়েছে।”

যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশিদের উদ্বেগ

নিউইয়র্কের এক প্রবাসী সেখানকার বাংলা সংবাদপত্রকে বলেছেন, “কমিউনিটিতে একটা ভয় কাজ করছে; জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে কেউ যাচ্ছে না, এমনকি মাসের বাজারেও কম বের হচ্ছে।” যারা আইনি নথিপত্র ঠিক রাখেন, তারা বেশিরভাগ কোনো সমস্যাই অনুভব করছেন না, তবে অনিশ্চয়তার চাপ এখনও কাটেনি—অনেকেই একই উদ্বেগ ভাগাভাগি করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন কঠোরতায় বাংলাদেশিদের উদ্বেগ

১০:৫৬:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

১. ফেরত পাঠানো হতে পারে কয়েক হাজার

২. চার্টাড ও সামারিক বিমানে পাঠানো হতে পারে

৩. নিউ ইয়র্কের প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে ভয় কাজ করছে। মাসের বাজার করতেও অনেকে বের হচ্ছেন না।

ফেরত পাঠানোর পরিসংখ্যান

বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপি গোলাম রসুল জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ৩১ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে; এর মধ্যে গত দুই দিনে এক চার্টার্ড ফ্লাইটে পাঁচজন এসেছেন। গত দেড় মাসে বাণিজ্যিক এবং চার্টার্ড উভয় ধরনের ফ্লাইটে ফেরত পাঠানোর হার খুব বেড়ে গেছে, সাধারণত ইমিগ্রেশন মামলা হেরে যাওয়ার পরই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

কূটনৈতিক আলোচনার অগ্রগতি

ফেব্রুয়ারি ২৩-এ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও প্রধান উপদেষ্টা (গৃহকার্য) বিশেষ সহকারী খুদা বক্স চৌধুরী এবং ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন মেগান বোল্ডিন প্রথম বৈঠক করেন। এরপর মার্চ ৫-এ প্রত্যাবর্তন সংক্রান্ত লজিস্টিক নিয়ে দ্বিতীয় অংশগ্রহণমূলক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এক আলোচক বলছেন, “ফেরত পাঠানো বাংলাদেশিদের সংখ্যা কয়েক হাজারেও পৌঁছতে পারে।”

প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়ার ধারা

মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, চূড়ান্ত বহিষ্কার আদেশ পাওয়া বাংলাদেশিদের ৩০ দিনের মধ্যে ভ্রমণ নথি তৈরি করে বাণিজ্যিক, চার্টার্ড কিংবা সামরিক যেকোনো ফ্লাইটে ফেরত আনা হবে। দুই দেশ যৌথভাবে এই নিয়ম মেনে ফেরত প্রক্রিয়া চালাচ্ছে এবং বাংলাদেশের নাগরিকরা সম্মানজনকভাবে ফিরে পাচ্ছেন—হাতকড়ার কোনো প্রয়োগ হচ্ছে না।

ফেরত প্রবাসীদের অভিজ্ঞতা

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্পেশাল ব্রাঞ্চ তাদের পরিচয় যাচাই ও রেজিস্ট্রেশন করে এবং প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করে। সরকার আইনি সহায়তার ব্যবস্থা করেছে, এবং ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ও তরুণ প্ল্যাটফর্মের শারিফুল হাসান জানান, “আমরা ফেরত প্রবাসীদের কাউন্সেলিং এবং আর্থিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত।”

মুন্সীগঞ্জের রতন মোল্লা বলেন, “গত সেপ্টেম্বরে আমি আশ্রয় আবেদন করেছিলাম; মার্চ ১৬-তে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বিমানভাড়া আমেরিকান কর্তৃপক্ষ বহন করেছে এবং বিমানবন্দরে সম্মানের সঙ্গে আচরণ পেয়েছি—ওখানে প্রায় ৫০ জন বাংলাদেশিকে দেখেছিলাম।” নোয়াখালির ইব্রাহিম খলিল জানান, “মার্চ ৯-এ কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে আনা হলে কোনো অসম্মান হয়নি—হাতকড়া ছাড়াই অন্যান্য যাত্রীর মতোই আমার সঙ্গে আচরণ করা হয়েছে।”

যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশিদের উদ্বেগ

নিউইয়র্কের এক প্রবাসী সেখানকার বাংলা সংবাদপত্রকে বলেছেন, “কমিউনিটিতে একটা ভয় কাজ করছে; জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে কেউ যাচ্ছে না, এমনকি মাসের বাজারেও কম বের হচ্ছে।” যারা আইনি নথিপত্র ঠিক রাখেন, তারা বেশিরভাগ কোনো সমস্যাই অনুভব করছেন না, তবে অনিশ্চয়তার চাপ এখনও কাটেনি—অনেকেই একই উদ্বেগ ভাগাভাগি করছেন।