সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
- পাকিস্তান সীমান্তে সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি করেছে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে “অপারেশনাল ফ্রিডম” দিয়েছেন
- সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে
- পাকিস্তান সরকার ভারতীয় উৎপাদিত পণ্যের আমদানি এবং তৃতীয় দেশের মাধ্যমে ভারতীয় বাজারে রপ্তানি হওয়া পণ্যের পাকিস্তানের ভেতর দিয়ে যাতায়াত নিষিদ্ধ করেছে
ভারতীয় উৎসের পণ্যের আমদানি ও তৃতীয় দেশের রপ্তানি নিষিদ্ধ
পাকিস্তান সরকার ভারতীয় উৎস থেকে উৎপাদিত পণ্যের আমদানি এবং তৃতীয় দেশের মাধ্যমে ভারতীয় বাজারে রপ্তানি হওয়া পণ্যের পাকিস্তানের ভেতর দিয়ে যাতায়াত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা সমুদ্র, স্থল ও আকাশপথ—সব পথেই কার্যকর হবে। রোববার (৫ মে) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
পহেলগামে হামলার প্রেক্ষাপটে উত্তেজনা
২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। এটিকে ২০০০ সালের পর থেকে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
এই ঘটনার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে। পাকিস্তান সীমান্তে সেনাবাহিনী মোতায়েন বাড়িয়েছে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে “অপারেশনাল ফ্রিডম” দিয়েছেন, যার ফলে দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে।
কোন পণ্য নিষেধাজ্ঞার আওতায়?
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যেসব পণ্যের জন্য বিল অব লেডিং বা ঋণপত্র ইতোমধ্যেই ইস্যু করা হয়েছে, সেগুলোর ওপর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না। বাকি সব পণ্যের জন্য নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে নিম্নরূপ:
- সমুদ্র, স্থল ও আকাশপথে পাকিস্তানের ভেতর দিয়ে ভারতীয় উৎস থেকে তৃতীয় দেশের আমদানিকৃত পণ্য।
- তৃতীয় দেশের ভারতীয় বাজারে পাঠানো রপ্তানি পণ্য, যা পাকিস্তান হয়ে গমন করছে।
এই সিদ্ধান্ত জাতীয় নিরাপত্তা ও জনস্বার্থে নেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
সমুদ্রবন্দর ব্যবহারেও পাল্টা ব্যবস্থা
শনিবার রাতে পাকিস্তান আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দেয়। ভারতীয় পতাকাবাহী জাহাজকে পাকিস্তানের কোনো বন্দরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। একইভাবে পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজও ভারতের কোনো বন্দরে যেতে পারবে না।
পাকিস্তানের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বন্দর ও নৌপরিবহন শাখা জানায়, “পাশাপাশি দেশের সঙ্গে সাম্প্রতিক সমুদ্রসীমা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, সমুদ্রসীমা সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক স্বার্থ এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।”
যেকোনো ব্যতিক্রমমূলক অনুমতির বিষয়টি আলাদাভাবে বিবেচনা করা হবে।