০১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
চতুর্থ টি-২০ ম্যাচে ৪৮ রানে দাপুটে জয় ভারতের দক্ষিণ লেবাননে নতুন বিমান হামলা চালাল ইসরায়েল কর্ণাটকের ‘পিরিয়ড লিভ’ নীতি: প্রগতিশীল পদক্ষেপ নাকি শুধুই প্রতীকী উদ্যোগ? আফগানিস্তানে মাতৃমৃত্যুর হার বেড়েছে নারীর শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারতের রাজধানীর ৬০ নটিক্যাল মাইল এলাকাজুড়ে বিমান চলাচলে জিপিএস বিভ্রাট, পাইলট ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের উদ্বেগ ভারতের কেরালা সাবরিমালা স্বর্ণ আত্মসাত মামলা: আরও এক অভিযুক্ত গ্রেপ্তার আরব আমিরাতে ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতে বিপ্লব উপসাগরীয় অঞ্চলে ভারতীয় উদ্যোক্তা ও নেতাদের অসাধারণ অবদান মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে নতুন অধ্যায় গড়ছে জিই অ্যারোস্পেস বিহারের অর্থনৈতিক উন্নতি কি সত্যিই দেশের বাকি অংশের সঙ্গে তাল মিলিয়েছে?

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৪৭)

প্রভৃতি স্বাভাবিক সংখ্যার বর্গ এবং ঘন’র যোগ সম্পর্কে ব্রহ্মগুপ্ত এবং দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য আলোচনা করেছেন।

কোন প্রগতি 1, 2, 3, 4, 5, 6, 8, 9 দেওয়া আছে। নূতন প্রগতি যেটি পূর্বের প্রগতি থেকে পাওয়া যায় অর্থাৎ 1, 3, 6, 10, 15, 21, 28, 36, 45 এবং 1, 4, 10, 20, 35, 56, 84, 120, 165 প্রভৃতি শ্রেণীর যোগফল সম্পর্কে দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য বলেছেন-

“সৈকপদম্নপদার্থমথৈকাদ্ব্যঙ্খযুতিঃ কিল সঙ্কলিতাখ্যা। সা দ্বিযুতেন পদেন বিনিম্নী খ্যাত, ত্রিহৃতা খলু সংকলিতম্।’

অর্থাৎ পদ সংখ্যার সঙ্গে এক যোগ কর। তারপর পদসংখ্যার অর্ধেক দিয়ে গুণ কর। তাহ’লে একাদি স্বাভাবিক সংখ্যার সমষ্টি পাবে। তাপর পদসংখ্যার সঙ্গে দুই যোগ করে পূর্বোক্ত ফলকে গুণ করে তিন দিয়ে ভাগ দিলে, যোগফল সমষ্ঠির গুচ্ছ পাওয়া যাবে।

1+2+3+…+n এবং 1+2 + n প্রভৃতি স্বাভাবিক সংখ্যার বর্গ এবং ঘন’র যোগ সম্পর্কে ব্রহ্মগুপ্ত এবং দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য আলোচনা করেছেন। দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য বলেছেন-

দ্বিঘ্নপদং কুযুতং ত্রিবিভক্তং সঙ্কলিতেন হতং কৃতিযোগঃ।

সঙ্কলিত কৃতেঃ সমমেকাদ্যঙ্কঘনৈক্যমুদীরিতমন্থৈঃ।

অর্থাৎ মর্মার্থ হচ্ছে স্বাভাবিক সংখ্যার বর্গযোগ নির্ণয় করতে গেলে প্রথমে পদ-সংখ্যার দ্বিগুণ করে এক যোগ কর এবং তিন দিয়ে ভাগ দাও তারপর স্বাভাবিক সংখ্যার যোগফলের সমষ্টি দিয়ে গুণ করলে উক্ত সমষ্টি পাওয়া যাবে এবং স্বাভাবিক সংখ্যার সমষ্টির বর্গ করলে স্বাভাবিক সংখ্যাগুলির ঘন সমষ্টি পাওয়া যাবে।
এ প্রসঙ্গে ব্রহ্মগুপ্ত বলেছেন-

দ্বিগুণপদসৈকগুণিতং তত, ত্রিহৃতং ভবতি বর্গসংঙ্কলিতম্। ঘনসংঙ্কলিতং তত কৃতিরেযাং সমগোলকৈশ্চিতয়ঃ ॥

গুণোত্তর শ্রেণীর ব্যবহার আমরা চার’শ খ্রীষ্টপূর্বে দেখতে পাই। পিঙ্গলের ছন্দসূত্রে 13, 23, 38…… প্রভৃতি সংখ্যার উল্লেখ দেখতে পাওয়া যায়। অবশ্য ছন্দসূত্রে দু’ধরণের নিয়মের উল্লেখ থাকতে দেখা যায়। সহগগুলি ত্রিভুজাকৃতি করে সাজান আছে। আমরা সাধারণত পাস্কালের ত্রিভুজ বলে জানি সেটি এই ছন্দসূত্রে কিছুটা অমার্জিত অবস্থায় থাকতে দেখা যায়। বহু পণ্ডিত অনুমান করেন আরবীয় গণিত-বিদেরা ভারতে এবং চীনের কোন জায়গা থেকে এটি নিয়ে যায় পরে এটি ইউরোপে প্রচলিত হয়।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৪৬)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৪৬)

জনপ্রিয় সংবাদ

চতুর্থ টি-২০ ম্যাচে ৪৮ রানে দাপুটে জয় ভারতের

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৪৭)

০৩:২১:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

প্রভৃতি স্বাভাবিক সংখ্যার বর্গ এবং ঘন’র যোগ সম্পর্কে ব্রহ্মগুপ্ত এবং দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য আলোচনা করেছেন।

কোন প্রগতি 1, 2, 3, 4, 5, 6, 8, 9 দেওয়া আছে। নূতন প্রগতি যেটি পূর্বের প্রগতি থেকে পাওয়া যায় অর্থাৎ 1, 3, 6, 10, 15, 21, 28, 36, 45 এবং 1, 4, 10, 20, 35, 56, 84, 120, 165 প্রভৃতি শ্রেণীর যোগফল সম্পর্কে দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য বলেছেন-

“সৈকপদম্নপদার্থমথৈকাদ্ব্যঙ্খযুতিঃ কিল সঙ্কলিতাখ্যা। সা দ্বিযুতেন পদেন বিনিম্নী খ্যাত, ত্রিহৃতা খলু সংকলিতম্।’

অর্থাৎ পদ সংখ্যার সঙ্গে এক যোগ কর। তারপর পদসংখ্যার অর্ধেক দিয়ে গুণ কর। তাহ’লে একাদি স্বাভাবিক সংখ্যার সমষ্টি পাবে। তাপর পদসংখ্যার সঙ্গে দুই যোগ করে পূর্বোক্ত ফলকে গুণ করে তিন দিয়ে ভাগ দিলে, যোগফল সমষ্ঠির গুচ্ছ পাওয়া যাবে।

1+2+3+…+n এবং 1+2 + n প্রভৃতি স্বাভাবিক সংখ্যার বর্গ এবং ঘন’র যোগ সম্পর্কে ব্রহ্মগুপ্ত এবং দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য আলোচনা করেছেন। দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য বলেছেন-

দ্বিঘ্নপদং কুযুতং ত্রিবিভক্তং সঙ্কলিতেন হতং কৃতিযোগঃ।

সঙ্কলিত কৃতেঃ সমমেকাদ্যঙ্কঘনৈক্যমুদীরিতমন্থৈঃ।

অর্থাৎ মর্মার্থ হচ্ছে স্বাভাবিক সংখ্যার বর্গযোগ নির্ণয় করতে গেলে প্রথমে পদ-সংখ্যার দ্বিগুণ করে এক যোগ কর এবং তিন দিয়ে ভাগ দাও তারপর স্বাভাবিক সংখ্যার যোগফলের সমষ্টি দিয়ে গুণ করলে উক্ত সমষ্টি পাওয়া যাবে এবং স্বাভাবিক সংখ্যার সমষ্টির বর্গ করলে স্বাভাবিক সংখ্যাগুলির ঘন সমষ্টি পাওয়া যাবে।
এ প্রসঙ্গে ব্রহ্মগুপ্ত বলেছেন-

দ্বিগুণপদসৈকগুণিতং তত, ত্রিহৃতং ভবতি বর্গসংঙ্কলিতম্। ঘনসংঙ্কলিতং তত কৃতিরেযাং সমগোলকৈশ্চিতয়ঃ ॥

গুণোত্তর শ্রেণীর ব্যবহার আমরা চার’শ খ্রীষ্টপূর্বে দেখতে পাই। পিঙ্গলের ছন্দসূত্রে 13, 23, 38…… প্রভৃতি সংখ্যার উল্লেখ দেখতে পাওয়া যায়। অবশ্য ছন্দসূত্রে দু’ধরণের নিয়মের উল্লেখ থাকতে দেখা যায়। সহগগুলি ত্রিভুজাকৃতি করে সাজান আছে। আমরা সাধারণত পাস্কালের ত্রিভুজ বলে জানি সেটি এই ছন্দসূত্রে কিছুটা অমার্জিত অবস্থায় থাকতে দেখা যায়। বহু পণ্ডিত অনুমান করেন আরবীয় গণিত-বিদেরা ভারতে এবং চীনের কোন জায়গা থেকে এটি নিয়ে যায় পরে এটি ইউরোপে প্রচলিত হয়।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৪৬)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৪৬)