০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৩১) বিরল মাটির দখলে চীনের জয়যাত্রা ও পরিবেশের চড়া খেসারত বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়ার মধ্যেও কেন চীনের রেয়ার আর্থ আধিপত্য অটুট জৈবজ্বালানি বিধিমালা ও ভূরাজনৈতিক ঝাঁকুনিতে পাম ওয়েল বাজার কৃষকের স্ত্রীর পরিচয়ের ঊর্ধ্বে: লিঙ্গভিত্তিক পরিসর উন্মোচন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দরকষাকষিতে ব্যর্থতার অভিযোগ, আলোচকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন হিউএনচাঙ (পর্ব-১৪২) ট্রাম্পের শুল্ক চিঠি এশিয়াকে ১ আগস্টের মধ্যে চুক্তি করতে চাপ দিচ্ছে ট্রাম্পের নতুন শুল্কে এশীয় মুদ্রার অবনতি, শেয়ারবাজারে মৃদু পরিবর্তন সেনাপ্রধানের সাথে তুরস্কের ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এর মান্যবর সেক্রেটারি’র সৌজন্য সাক্ষাৎ

বজ্রপাত কখন হয়, কেন বাংলাদেশে বাড়ছে বজ্রপাত?

  • Sarakhon Report
  • ০২:৪৯:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • 88

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • অধিকাংশই কৃষিজমিতে কাজ করার সময় দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভুক্তভোগী হয়েছিলেন
  • জাতিসংঘের তথ্যমতে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৩০০ জন বজ্রপাতের আঘাতে মারা যান
  •  বাংলাদেশের মোট বজ্রপাতের প্রায় ৬৯% ঘটনা মধ্যএপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত প্রাক-মৌসুমে ঘটেবিশেষ করে সকালের দিকে

গতকাল ছয় জেলায় বজ্রপাতে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন।কুমিল্লায় চারজন, কিশোরগঞ্জে তিনজন এবং নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলায় একজন করে প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই কৃষি শ্রমিক।

বজ্রপাত বৃদ্ধির কারণ

বাংলাদেশের ভূগোলগত অবস্থানের কারণে প্রাক-মৌসুমে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রবাহিত আর্দ্র বায়ু শিলং প্ল্যাটোর এবং চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলের টপোগ্রাফিক বাধায় দ্রুত উত্থিত হয়ে প্রবল বজ্রঝড় (কালবৈশাখী) সৃষ্টি করে ।

এ ছাড়া প্রাক-মৌসুমে (মার্চ–মে) সূর্যালোক তীব্রতায় বায়ুমণ্ডলে তাপমাত্রার অস্বাভাবিক ওঠানামা ও অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বাড়ায় মৌসুমী দক্ষিণ-পশ্চিম লো-লেভেল জেট বে-অফ-বেঙ্গল ( বঙ্গোপসাগর)  থেকে অধিক আর্দ্রতা পরিবহন করে, যা কনভেকটিভ সিস্টেমকে ত্বরান্বিত করে। গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের মোট বজ্রপাতের প্রায় ৬৯% ঘটনা মধ্য-এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত প্রাক-মৌসুমে ঘটে, বিশেষ করে সকালের দিকে।

সাম্প্রতিক উল্লেখযোগ্য বজ্রপাতের ঘটনা

২০১৯২০২৩: স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম” (SSTAF) এর তথ্যানুযায়ী, এই সময়ে বজ্রপাতের ফলে ,৩২২ জন প্রাণ হারিয়েছেন, গড়ে বছরে প্রায় ২৬৪ জন মৃত্যু হয়।

এপ্রিল ২০২ – মে ২০২৩: বজ্রপাতের কারণে ৩৪০ জন নিহত হয়; এর মধ্যে ২৭৪ জন (২৩৯ পুরুষ, ৩৫ নারী) মারা যায় ২০২৩ এর এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই ঘটেছে ।

Save the Society and Thunderstorm Awareness Forum সেভ দ্য সোসাইটি

ফেব্রুয়ারিসেপ্টেম্বর ২০২৪: SSTF জানায়, মোট ২৯৭ জন (২৪২ পুরুষ, ৫৫ নারী) বজ্রপাতের আঘাতে প্রাণ হারিয়েছে; অধিকাংশই কৃষিজমিতে কাজ করার সময় দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভুক্তভোগী হয়েছিলেন ।

৭ এপ্রিল ২০২৪: ঝালকাঠি, নেত্রকোণা ও যশোর জেলায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় ৫ জন (এক শিশুসহ) নিহত হয়।

প্রতি বছরের গড়: জাতিসংঘের তথ্যমতে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৩০০ জন বজ্রপাতের আঘাতে মারা যান; বাংলাদেশ সরকার ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করে।

এই তথ্যগুলোই প্রমাণ করে, প্রাক-মৌসুমের “কালবৈশাখী” সহ অন্যান্য বজ্রঝড়ের তীব্রতা ও প্রভাব দিনদিন বাড়ছে। নিরাপত্তা সচেতনতা ও ঝড় প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলোতে আরও সক্রিয় উদ্যোগ নেওয়া না গেলে এ ধরণের প্রাণহানির এই ধারা প্রতিবছর অব্যাহত থাকবে।

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৩১)

বজ্রপাত কখন হয়, কেন বাংলাদেশে বাড়ছে বজ্রপাত?

০২:৪৯:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • অধিকাংশই কৃষিজমিতে কাজ করার সময় দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভুক্তভোগী হয়েছিলেন
  • জাতিসংঘের তথ্যমতে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৩০০ জন বজ্রপাতের আঘাতে মারা যান
  •  বাংলাদেশের মোট বজ্রপাতের প্রায় ৬৯% ঘটনা মধ্যএপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত প্রাক-মৌসুমে ঘটেবিশেষ করে সকালের দিকে

গতকাল ছয় জেলায় বজ্রপাতে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন।কুমিল্লায় চারজন, কিশোরগঞ্জে তিনজন এবং নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলায় একজন করে প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই কৃষি শ্রমিক।

বজ্রপাত বৃদ্ধির কারণ

বাংলাদেশের ভূগোলগত অবস্থানের কারণে প্রাক-মৌসুমে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রবাহিত আর্দ্র বায়ু শিলং প্ল্যাটোর এবং চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলের টপোগ্রাফিক বাধায় দ্রুত উত্থিত হয়ে প্রবল বজ্রঝড় (কালবৈশাখী) সৃষ্টি করে ।

এ ছাড়া প্রাক-মৌসুমে (মার্চ–মে) সূর্যালোক তীব্রতায় বায়ুমণ্ডলে তাপমাত্রার অস্বাভাবিক ওঠানামা ও অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বাড়ায় মৌসুমী দক্ষিণ-পশ্চিম লো-লেভেল জেট বে-অফ-বেঙ্গল ( বঙ্গোপসাগর)  থেকে অধিক আর্দ্রতা পরিবহন করে, যা কনভেকটিভ সিস্টেমকে ত্বরান্বিত করে। গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের মোট বজ্রপাতের প্রায় ৬৯% ঘটনা মধ্য-এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত প্রাক-মৌসুমে ঘটে, বিশেষ করে সকালের দিকে।

সাম্প্রতিক উল্লেখযোগ্য বজ্রপাতের ঘটনা

২০১৯২০২৩: স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম” (SSTAF) এর তথ্যানুযায়ী, এই সময়ে বজ্রপাতের ফলে ,৩২২ জন প্রাণ হারিয়েছেন, গড়ে বছরে প্রায় ২৬৪ জন মৃত্যু হয়।

এপ্রিল ২০২ – মে ২০২৩: বজ্রপাতের কারণে ৩৪০ জন নিহত হয়; এর মধ্যে ২৭৪ জন (২৩৯ পুরুষ, ৩৫ নারী) মারা যায় ২০২৩ এর এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই ঘটেছে ।

Save the Society and Thunderstorm Awareness Forum সেভ দ্য সোসাইটি

ফেব্রুয়ারিসেপ্টেম্বর ২০২৪: SSTF জানায়, মোট ২৯৭ জন (২৪২ পুরুষ, ৫৫ নারী) বজ্রপাতের আঘাতে প্রাণ হারিয়েছে; অধিকাংশই কৃষিজমিতে কাজ করার সময় দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভুক্তভোগী হয়েছিলেন ।

৭ এপ্রিল ২০২৪: ঝালকাঠি, নেত্রকোণা ও যশোর জেলায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় ৫ জন (এক শিশুসহ) নিহত হয়।

প্রতি বছরের গড়: জাতিসংঘের তথ্যমতে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৩০০ জন বজ্রপাতের আঘাতে মারা যান; বাংলাদেশ সরকার ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করে।

এই তথ্যগুলোই প্রমাণ করে, প্রাক-মৌসুমের “কালবৈশাখী” সহ অন্যান্য বজ্রঝড়ের তীব্রতা ও প্রভাব দিনদিন বাড়ছে। নিরাপত্তা সচেতনতা ও ঝড় প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলোতে আরও সক্রিয় উদ্যোগ নেওয়া না গেলে এ ধরণের প্রাণহানির এই ধারা প্রতিবছর অব্যাহত থাকবে।