সারাক্ষণ রিপোর্ট
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ জাতীয় সংসদে বক্তৃতা দিয়ে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “গত রাত আমাদের শত্রু মনে করেছিল অন্ধকার হবে, অতীতে যেমন করেছে, ঠিক সেই ভাবেই আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করেছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে ও জনগণের দোয়ায় এই আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে।”
শরীফ আরও জানান, “শত্রু পাকিস্তানের পাঁচটি স্থানে কাপুরুষোচিত আক্রমণ চালিয়েছে। এটি স্পষ্টত যুদ্ধ ঘোষণা, আর এর জবাব পাকিস্তান দিচ্ছেই।”
হামলার প্রেক্ষাপট
- ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের বাইসারান মেন্ডোয় পর্যটকদের ওপর জঙ্গি আক্রমণে ২৬ জন নিহত হয়।
•ওই ঘটনার দায়ভার পাকিস্তানের ‘মৌন মদদ’-এর ওপর চাপিয়ে ৬ মে মধ্যরাতে ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালিয়ে পাকিস্তান ও পাকিস্তান‑অধিকৃত কাশ্মীরে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
• পাকিস্তান দাবি করেছে, এসব হামলায় অন্তত ২৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয় এবং ছয়টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পাঁচটি ভারতীয় জেট ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে। সীমান্তের দু’পাশে গোলাবর্ষণে আরও প্রাণহানির শঙ্কা বাড়ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজম নজর তারার জানান, “শত্রুর নগ্ন আগ্রাসনের জবাব দিতে সামরিক প্রতিরক্ষা চলমান।” তিনি পরিস্থিতিকে ‘ক্রমাগত বিকাশমান’ বলে উল্লেখ করেন।
সংসদীয় আলোচনার মূল ধারা
- প্রধানমন্ত্রী হামলার নিন্দা করে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান।
•বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সামরিক বাহিনীকে সমর্থন জানিয়ে কূটনৈতিক ফ্রন্টেও সক্রিয় হওয়ার তাগিদ দেন।
• সংসদে সর্বসম্মত প্রস্তাবে ভারতের পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ আখ্যা দিয়ে জাতিসংঘে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়।