০৯:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৩৬)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • 41

আর্কাদি গাইদার

পঞ্চম পরিচ্ছেদ

তারপর ধমকে উঠলেন আমায়, ‘ওর ঠ্যান্ড দুটা ধরতি পার না?’ তবু আমার ন-যযৌ-ন-তস্থৌ ভাব দেখে ফের গালাগাল দিলেন, ‘কী? ঘুম ভাঙল? নারকী কোথাকার!’

বন্দীকে ঘোড়ার পিঠে আড়াআড়িভাবে শুইয়ে দিলুম আমরা। অমনি ভাস্কা লাফিয়ে জিনের ওপর উঠে বসে, একটিও বাক্যব্যয় না করে চাবুক মেরে ঘোড়াটাকে খাদের অসমান জমির ওপর দিয়ে ছুটিয়ে দিল।

চুবুকের মুখচোখ লাল হয়ে উঠেছিল, ঘাম ঝরছিল মুখ বেয়ে। ফোঁসফোঁস শব্দ করে কষ্টে নিশ্বাস টানতে-টানতে উনি আমার কনুই ধরে টানলেন, ‘ইদিকে এস! আমার পিছু-পিছ!’

ঝোপঝাড় ধরে-ধরে চড়াই বেয়ে কোনোমতে ওপরে উঠলেন উনি।

চড়াইয়ের মাথার কাছে পৌঁছে হঠাৎ থেমে বললেন, ‘বোসো, বোসো! বসে পড় শিগগিরি!’

ঝোপের পেছনে উবু হয়ে বসে পড়ামাত্রই দেখলুম নিচে খাদের তলা দিয়ে পাঁচজন ঘোড়সওয়ার যাচ্ছে। বোঝা গেল, আগের সেই ঘোড়সওয়ার বাহিনীর পার্শ্বরক্ষী প্যাট্রল-দলের এটাই প্রধান অংশ। ঘোড়সওয়াররা আমাদের নিচে থেমে এদিক-ওদিক তাকাতে লাগল। ওরা যে ওদের সঙ্গীকে খুঁজছিল, এ-বিষয়ে সন্দেহ ছিল না। জোরে-জোরে ওরা গালাগাল দিচ্ছিল তাও কানে আসছিল আমাদের।

এরপর পাঁচজনই কাঁধ থেকে ওদের ছোট ছোট হালকা বন্দুকগুলো নামিয়ে নিল। একজন ঘোড়া থেকে নেমে কী যেন একটা মাটি থেকে কুড়িয়েও নিল। দেখা গেল, ওটা সেই আগের শ্বেতরক্ষীর টুপি, যা আমরা তাড়াহুড়োর মধ্যে ওখানেই ফেলে চলে এসেছিলুম। এবার ঘোড়সওয়ারগুলো ভয়ে-ভয়ে কথা বলছে শুনলুম। ওদের একজন দেখাচ্ছে। সম্ভবত সে ওদের দলনেতাই হবে দেখলুম সামনের দিকে কী যেন

সঙ্গে সঙ্গে মনে হল, ‘এই-রে, ওরা-না ভাস্কাকে ধরে ফেলে। ভাস্কা ভারি ওজন নিয়ে চলেছে। তাছাড়া ওরা সংখ্যায় পাঁচজন আর ভাস্কা একা।’

‘বোম ছোড়! বোম ছোড় শিগগিরি!’ চুবুক হুকুম দিলেন। ওঁর হাতে কী একটা

চকমক করে উঠেই নিচের দিকে ছুটে গেল।

ধুম করে একটা ভোঁতা শব্দে থমকে গেলুম।

 

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৩৬)

০৮:০০:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

আর্কাদি গাইদার

পঞ্চম পরিচ্ছেদ

তারপর ধমকে উঠলেন আমায়, ‘ওর ঠ্যান্ড দুটা ধরতি পার না?’ তবু আমার ন-যযৌ-ন-তস্থৌ ভাব দেখে ফের গালাগাল দিলেন, ‘কী? ঘুম ভাঙল? নারকী কোথাকার!’

বন্দীকে ঘোড়ার পিঠে আড়াআড়িভাবে শুইয়ে দিলুম আমরা। অমনি ভাস্কা লাফিয়ে জিনের ওপর উঠে বসে, একটিও বাক্যব্যয় না করে চাবুক মেরে ঘোড়াটাকে খাদের অসমান জমির ওপর দিয়ে ছুটিয়ে দিল।

চুবুকের মুখচোখ লাল হয়ে উঠেছিল, ঘাম ঝরছিল মুখ বেয়ে। ফোঁসফোঁস শব্দ করে কষ্টে নিশ্বাস টানতে-টানতে উনি আমার কনুই ধরে টানলেন, ‘ইদিকে এস! আমার পিছু-পিছ!’

ঝোপঝাড় ধরে-ধরে চড়াই বেয়ে কোনোমতে ওপরে উঠলেন উনি।

চড়াইয়ের মাথার কাছে পৌঁছে হঠাৎ থেমে বললেন, ‘বোসো, বোসো! বসে পড় শিগগিরি!’

ঝোপের পেছনে উবু হয়ে বসে পড়ামাত্রই দেখলুম নিচে খাদের তলা দিয়ে পাঁচজন ঘোড়সওয়ার যাচ্ছে। বোঝা গেল, আগের সেই ঘোড়সওয়ার বাহিনীর পার্শ্বরক্ষী প্যাট্রল-দলের এটাই প্রধান অংশ। ঘোড়সওয়াররা আমাদের নিচে থেমে এদিক-ওদিক তাকাতে লাগল। ওরা যে ওদের সঙ্গীকে খুঁজছিল, এ-বিষয়ে সন্দেহ ছিল না। জোরে-জোরে ওরা গালাগাল দিচ্ছিল তাও কানে আসছিল আমাদের।

এরপর পাঁচজনই কাঁধ থেকে ওদের ছোট ছোট হালকা বন্দুকগুলো নামিয়ে নিল। একজন ঘোড়া থেকে নেমে কী যেন একটা মাটি থেকে কুড়িয়েও নিল। দেখা গেল, ওটা সেই আগের শ্বেতরক্ষীর টুপি, যা আমরা তাড়াহুড়োর মধ্যে ওখানেই ফেলে চলে এসেছিলুম। এবার ঘোড়সওয়ারগুলো ভয়ে-ভয়ে কথা বলছে শুনলুম। ওদের একজন দেখাচ্ছে। সম্ভবত সে ওদের দলনেতাই হবে দেখলুম সামনের দিকে কী যেন

সঙ্গে সঙ্গে মনে হল, ‘এই-রে, ওরা-না ভাস্কাকে ধরে ফেলে। ভাস্কা ভারি ওজন নিয়ে চলেছে। তাছাড়া ওরা সংখ্যায় পাঁচজন আর ভাস্কা একা।’

‘বোম ছোড়! বোম ছোড় শিগগিরি!’ চুবুক হুকুম দিলেন। ওঁর হাতে কী একটা

চকমক করে উঠেই নিচের দিকে ছুটে গেল।

ধুম করে একটা ভোঁতা শব্দে থমকে গেলুম।