০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

বাজেট ২০২৫-২৬: আকার কমিয়ে মূল্যস্ফীতির লাগাম টানার চেষ্টা

  • Sarakhon Report
  • ০৩:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • 51

আকার কমিয়ে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা থাকবে বাংলাদেশের আসছে অর্থবছরের বাজেটে৷ ব্যয় কমাতে থাকছে না বড় আকারের প্রকল্প৷ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে অটোমেশন নিশ্চিত করার জন্য তথ্য প্রযুক্তির ওপরে গুরুত্ব দেওয়া হবে৷

কী থাকছে বাজেটে?

বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজস্ব সংগ্রহের বড় কোনো উৎসের সন্ধান না পাওয়ায় আগামী বাজেট বড় করা হচ্ছে না৷ এ কারণেই চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় আগামী অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার অন্তত সাত হাজার কোটি টাকা কমানো হচ্ছে৷ উচ্চাভিলাষী না হয়ে বাস্তবভিত্তিক বাজেটের দিকেই এগোতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার৷ অন্যতম লক্ষ্য হবে মূল্যস্ফীতিকে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা৷

বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে, গত মার্চে যার হার ছিল ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ৷ সূত্রে অনুযায়ী, নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ছয় শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা থাকতে পারে৷ সরকার প্রথমে আগামী অর্থবছর শেষে এ হার সাত শতাংশে নামিয়ে আনবে বলে ঠিক করেছিল৷ বাংলাদেশ ব্যাংক নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়ায় এ হার আরও কমবে বলে সরকার আত্মবিশ্বাসী৷

অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার সম্প্রতি এক আলোচনায় বলেছেন, ‘‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে৷ কর্মসংস্থান সৃষ্টি আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকারের একটি পদক্ষেপ৷ সবার পক্ষ থেকে কর্মসংস্থানের বিষয়েও পরামর্শ এসেছে৷ শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ ক্রমান্বয়ে কমছে, এটা বাড়ানোর বিষয়ে পরামর্শ এসেছে৷ অটোমেশন ও ক্যাশলেস সোসাইটির পরামর্শ এসেছে৷ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে যে পরামর্শটা এসেছে, সেটা হচ্ছে বাজেটের আকার ছোট হতে হবে, বাজেট হতে হবে বাস্তবধর্মী৷ এগুলো সরকার গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে৷”

জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের মতো আগামী অর্থবছরেও বাজেট ঘাটতি মোট দেশজ উৎপাদনের পাঁচ শতাংশের নিচে রাখা হবে৷ আগামী অর্থবছরের জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হচ্ছে পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশ৷ চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য কিছুটা কমিয়ে এরইমধ্যে পাঁচ দশমিক ২৫ শতাংশ করা হয়েছে৷ যদিও বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলছে, চলতি অর্থবছরের জিডিপির প্রবৃদ্ধি পাঁচ শতাংশের নিচে থাকবে৷

রাজস্ব বাড়ানো ও ব্যয় কমানোর চ্যালেঞ্জ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) আগামী অর্থবছরে পাঁচ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য দেওয়া হতে পারে, যা চলতি বাজেটে ছিল চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা৷ তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী কর আদায় না হওয়ায় চলতি অর্থবছরে রাজস্বের লক্ষ্য কমিয়ে চার লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা করা হয়েছে৷ এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রাজস্ব আদায় হয়েছে দুই লাখ ২১ হাজার ৮১৭ টাকা, কিন্তু আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা৷ রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার কোটি টাকা, অর্থাৎ ২১ শতাংশ৷

বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এবার বাজেটের আকার ছোট হোক সেটা আমরা বলেছি৷ কারণ অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প নিয়ে বাজেট বড় করা রাজনৈতিক সরকারের কাজ৷ এই সরকারের তো সেই ধরনের কোন বাধ্যবাধতা নেই৷ ফলে সরকার চাইলেই ঘাটতি কমিয়ে মূল্যস্ফীতির দিকে নজর দিতে পারে৷ পাশাপাশি যেদিকে সবচেয়ে বেশি নজর দেওয়া প্রয়োজন সেটা হলো, সম্প্রতি সিপিডি তাদের গবেষণায় দেখিয়েছে, ২০২৩ সালে দুই লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে৷ অর্থাৎ এই রাজস্ব সরকারের পাওয়ার কথা ছিল৷ সেটা কীভাবে পাওয়া যাবে সেই পথ দেখতে হবে৷ সব পাওয়া না গেলেও যদি অর্ধেকও পাওয়া যায় অর্থাৎ এক লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা সেটাও তো বাজেটের বড় একটা অংশ৷ এই দিকে অবশ্যই অর্থ উপদেষ্টাকে নজর দিতে হবে৷’’

বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘প্রথমত আমরা সরকারকে বাজেটের আকার কমাতে বলেছিলাম৷ আমরা দেখছি, সরকার ইতিমধ্যে বলেছে তারা বাজেটের আকার ছোট করছে৷ পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি তো বড় চ্যালেঞ্জ৷ অর্থ উপদেষ্টাও এ বিষয়ে দৃষ্টি দিয়েছেন৷ কারণ আমাদের বুঝতে হবে, দুর্বল ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে আমাদের অর্থনীতি৷ বর্তমান সরকার সেখান থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছে৷ কিন্তু এখনও তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি৷ বাজেটে রাজস্ব বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে৷ যদিও সেটা বড় চ্যালেঞ্জ৷ তবুও অযৌক্তিক প্রকল্পগুলো বাদ দিতে হবে৷ যেমন ধরেন, রূপপুরে রেলস্টেশনের পাশে সাতটি বিলাশবহুল রুমের আবাসিক ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ অথচ সেখানে এখনও ট্রেনই যায় না৷ তাহলে এই প্রকল্পগুলোর তো কোন প্রয়োজন নেই৷ এগুলো সরকারকে বাদ দিতে হবে৷ যদিও এই সরকার এমন অনেক প্রকল্প বাদ দিয়েছে৷’’

চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২০২৫) মূল বাজেট বরাদ্দ ছিল সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা সংশোধন করে সাড়ে সাত লাখ কোটি টাকায় সীমিত রাখা হচ্ছে৷ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের মূল বাজেট বরাদ্দ ছিল সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা পরবর্তীকালে সাত লাখ ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছিল৷

DW বাংলা

বাজেট ২০২৫-২৬: আকার কমিয়ে মূল্যস্ফীতির লাগাম টানার চেষ্টা

০৩:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

আকার কমিয়ে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা থাকবে বাংলাদেশের আসছে অর্থবছরের বাজেটে৷ ব্যয় কমাতে থাকছে না বড় আকারের প্রকল্প৷ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে অটোমেশন নিশ্চিত করার জন্য তথ্য প্রযুক্তির ওপরে গুরুত্ব দেওয়া হবে৷

কী থাকছে বাজেটে?

বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজস্ব সংগ্রহের বড় কোনো উৎসের সন্ধান না পাওয়ায় আগামী বাজেট বড় করা হচ্ছে না৷ এ কারণেই চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় আগামী অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার অন্তত সাত হাজার কোটি টাকা কমানো হচ্ছে৷ উচ্চাভিলাষী না হয়ে বাস্তবভিত্তিক বাজেটের দিকেই এগোতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার৷ অন্যতম লক্ষ্য হবে মূল্যস্ফীতিকে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা৷

বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে, গত মার্চে যার হার ছিল ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ৷ সূত্রে অনুযায়ী, নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ছয় শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা থাকতে পারে৷ সরকার প্রথমে আগামী অর্থবছর শেষে এ হার সাত শতাংশে নামিয়ে আনবে বলে ঠিক করেছিল৷ বাংলাদেশ ব্যাংক নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়ায় এ হার আরও কমবে বলে সরকার আত্মবিশ্বাসী৷

অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার সম্প্রতি এক আলোচনায় বলেছেন, ‘‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে৷ কর্মসংস্থান সৃষ্টি আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকারের একটি পদক্ষেপ৷ সবার পক্ষ থেকে কর্মসংস্থানের বিষয়েও পরামর্শ এসেছে৷ শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ ক্রমান্বয়ে কমছে, এটা বাড়ানোর বিষয়ে পরামর্শ এসেছে৷ অটোমেশন ও ক্যাশলেস সোসাইটির পরামর্শ এসেছে৷ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে যে পরামর্শটা এসেছে, সেটা হচ্ছে বাজেটের আকার ছোট হতে হবে, বাজেট হতে হবে বাস্তবধর্মী৷ এগুলো সরকার গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে৷”

জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের মতো আগামী অর্থবছরেও বাজেট ঘাটতি মোট দেশজ উৎপাদনের পাঁচ শতাংশের নিচে রাখা হবে৷ আগামী অর্থবছরের জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হচ্ছে পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশ৷ চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য কিছুটা কমিয়ে এরইমধ্যে পাঁচ দশমিক ২৫ শতাংশ করা হয়েছে৷ যদিও বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলছে, চলতি অর্থবছরের জিডিপির প্রবৃদ্ধি পাঁচ শতাংশের নিচে থাকবে৷

রাজস্ব বাড়ানো ও ব্যয় কমানোর চ্যালেঞ্জ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) আগামী অর্থবছরে পাঁচ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য দেওয়া হতে পারে, যা চলতি বাজেটে ছিল চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা৷ তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী কর আদায় না হওয়ায় চলতি অর্থবছরে রাজস্বের লক্ষ্য কমিয়ে চার লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা করা হয়েছে৷ এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রাজস্ব আদায় হয়েছে দুই লাখ ২১ হাজার ৮১৭ টাকা, কিন্তু আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা৷ রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার কোটি টাকা, অর্থাৎ ২১ শতাংশ৷

বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এবার বাজেটের আকার ছোট হোক সেটা আমরা বলেছি৷ কারণ অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প নিয়ে বাজেট বড় করা রাজনৈতিক সরকারের কাজ৷ এই সরকারের তো সেই ধরনের কোন বাধ্যবাধতা নেই৷ ফলে সরকার চাইলেই ঘাটতি কমিয়ে মূল্যস্ফীতির দিকে নজর দিতে পারে৷ পাশাপাশি যেদিকে সবচেয়ে বেশি নজর দেওয়া প্রয়োজন সেটা হলো, সম্প্রতি সিপিডি তাদের গবেষণায় দেখিয়েছে, ২০২৩ সালে দুই লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে৷ অর্থাৎ এই রাজস্ব সরকারের পাওয়ার কথা ছিল৷ সেটা কীভাবে পাওয়া যাবে সেই পথ দেখতে হবে৷ সব পাওয়া না গেলেও যদি অর্ধেকও পাওয়া যায় অর্থাৎ এক লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা সেটাও তো বাজেটের বড় একটা অংশ৷ এই দিকে অবশ্যই অর্থ উপদেষ্টাকে নজর দিতে হবে৷’’

বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘প্রথমত আমরা সরকারকে বাজেটের আকার কমাতে বলেছিলাম৷ আমরা দেখছি, সরকার ইতিমধ্যে বলেছে তারা বাজেটের আকার ছোট করছে৷ পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি তো বড় চ্যালেঞ্জ৷ অর্থ উপদেষ্টাও এ বিষয়ে দৃষ্টি দিয়েছেন৷ কারণ আমাদের বুঝতে হবে, দুর্বল ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে আমাদের অর্থনীতি৷ বর্তমান সরকার সেখান থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছে৷ কিন্তু এখনও তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি৷ বাজেটে রাজস্ব বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে৷ যদিও সেটা বড় চ্যালেঞ্জ৷ তবুও অযৌক্তিক প্রকল্পগুলো বাদ দিতে হবে৷ যেমন ধরেন, রূপপুরে রেলস্টেশনের পাশে সাতটি বিলাশবহুল রুমের আবাসিক ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ অথচ সেখানে এখনও ট্রেনই যায় না৷ তাহলে এই প্রকল্পগুলোর তো কোন প্রয়োজন নেই৷ এগুলো সরকারকে বাদ দিতে হবে৷ যদিও এই সরকার এমন অনেক প্রকল্প বাদ দিয়েছে৷’’

চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২০২৫) মূল বাজেট বরাদ্দ ছিল সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা সংশোধন করে সাড়ে সাত লাখ কোটি টাকায় সীমিত রাখা হচ্ছে৷ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের মূল বাজেট বরাদ্দ ছিল সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা পরবর্তীকালে সাত লাখ ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছিল৷

DW বাংলা