০৫:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

উপাচার্য অপসারণের দাবিতে কুয়েটে ৩২ শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন

  • Sarakhon Report
  • ০২:৩২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • 34

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএসে গ্রাহক কত গতি পাবেন”

দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতারা ইন্টারনেটের গতি বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী, গ্রাহক ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস (মেগাবিট পার সেকেন্ড) গতি পাবেন।

কিন্তু গ্রাহক–অভিজ্ঞতা ভিন্ন। গ্রাহকের অভিযোগ, ৫০০ টাকার প্যাকেজে ইন্টারনেটের যে গতির কথা বলা হয়, তা আদতে পাওয়া যায় না।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ২০২১ সালে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন দাম ৫০০ টাকা করার জন্য নির্দেশ দেয়। সে ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের গতি নির্ধারণ করা হয় ৫ এমবিপিএস।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”দোহায় সংবর্ধনায় অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশি চার নারী ক্রীড়াবিদ”

কাতারের দোহায় সংবর্ধনায় অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশি চার নারী ক্রীড়াবিদ। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) আর্থনা সামিটের আগে দোহার ম্যান্দারিন ওরিয়েন্টাল হোটেলে কাতার ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বে তারা সংবর্ধনায় অংশ নেন।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম“উপাচার্য অপসারণের দাবিতে কুয়েটে ৩২ শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন”

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন ৩২ শিক্ষার্থী। সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকাল ৪টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় এই অনশন শুরু হয়। রাতভর শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান করেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালেও শিক্ষার্থীরা এ অনশন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

শিক্ষার্থীদের পক্ষে রাহাত, তৌফিক, গালিব, মহিবুজ্জামান উপল ও ওবায়দুল্লাহ জানান, উপাচার্যকে অপসারণ না করা পর্যন্ত তাদের অনশন চলবে।

সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে ড. এম এ রশিদ হলের সামনে জড়ো হন প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। পরে বিকালে তারা স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে গিয়ে ৩২ জন অনশন শুরু করেন। বাকি শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যার আগে পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে চলে যান।

কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, শিক্ষার্থীদের দুবার করে বোঝানো হয়েছে। কিন্তু তারা অনশনে অনড় রয়েছে। তাদের সঙ্গে আবারো কথা বলার চেষ্টা করা হবে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও বহিরাগতদের হামলার শিকার হন তারা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়। পরে কুয়েট প্রশাসন অজ্ঞাত পরিচয়ে দায়সারা একটি মামলা করে। এখনো হামলাকারীদের কেউ গ্রেফতার হয়নি।

তারা বলেন, এর বিপরীতে ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বহিরাগত একজন। কুয়েট কর্তৃপক্ষ ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে, যাদের মধ্যে আন্দোলনকারীরাও আছেন। বারবার জানানো সত্ত্বেও উপাচার্য শিক্ষার্থীদের দাবি মানেননি।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “লন্ডনে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের মধ্যে কী সমঝোতা হলো”

বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে তা এখনো অজানা। লন্ডনে বা ঢাকায় কোনো দলের পক্ষ থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই বলা হয়নি। এ কারণেই হয়তো বিস্তর কৌতূহল । দু’দলের মধ্যে যে দূরত্ব বেড়েছিল তার কি কিছুটা অবসান হয়েছে? কেন দূরত্ব তৈরি হলো, কারা এর জন্য দায়ী তা নিয়ে দু’দলের নেতারা আলোচনা করেছেন।খুঁজেছেন উত্তর।চলমান রাজনীতি ও ভবিষ্যৎ নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘসময় আলোচনা হলেও সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্তের দিকে হাঁটেননি নেতারা। পর্যবেক্ষকরা পরস্পরবিরোধী অবস্থান থেকে এক কক্ষে বসাটাকেও ইতিবাচক বলে মনে করছেন।  কারণ দু’দলের মধ্যে উদ্বেগ ছিল, ছিল বেদনা। একে অপরকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতে শুরু করেছিল। গেল সপ্তাহে বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতারা এক বৈঠকে মিলিত হন। যদিও বৈঠকটি ছিল মূলত মানবিক। তবে এক ঘণ্টার এই বৈঠকে বেশির ভাগ সময় রাজনীতির চর্চাই হয়েছে। অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতেই জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান সেখানে যান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় তারা মিলিত হন। ডা. শফিকুর রহমান ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমন্ত্রণে ব্রাসেলস গিয়েছিলেন। ইউরোপীয় নেতাদের কাছে তারা তাদের অবস্থান তুলে ধরেছেন। জামায়াত কী চায় তাও স্পষ্ট করেছেন। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এই বৈঠককে তারা অত্যন্ত সফল বলে বর্ণনা করছেন বিভিন্ন মাধ্যমে। বেগম জিয়ার সঙ্গে বৈঠক হবে এ নিয়ে কোনো জল্পনা ছিল না। অনেকটা নাটকীয়ভাবেই ডা. শফিকুর রহমান সেখানে হাজির হন। দু’দলের শুভাকাঙ্ক্ষীরা এই বৈঠকের ব্যাপারে নানাভাবে তাগিদ দিয়ে আসছিলেন। এর আগে অবশ্য ফোনালাপ হয় দু’পক্ষের মধ্যে। তারেক রহমান নিজেই জামায়াতের আমীরকে স্বাগত জানান। যা ছিল অত্যন্ত আন্তরিকতায় ভরা। নিজ হাতে তিনি তাদের আপ্যায়িত করেন তার বাসভবনে। আলোচনার শুরুটা ছিল আবেগময়। অসুস্থ খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন, কীভাবে তার দিন কাটছে তা জানার চেষ্টা করেন ডা. শফিকুর রহমান। কবে দেশে ফিরবেন তাও জানতে চান ডা. শফিক। এরপর ধীরে ধীরে রাজনৈতিক আলোচনা শুরু হয়।

 ২০০১ সনের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে চারদলীয় জোট গঠিত হয়। ক্ষমতায় আসে জোট। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সরকারে স্থান পায় জামায়াত। মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ মন্ত্রী হন। যা নিয়ে বিএনপি প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে পড়ে। ওয়ান-ইলেভেনের আগ পর্যন্ত তাদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কই ছিল বহাল। এরপর থেকে দূরত্ব বাড়তে থাকে। বেগম জিয়া যান কারাগারে মিথ্যা মামলায়। জামায়াত নেতাদের ফাঁসি কার্যকর হয়। জাতীয়-আন্তর্জাতিক নানা খেলায় দু’দলের ঐক্যে ফাটল ধরে । অনেকটা প্রকাশ্যেই একে অপরকে দোষারোপ করতে থাকেন। সুযোগ নেয় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার।

উপাচার্য অপসারণের দাবিতে কুয়েটে ৩২ শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন

০২:৩২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএসে গ্রাহক কত গতি পাবেন”

দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতারা ইন্টারনেটের গতি বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী, গ্রাহক ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস (মেগাবিট পার সেকেন্ড) গতি পাবেন।

কিন্তু গ্রাহক–অভিজ্ঞতা ভিন্ন। গ্রাহকের অভিযোগ, ৫০০ টাকার প্যাকেজে ইন্টারনেটের যে গতির কথা বলা হয়, তা আদতে পাওয়া যায় না।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ২০২১ সালে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন দাম ৫০০ টাকা করার জন্য নির্দেশ দেয়। সে ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের গতি নির্ধারণ করা হয় ৫ এমবিপিএস।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”দোহায় সংবর্ধনায় অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশি চার নারী ক্রীড়াবিদ”

কাতারের দোহায় সংবর্ধনায় অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশি চার নারী ক্রীড়াবিদ। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) আর্থনা সামিটের আগে দোহার ম্যান্দারিন ওরিয়েন্টাল হোটেলে কাতার ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বে তারা সংবর্ধনায় অংশ নেন।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম“উপাচার্য অপসারণের দাবিতে কুয়েটে ৩২ শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন”

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন ৩২ শিক্ষার্থী। সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকাল ৪টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় এই অনশন শুরু হয়। রাতভর শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান করেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালেও শিক্ষার্থীরা এ অনশন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

শিক্ষার্থীদের পক্ষে রাহাত, তৌফিক, গালিব, মহিবুজ্জামান উপল ও ওবায়দুল্লাহ জানান, উপাচার্যকে অপসারণ না করা পর্যন্ত তাদের অনশন চলবে।

সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে ড. এম এ রশিদ হলের সামনে জড়ো হন প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। পরে বিকালে তারা স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে গিয়ে ৩২ জন অনশন শুরু করেন। বাকি শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যার আগে পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে চলে যান।

কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, শিক্ষার্থীদের দুবার করে বোঝানো হয়েছে। কিন্তু তারা অনশনে অনড় রয়েছে। তাদের সঙ্গে আবারো কথা বলার চেষ্টা করা হবে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও বহিরাগতদের হামলার শিকার হন তারা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়। পরে কুয়েট প্রশাসন অজ্ঞাত পরিচয়ে দায়সারা একটি মামলা করে। এখনো হামলাকারীদের কেউ গ্রেফতার হয়নি।

তারা বলেন, এর বিপরীতে ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বহিরাগত একজন। কুয়েট কর্তৃপক্ষ ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে, যাদের মধ্যে আন্দোলনকারীরাও আছেন। বারবার জানানো সত্ত্বেও উপাচার্য শিক্ষার্থীদের দাবি মানেননি।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “লন্ডনে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের মধ্যে কী সমঝোতা হলো”

বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে তা এখনো অজানা। লন্ডনে বা ঢাকায় কোনো দলের পক্ষ থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই বলা হয়নি। এ কারণেই হয়তো বিস্তর কৌতূহল । দু’দলের মধ্যে যে দূরত্ব বেড়েছিল তার কি কিছুটা অবসান হয়েছে? কেন দূরত্ব তৈরি হলো, কারা এর জন্য দায়ী তা নিয়ে দু’দলের নেতারা আলোচনা করেছেন।খুঁজেছেন উত্তর।চলমান রাজনীতি ও ভবিষ্যৎ নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘসময় আলোচনা হলেও সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্তের দিকে হাঁটেননি নেতারা। পর্যবেক্ষকরা পরস্পরবিরোধী অবস্থান থেকে এক কক্ষে বসাটাকেও ইতিবাচক বলে মনে করছেন।  কারণ দু’দলের মধ্যে উদ্বেগ ছিল, ছিল বেদনা। একে অপরকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতে শুরু করেছিল। গেল সপ্তাহে বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতারা এক বৈঠকে মিলিত হন। যদিও বৈঠকটি ছিল মূলত মানবিক। তবে এক ঘণ্টার এই বৈঠকে বেশির ভাগ সময় রাজনীতির চর্চাই হয়েছে। অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতেই জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান সেখানে যান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় তারা মিলিত হন। ডা. শফিকুর রহমান ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমন্ত্রণে ব্রাসেলস গিয়েছিলেন। ইউরোপীয় নেতাদের কাছে তারা তাদের অবস্থান তুলে ধরেছেন। জামায়াত কী চায় তাও স্পষ্ট করেছেন। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এই বৈঠককে তারা অত্যন্ত সফল বলে বর্ণনা করছেন বিভিন্ন মাধ্যমে। বেগম জিয়ার সঙ্গে বৈঠক হবে এ নিয়ে কোনো জল্পনা ছিল না। অনেকটা নাটকীয়ভাবেই ডা. শফিকুর রহমান সেখানে হাজির হন। দু’দলের শুভাকাঙ্ক্ষীরা এই বৈঠকের ব্যাপারে নানাভাবে তাগিদ দিয়ে আসছিলেন। এর আগে অবশ্য ফোনালাপ হয় দু’পক্ষের মধ্যে। তারেক রহমান নিজেই জামায়াতের আমীরকে স্বাগত জানান। যা ছিল অত্যন্ত আন্তরিকতায় ভরা। নিজ হাতে তিনি তাদের আপ্যায়িত করেন তার বাসভবনে। আলোচনার শুরুটা ছিল আবেগময়। অসুস্থ খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন, কীভাবে তার দিন কাটছে তা জানার চেষ্টা করেন ডা. শফিকুর রহমান। কবে দেশে ফিরবেন তাও জানতে চান ডা. শফিক। এরপর ধীরে ধীরে রাজনৈতিক আলোচনা শুরু হয়।

 ২০০১ সনের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে চারদলীয় জোট গঠিত হয়। ক্ষমতায় আসে জোট। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সরকারে স্থান পায় জামায়াত। মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ মন্ত্রী হন। যা নিয়ে বিএনপি প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে পড়ে। ওয়ান-ইলেভেনের আগ পর্যন্ত তাদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কই ছিল বহাল। এরপর থেকে দূরত্ব বাড়তে থাকে। বেগম জিয়া যান কারাগারে মিথ্যা মামলায়। জামায়াত নেতাদের ফাঁসি কার্যকর হয়। জাতীয়-আন্তর্জাতিক নানা খেলায় দু’দলের ঐক্যে ফাটল ধরে । অনেকটা প্রকাশ্যেই একে অপরকে দোষারোপ করতে থাকেন। সুযোগ নেয় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার।