০৪:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

নতুন করে দেশে ৩০ লাখ দরিদ্র হতে পারে- বিশ্বব্যাংক

  • Sarakhon Report
  • ০৯:৫১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • 39

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “কিছু সংস্কার প্রস্তাবে অভিন্ন অবস্থান ইসি ও বিএনপি”

নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) দায়বদ্ধ করতে কয়েকটি নতুন বিধান করার প্রস্তাব দিয়েছিল নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এসবে আপত্তি জানিয়ে ইসি বলেছিল, এসব প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা খর্ব হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় নির্বাচন কমিশনের দায়দায়িত্ব নির্ধারণ–সংক্রান্ত এসব প্রস্তাবে বিএনপিও একমত হয়নি। এ ক্ষেত্রে বিএনপি ও ইসির অবস্থান অভিন্ন।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার আনার লক্ষ্যে প্রস্তাব তৈরির জন্য গত অক্টোবরে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। এর একটি ছিল বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এ কমিশন গত ১৫ জানুয়ারি সুপারিশের সারসংক্ষেপ এবং ৮ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেয়। তারা ১৬টি ক্ষেত্রে দুই শতাধিক সুপারিশ করেছে।

সংস্কার কমিশনের সুপারিশের একটি ক্ষেত্র ছিল ‘নির্বাচন কমিশনের দায়বদ্ধতা’। বিদ্যমান আইনে কোথাও সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতার বিষয়টি সেভাবে স্পষ্ট করা নেই। নির্বাচন কমিশনের আইনি, আর্থিক ও প্রশাসনিক প্রস্তাব কোনো মন্ত্রণালয়ের বদলে জাতীয় সংসদের স্পিকারের নেতৃত্বে একটি সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটির কাছে উপস্থাপনের বিধান করার সুপারিশ করে সংস্কার কমিশন। এতে বলা হয়, সংসদীয় কমিটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে প্রস্তাবগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠাবে।

এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনের মেয়াদকালে কমিশনারদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ উঠলে তা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে সুরাহা করার বিদ্যমান বিধান কার্যকর করা এবং মেয়াদ-পরবর্তী সময়ে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা বা শপথ ভঙ্গের অভিযোগ এলে তা তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করার জন্য সংসদীয় কমিটিকে ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করে সংস্কার কমিশন।

সংস্কার কমিশনের এসব সুপারিশ বা প্রস্তাব নিয়ে আপত্তি আছে নির্বাচন কমিশনের। সংস্কার কমিশনের সুপারিশের সারসংক্ষেপ প্রকাশের পর গত ২৬ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছিলেন, সংস্কার কমিশনের অনেক সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে ইসির স্বাধীনতা খর্ব হবে। সেদিন তিনি মূলত ইসির অর্থ বরাদ্দ, মেয়াদ-পরবর্তী সময়ে ইসির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলে, তা তদন্তে সংসদীয় কমিটিকে ক্ষমতা দেওয়া এবং সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে আলাদা কর্তৃপক্ষ গঠনের সুপারিশ নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “শেয়ার বাজারে টানা দরপতন, আতঙ্কে বিনিয়োগকারীরা “

দেশের শেয়ার বাজারে টানা দরপতনে উদ্বেগ-আতঙ্কে দিন পার করছেন বিনিয়োগকারীরা। ভালো-মন্দ সব ধরনের শেয়ারের ঢালাও দরপতনে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচকটি কমেছে ৪৯ পয়েন্টের বেশি। এ নিয়ে গত টানা ৯ কার্যদিবস সূচক কমেছে ২২৯ পয়েন্ট। ডিএসইর প্রধান সূচকটি এখন ৫ হাজার পয়েন্টের নিচে অবস্থান করছে। সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও তলানিতে এসে ঠেকেছে। বিনিয়োগকারীদের জিজ্ঞাসা, কোথায় গিয়ে থামবে এ দরপতন?

পুঁজিবাজারের বর্তমান এ পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তারা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ (বিএসইসি) কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ দাবি করেছেন।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, সামনে বাজার ভালো হওয়ার মতো কিছু নেই, যা অনুঘটকের কাজ করবে। যে কারণে বিনিয়োগকারীরা হতাশ। গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি পুনর্গঠন করা হলে বিনিয়োগকারীরা আশায় বুক বেঁধেছিল যে, বাজার ভালো হবে। কিন্তু গত আট মাসে বিএসইসি বাজারের মূল সমস্যাই চিহ্নিত করতে পারেনি, সেগুলোর সমাধান করবে কীভাবে?

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “১০ বছরে বৈধ পথে বিদেশ গিয়ে অবৈধ হয়ে ফিরেছেন প্রায় ৭ লাখ বাংলাদেশী”

বিগত ১০ বছরে বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধ হয়ে বাংলাদেশে ফেরত এসেছেন প্রায় সাত লাখ অভিবাসী। যদিও তাদের সবাই বিদেশ গিয়েছিলেন বৈধ পথে। বিদেশ যেতে বাংলাদেশী কর্মীদের গড়ে খরচ হয় প্রায় ৫ লাখ টাকা। এ হিসাবে অবৈধ হয়ে ফেরত আসা প্রবাসীদের পরিবারের অন্তত ৩৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ভিসা ফি, বিমান ভাড়া বাদ দিয়ে ব্যয় হওয়া অর্থের পুরোটাই রিক্রুটিং এজেন্ট কিংবা দালালদের পকেটে ঢুকেছে। আর ভাগ্য ফেরানোর আশায় বিদেশ যাওয়া শ্রমিকরা ফিরছেন পরিবারের বোঝা হয়ে।

কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ভূলইন দক্ষিণ ইউনিয়নের ইকরামুল হক ৫ লাখ টাকা খরচ করে ২০২৩ সালে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। নিজের সঞ্চয়, ঋণ ও আত্মীয়দের থেকে ধার করা টাকা তুলে দেন দালালের হাতে। যদিও অবৈধ হয়ে জেল খেটে দুই বছরের মধ্যেই দেশে ফেরত আসতে হয়েছে তাকে।

ইকরামুল হক বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ফ্রি ভিসায় সৌদি আরব গিয়েছিলাম। দালালদের কথা ছিল আকামা হবে, ভালো চাকরি পাওয়া যাবে। কিন্তু সবকিছুই ছিল মিথ্যা প্রলোভন। সৌদি যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই অবৈধ হয়ে যাই। এরপর জেল খেটেছি। শূন্য হাতে দেশে ফিরে আসতে হয়েছে।’

বৈধ পথে বিদেশগামীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এক দশকে ৮০ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫০ জন বাংলাদেশী অভিবাসী শ্রমিক হিসেবে বিদেশ গেছেন। সরকারি এ সংস্থার কাছে বিদেশগামীদের সংখ্যা থাকলেও কতজন ফিরে আসছেন, তার কোনো তথ্য নেই। তবে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের তথ্যমতে, এ ১০ বছরে বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধ হয়ে আউটপাস নিয়ে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭০ বাংলাদেশী দেশে ফিরেছেন। বৈধ পথে বিদেশ গিয়ে অবৈধ হয়ে ফিরে আসাদের এ সংখ্যা প্রতি বছরই বাড়ছে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “নতুন করে দেশে ৩০ লাখ দরিদ্র হতে পারে- বিশ্বব্যাংক”

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ধীরগতির কারণে বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্যের হার বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য সীমা ব্যবহার করে সংস্থাটি এই পূর্বাভাস দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক মনে করে, চলতি বছর নতুন করে ৩০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের কবলে পড়তে পারে বাংলাদেশ।

বুধবার প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক দারিদ্র্য পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করেছে। ‘ম্যাক্রো প্রভার্টি আউটলুক’- শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশ বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ নানাবিধ কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। সেখানে বলা হয়েছে, চলতি বছরে শ্রমবাজারের দুর্বল অবস্থা অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকা মানুষের প্রকৃত আয় কমতে পারে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের শ্লথগতির কারণে ঝুঁকিতে থাকা গরিব মানুষের ওপর বেশি প্রভাব ফেলছে। এতে বৈষম্য আরও বাড়বে বলে বিশ্বব্যাংক মনে করে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও কর্মসংস্থান কমে যাওয়া স্বল্প আয়ের পরিবারগুলোর জীবনে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে প্রায় ৪ শতাংশ শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। একই সময়ে স্বল্প দক্ষ কর্মীদের মজুরি ২ শতাংশ এবং উচ্চ দক্ষ কর্মীদের মজুরি ০.৫ শতাংশ কমেছে। এই বাস্তবতায় দেশের চরম দারিদ্র্যের হার বাড়বে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। তাদের পূর্বাভাস, চলতি অর্থবছরে দেশে চরম দারিদ্র্যের হার বাড়তে পারে। চরম দারিদ্র্যের হার ৭.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯.৩ শতাংশে উঠবে। এতে আরও ৩০ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের কবলে পড়বে বলে আশঙ্কা। সামগ্রিকভাবে দারিদ্র্যের হারও বাড়তে পারে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। জাতীয় দারিদ্র্য হার গত বছরে ছিল সাড়ে ২০ শতাংশ। ২০২৫ সালে তা বেড়ে ২২.৯ শতাংশ হবে। তবে এই বাস্তবতায় প্রবাসী আয় গ্রহণকারী পরিবারগুলো ভালো থাকবে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। অর্থনৈতিক সংকটের মোকাবিলা করতে গিয়ে পাঁচটির মধ্যে তিনটি পরিবার তাদের সঞ্চয় ভেঙে জীবন নির্বাহ করতে বাধ্য হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।

২০২২ সালের জনশুমারি অনুসারে, দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। বিশ্বব্যাংকের হিসাবটি বিবেচনায় আনলে ২০২৫ সাল শেষে অতি গরিব মানুষের সংখ্যা হবে ১ কোটি ৫৮ লাখের মতো। অন্যদিকে জাতীয় দারিদ্র্য হার বা গরিব মানুষের সংখ্যা হবে ৩ কোটি ৯০ লাখের মতো। মূলত প্রকৃত আয় কমে যাওয়ার কারণেই মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যায় কিংবা গরিব থেকে আরও গরিব বা অতি গরিব হয়।

 

নতুন করে দেশে ৩০ লাখ দরিদ্র হতে পারে- বিশ্বব্যাংক

০৯:৫১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “কিছু সংস্কার প্রস্তাবে অভিন্ন অবস্থান ইসি ও বিএনপি”

নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) দায়বদ্ধ করতে কয়েকটি নতুন বিধান করার প্রস্তাব দিয়েছিল নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এসবে আপত্তি জানিয়ে ইসি বলেছিল, এসব প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা খর্ব হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় নির্বাচন কমিশনের দায়দায়িত্ব নির্ধারণ–সংক্রান্ত এসব প্রস্তাবে বিএনপিও একমত হয়নি। এ ক্ষেত্রে বিএনপি ও ইসির অবস্থান অভিন্ন।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার আনার লক্ষ্যে প্রস্তাব তৈরির জন্য গত অক্টোবরে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। এর একটি ছিল বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এ কমিশন গত ১৫ জানুয়ারি সুপারিশের সারসংক্ষেপ এবং ৮ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেয়। তারা ১৬টি ক্ষেত্রে দুই শতাধিক সুপারিশ করেছে।

সংস্কার কমিশনের সুপারিশের একটি ক্ষেত্র ছিল ‘নির্বাচন কমিশনের দায়বদ্ধতা’। বিদ্যমান আইনে কোথাও সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতার বিষয়টি সেভাবে স্পষ্ট করা নেই। নির্বাচন কমিশনের আইনি, আর্থিক ও প্রশাসনিক প্রস্তাব কোনো মন্ত্রণালয়ের বদলে জাতীয় সংসদের স্পিকারের নেতৃত্বে একটি সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটির কাছে উপস্থাপনের বিধান করার সুপারিশ করে সংস্কার কমিশন। এতে বলা হয়, সংসদীয় কমিটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে প্রস্তাবগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠাবে।

এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনের মেয়াদকালে কমিশনারদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ উঠলে তা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে সুরাহা করার বিদ্যমান বিধান কার্যকর করা এবং মেয়াদ-পরবর্তী সময়ে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা বা শপথ ভঙ্গের অভিযোগ এলে তা তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করার জন্য সংসদীয় কমিটিকে ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করে সংস্কার কমিশন।

সংস্কার কমিশনের এসব সুপারিশ বা প্রস্তাব নিয়ে আপত্তি আছে নির্বাচন কমিশনের। সংস্কার কমিশনের সুপারিশের সারসংক্ষেপ প্রকাশের পর গত ২৬ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছিলেন, সংস্কার কমিশনের অনেক সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে ইসির স্বাধীনতা খর্ব হবে। সেদিন তিনি মূলত ইসির অর্থ বরাদ্দ, মেয়াদ-পরবর্তী সময়ে ইসির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলে, তা তদন্তে সংসদীয় কমিটিকে ক্ষমতা দেওয়া এবং সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে আলাদা কর্তৃপক্ষ গঠনের সুপারিশ নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “শেয়ার বাজারে টানা দরপতন, আতঙ্কে বিনিয়োগকারীরা “

দেশের শেয়ার বাজারে টানা দরপতনে উদ্বেগ-আতঙ্কে দিন পার করছেন বিনিয়োগকারীরা। ভালো-মন্দ সব ধরনের শেয়ারের ঢালাও দরপতনে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচকটি কমেছে ৪৯ পয়েন্টের বেশি। এ নিয়ে গত টানা ৯ কার্যদিবস সূচক কমেছে ২২৯ পয়েন্ট। ডিএসইর প্রধান সূচকটি এখন ৫ হাজার পয়েন্টের নিচে অবস্থান করছে। সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও তলানিতে এসে ঠেকেছে। বিনিয়োগকারীদের জিজ্ঞাসা, কোথায় গিয়ে থামবে এ দরপতন?

পুঁজিবাজারের বর্তমান এ পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তারা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ (বিএসইসি) কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ দাবি করেছেন।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, সামনে বাজার ভালো হওয়ার মতো কিছু নেই, যা অনুঘটকের কাজ করবে। যে কারণে বিনিয়োগকারীরা হতাশ। গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি পুনর্গঠন করা হলে বিনিয়োগকারীরা আশায় বুক বেঁধেছিল যে, বাজার ভালো হবে। কিন্তু গত আট মাসে বিএসইসি বাজারের মূল সমস্যাই চিহ্নিত করতে পারেনি, সেগুলোর সমাধান করবে কীভাবে?

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “১০ বছরে বৈধ পথে বিদেশ গিয়ে অবৈধ হয়ে ফিরেছেন প্রায় ৭ লাখ বাংলাদেশী”

বিগত ১০ বছরে বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধ হয়ে বাংলাদেশে ফেরত এসেছেন প্রায় সাত লাখ অভিবাসী। যদিও তাদের সবাই বিদেশ গিয়েছিলেন বৈধ পথে। বিদেশ যেতে বাংলাদেশী কর্মীদের গড়ে খরচ হয় প্রায় ৫ লাখ টাকা। এ হিসাবে অবৈধ হয়ে ফেরত আসা প্রবাসীদের পরিবারের অন্তত ৩৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ভিসা ফি, বিমান ভাড়া বাদ দিয়ে ব্যয় হওয়া অর্থের পুরোটাই রিক্রুটিং এজেন্ট কিংবা দালালদের পকেটে ঢুকেছে। আর ভাগ্য ফেরানোর আশায় বিদেশ যাওয়া শ্রমিকরা ফিরছেন পরিবারের বোঝা হয়ে।

কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ভূলইন দক্ষিণ ইউনিয়নের ইকরামুল হক ৫ লাখ টাকা খরচ করে ২০২৩ সালে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। নিজের সঞ্চয়, ঋণ ও আত্মীয়দের থেকে ধার করা টাকা তুলে দেন দালালের হাতে। যদিও অবৈধ হয়ে জেল খেটে দুই বছরের মধ্যেই দেশে ফেরত আসতে হয়েছে তাকে।

ইকরামুল হক বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ফ্রি ভিসায় সৌদি আরব গিয়েছিলাম। দালালদের কথা ছিল আকামা হবে, ভালো চাকরি পাওয়া যাবে। কিন্তু সবকিছুই ছিল মিথ্যা প্রলোভন। সৌদি যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই অবৈধ হয়ে যাই। এরপর জেল খেটেছি। শূন্য হাতে দেশে ফিরে আসতে হয়েছে।’

বৈধ পথে বিদেশগামীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এক দশকে ৮০ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫০ জন বাংলাদেশী অভিবাসী শ্রমিক হিসেবে বিদেশ গেছেন। সরকারি এ সংস্থার কাছে বিদেশগামীদের সংখ্যা থাকলেও কতজন ফিরে আসছেন, তার কোনো তথ্য নেই। তবে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের তথ্যমতে, এ ১০ বছরে বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধ হয়ে আউটপাস নিয়ে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭০ বাংলাদেশী দেশে ফিরেছেন। বৈধ পথে বিদেশ গিয়ে অবৈধ হয়ে ফিরে আসাদের এ সংখ্যা প্রতি বছরই বাড়ছে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “নতুন করে দেশে ৩০ লাখ দরিদ্র হতে পারে- বিশ্বব্যাংক”

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ধীরগতির কারণে বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্যের হার বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য সীমা ব্যবহার করে সংস্থাটি এই পূর্বাভাস দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক মনে করে, চলতি বছর নতুন করে ৩০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের কবলে পড়তে পারে বাংলাদেশ।

বুধবার প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক দারিদ্র্য পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করেছে। ‘ম্যাক্রো প্রভার্টি আউটলুক’- শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশ বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ নানাবিধ কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। সেখানে বলা হয়েছে, চলতি বছরে শ্রমবাজারের দুর্বল অবস্থা অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকা মানুষের প্রকৃত আয় কমতে পারে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের শ্লথগতির কারণে ঝুঁকিতে থাকা গরিব মানুষের ওপর বেশি প্রভাব ফেলছে। এতে বৈষম্য আরও বাড়বে বলে বিশ্বব্যাংক মনে করে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও কর্মসংস্থান কমে যাওয়া স্বল্প আয়ের পরিবারগুলোর জীবনে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে প্রায় ৪ শতাংশ শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। একই সময়ে স্বল্প দক্ষ কর্মীদের মজুরি ২ শতাংশ এবং উচ্চ দক্ষ কর্মীদের মজুরি ০.৫ শতাংশ কমেছে। এই বাস্তবতায় দেশের চরম দারিদ্র্যের হার বাড়বে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। তাদের পূর্বাভাস, চলতি অর্থবছরে দেশে চরম দারিদ্র্যের হার বাড়তে পারে। চরম দারিদ্র্যের হার ৭.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯.৩ শতাংশে উঠবে। এতে আরও ৩০ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের কবলে পড়বে বলে আশঙ্কা। সামগ্রিকভাবে দারিদ্র্যের হারও বাড়তে পারে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। জাতীয় দারিদ্র্য হার গত বছরে ছিল সাড়ে ২০ শতাংশ। ২০২৫ সালে তা বেড়ে ২২.৯ শতাংশ হবে। তবে এই বাস্তবতায় প্রবাসী আয় গ্রহণকারী পরিবারগুলো ভালো থাকবে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। অর্থনৈতিক সংকটের মোকাবিলা করতে গিয়ে পাঁচটির মধ্যে তিনটি পরিবার তাদের সঞ্চয় ভেঙে জীবন নির্বাহ করতে বাধ্য হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।

২০২২ সালের জনশুমারি অনুসারে, দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। বিশ্বব্যাংকের হিসাবটি বিবেচনায় আনলে ২০২৫ সাল শেষে অতি গরিব মানুষের সংখ্যা হবে ১ কোটি ৫৮ লাখের মতো। অন্যদিকে জাতীয় দারিদ্র্য হার বা গরিব মানুষের সংখ্যা হবে ৩ কোটি ৯০ লাখের মতো। মূলত প্রকৃত আয় কমে যাওয়ার কারণেই মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যায় কিংবা গরিব থেকে আরও গরিব বা অতি গরিব হয়।