০১:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

জাপানি কফি মেশিন ‘ড্রিপ পড’ এবার থাই বাজারে

  • Sarakhon Report
  • ১০:০০:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • 44

সারাক্ষণ রিপোর্ট

থাইল্যান্ডে প্রবেশ করছে ইউসিসির ড্রিপ পড

জাপানের ইউসিসি উয়েশিমা কফি কোম্পানি তাদের ড্রিপ পড কফি মেশিন এবার থাইল্যান্ডে বাজারজাত করতে যাচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই বাজারে প্রবেশ করে তারা হাতের ছোঁয়ায় হাতে-চাপানো কফির স্বাদ পৌঁছে দিতে চায়।

এক দশকের উন্নয়ন ও প্রসার

গত ১০ বছরে ইউসিসসি তাদের ড্রিপ পড সিরিজের প্রায় ৫ লাখ ইউনিট বিক্রি করেছে,যার বেশিরভাগ জাপানেই বিক্রি হয়েছে। তবে সম্প্রতি তারা এমন দেশগুলিতে সম্প্রসারণ করছে, যেখানে হ্যান্ড-ড্রিপড কফি জনপ্রিয়—যেমন চীন, তাইওয়ান, ফিলিপাইন ও সিঙ্গাপুর। এবারে লক্ষ্য থাইল্যান্ড, যেখানে ২০২৫ সালের শরতে তারা প্রবেশ করবে।

ভোক্তার চাহিদা ও কাস্টমাইজেশন সুবিধা

ড্রিপ পডের লক্ষ্য এমন ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানো, যারা বাড়িতে সহজে অথেনটিক কফি উপভোগ করতে চান। এই মেশিনে ১৫টি নিয়মিত কফি ফ্লেভার ছাড়াও রয়েছে ব্ল্যাক ও গ্রিন টি, এবং প্রতি কাপ তৈরি হতে সময় লাগে মাত্র এক মিনিট।

প্রতিষ্ঠানটির একক ইউনিট ‘Solo Fresh Coffee System’-এর প্রেসিডেন্ট ইউকি ইয়ানাগিহারা বলেন, “২০ থেকে ৭০ বছরের বিভিন্ন বয়সী মানুষ এই মেশিন দিয়ে কফি উপভোগ করছে। আমরা হ্যান্ড-ড্রিপ স্বাদ আনার প্রযুক্তিতে অনেক গবেষণা করেছি।”

আধুনিক প্রযুক্তি ও সাবস্ক্রিপশন মডেল

২০১৫ সালে ইউসিসি ড্রিপ পড চালু করার পর থেকে এর বার্ষিক বিক্রয় গড় হারে ২৫% বেড়েছে। ইউসিসি’র তৈরি মেশিনে স্মার্টফোন কানেক্ট করে পেশাদার বারিস্টাদের মতো পানির তাপমাত্রা, গতি এবং পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এতে একই কফি বিন থেকেও বিভিন্ন স্বাদের কফি তৈরি সম্ভব।

২০১৫ সালেই ইউসিসি সাবস্ক্রিপশন সার্ভিস চালু করে, যেখানে মাসে মাত্র ৪,৯৮০ ইয়েন (প্রায় ৩৪.৬০ ডলার) খরচে কাস্টমাররা ইউসিসি বাছাই করা ক্যাপসুল পায়। কাস্টমাররা তারিখ, পরিমাণ ও স্বাদ পরিবর্তন করতে পারে। চাইলে অর্ডারও পিছিয়ে দিতে পারে।

২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোম্পানিটি মাসে ২,০০০ ইয়েনে ফ্ল্যাগশিপ মডেল ভাড়া দেওয়ার সেবা চালু করে।

প্রথমদিকের চ্যালেঞ্জ ও রূপান্তর

শুরুটা ছিল কঠিন। ২০১০-এর দশকের শুরুতে ইউসিসি যেসব মেশিন তৈরি করেছিল, সেগুলোতে ছিল একমাত্রিক ব্রিউ পদ্ধতি, ফলে বিভিন্ন ধরনের কফি বিনের স্বাদ ঠিকমতো ফুটে উঠত না। ক্যাপসুলগুলো ছিল রি-ফিলযোগ্য, যা ব্যবহারকারীদের জন্য ঝামেলার কারণ হতো।

ড্রিপ পড চালুর পর প্রযুক্তি,স্বাদ ও সুবিধা তিনটির সমন্বয়ে পরিস্থিতি বদলায়। এখনকার মেশিনগুলো স্মার্ট অ্যাপে নিয়ন্ত্রিত, যেখান থেকে কাস্টমাইজড ব্রু সম্ভব হয়।

কফির অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে দেওয়া ও পাইলট প্রকল্প

নতুন কাস্টমারদের আকৃষ্ট করতে ইউসিসি কফি চেখে দেখার ইভেন্ট চালু করে ২০২২ সালে। পাশাপাশি, তারা অস্থায়ী ক্যাফে চালায়, যেখানে গ্রাহকদের না জানিয়ে ড্রিপ পডে তৈরি কফি পরিবেশন করা হয় এবং স্বাদ অনুযায়ী ১২টি ভিন্ন ফ্লেভারের যেকোনো একটি এলোমেলোভাবে নির্বাচন করা হয়।

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও বাজার সম্প্রসারণ

ইউসিসসি আশা করছে থাইল্যান্ডে ড্রিপ পড মেশিনের মাধ্যমে নতুন এক কফি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারবে। জাপানে যেখানে ক্যাপসুল কফি বাজার ২০১৮ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত গড়ে ১০% হারে বাড়ছে, সেখান থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা এবার তারা থাই বাজারেও কাজে লাগাতে চায়।

আপনি কি চান এর জন্য একটি ইনফোগ্রাফিক টাইমলাইন তৈরি করা হোক?

জাপানি কফি মেশিন ‘ড্রিপ পড’ এবার থাই বাজারে

১০:০০:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

থাইল্যান্ডে প্রবেশ করছে ইউসিসির ড্রিপ পড

জাপানের ইউসিসি উয়েশিমা কফি কোম্পানি তাদের ড্রিপ পড কফি মেশিন এবার থাইল্যান্ডে বাজারজাত করতে যাচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই বাজারে প্রবেশ করে তারা হাতের ছোঁয়ায় হাতে-চাপানো কফির স্বাদ পৌঁছে দিতে চায়।

এক দশকের উন্নয়ন ও প্রসার

গত ১০ বছরে ইউসিসসি তাদের ড্রিপ পড সিরিজের প্রায় ৫ লাখ ইউনিট বিক্রি করেছে,যার বেশিরভাগ জাপানেই বিক্রি হয়েছে। তবে সম্প্রতি তারা এমন দেশগুলিতে সম্প্রসারণ করছে, যেখানে হ্যান্ড-ড্রিপড কফি জনপ্রিয়—যেমন চীন, তাইওয়ান, ফিলিপাইন ও সিঙ্গাপুর। এবারে লক্ষ্য থাইল্যান্ড, যেখানে ২০২৫ সালের শরতে তারা প্রবেশ করবে।

ভোক্তার চাহিদা ও কাস্টমাইজেশন সুবিধা

ড্রিপ পডের লক্ষ্য এমন ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানো, যারা বাড়িতে সহজে অথেনটিক কফি উপভোগ করতে চান। এই মেশিনে ১৫টি নিয়মিত কফি ফ্লেভার ছাড়াও রয়েছে ব্ল্যাক ও গ্রিন টি, এবং প্রতি কাপ তৈরি হতে সময় লাগে মাত্র এক মিনিট।

প্রতিষ্ঠানটির একক ইউনিট ‘Solo Fresh Coffee System’-এর প্রেসিডেন্ট ইউকি ইয়ানাগিহারা বলেন, “২০ থেকে ৭০ বছরের বিভিন্ন বয়সী মানুষ এই মেশিন দিয়ে কফি উপভোগ করছে। আমরা হ্যান্ড-ড্রিপ স্বাদ আনার প্রযুক্তিতে অনেক গবেষণা করেছি।”

আধুনিক প্রযুক্তি ও সাবস্ক্রিপশন মডেল

২০১৫ সালে ইউসিসি ড্রিপ পড চালু করার পর থেকে এর বার্ষিক বিক্রয় গড় হারে ২৫% বেড়েছে। ইউসিসি’র তৈরি মেশিনে স্মার্টফোন কানেক্ট করে পেশাদার বারিস্টাদের মতো পানির তাপমাত্রা, গতি এবং পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এতে একই কফি বিন থেকেও বিভিন্ন স্বাদের কফি তৈরি সম্ভব।

২০১৫ সালেই ইউসিসি সাবস্ক্রিপশন সার্ভিস চালু করে, যেখানে মাসে মাত্র ৪,৯৮০ ইয়েন (প্রায় ৩৪.৬০ ডলার) খরচে কাস্টমাররা ইউসিসি বাছাই করা ক্যাপসুল পায়। কাস্টমাররা তারিখ, পরিমাণ ও স্বাদ পরিবর্তন করতে পারে। চাইলে অর্ডারও পিছিয়ে দিতে পারে।

২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোম্পানিটি মাসে ২,০০০ ইয়েনে ফ্ল্যাগশিপ মডেল ভাড়া দেওয়ার সেবা চালু করে।

প্রথমদিকের চ্যালেঞ্জ ও রূপান্তর

শুরুটা ছিল কঠিন। ২০১০-এর দশকের শুরুতে ইউসিসি যেসব মেশিন তৈরি করেছিল, সেগুলোতে ছিল একমাত্রিক ব্রিউ পদ্ধতি, ফলে বিভিন্ন ধরনের কফি বিনের স্বাদ ঠিকমতো ফুটে উঠত না। ক্যাপসুলগুলো ছিল রি-ফিলযোগ্য, যা ব্যবহারকারীদের জন্য ঝামেলার কারণ হতো।

ড্রিপ পড চালুর পর প্রযুক্তি,স্বাদ ও সুবিধা তিনটির সমন্বয়ে পরিস্থিতি বদলায়। এখনকার মেশিনগুলো স্মার্ট অ্যাপে নিয়ন্ত্রিত, যেখান থেকে কাস্টমাইজড ব্রু সম্ভব হয়।

কফির অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে দেওয়া ও পাইলট প্রকল্প

নতুন কাস্টমারদের আকৃষ্ট করতে ইউসিসি কফি চেখে দেখার ইভেন্ট চালু করে ২০২২ সালে। পাশাপাশি, তারা অস্থায়ী ক্যাফে চালায়, যেখানে গ্রাহকদের না জানিয়ে ড্রিপ পডে তৈরি কফি পরিবেশন করা হয় এবং স্বাদ অনুযায়ী ১২টি ভিন্ন ফ্লেভারের যেকোনো একটি এলোমেলোভাবে নির্বাচন করা হয়।

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও বাজার সম্প্রসারণ

ইউসিসসি আশা করছে থাইল্যান্ডে ড্রিপ পড মেশিনের মাধ্যমে নতুন এক কফি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারবে। জাপানে যেখানে ক্যাপসুল কফি বাজার ২০১৮ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত গড়ে ১০% হারে বাড়ছে, সেখান থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা এবার তারা থাই বাজারেও কাজে লাগাতে চায়।

আপনি কি চান এর জন্য একটি ইনফোগ্রাফিক টাইমলাইন তৈরি করা হোক?