সারাক্ষণ রিপোর্ট
৭ মে ২০২৫‑এর সকালে ‘অপারেশন সিন্ধু’তে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তান ও পাকিস্তান‑অধিকৃত কাশ্মীরে নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্য করে নির্ভুল বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। কয়েক ঘণ্টা পর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত দোভাল বিশ্বের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারকে জানান, দিল্লি উত্তেজনা বাড়াতে চায় না, তবে ইসলামাবাদ উত্তেজনামূলক পদক্ষেপ নিলে ‘দৃঢ় ও সুনির্দিষ্ট’ জবাব দিতে প্রস্তুত।
অপারেশন সিন্ধুর পটভূমি
- ২২ এপ্রিল পহেলগাম পর্যটক‑হত্যাকাণ্ডে ২৬ জনের মৃত্যু হলে এর জন্য পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিদের দায়ী করে ভারত।
- প্রতিক্রিয়া হিসেবে বুধবার ভোরে অপারেশন সিন্ধু চালিয়ে নয়টি প্রশিক্ষণ শিবির ও লঞ্চ‑প্যাড ধ্বংস করা হয়।
- হামলাগুলোকে ‘পরিমিত, অ–উত্তেজক ও নিয়ন্ত্রিত’ বলছে দিল্লি।
বৈদেশিক অংশীদারদের অবহিতকরণ
- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব ও জাপানের এনএসএ‑দের সঙ্গে ফোনে বিস্তারিত শেয়ার করেন দোভাল।
- তিনি জানান, অভিযান ভারতের আত্মরক্ষামূলক অধিকার; কোন উত্তেজনা বাড়ানোর ইচ্ছা নেই।
- একইসঙ্গে রাশিয়া ও ফ্রান্সের সঙ্গেও যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে; ভবিষ্যতেও এই সংলাপ চলবে।
পাকিস্তানকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি
দোভালের বার্তা—যদি পাকিস্তান পাল্টা আক্রমণে যায়, ভারত ‘দৃঢ়‑প্রতিজ্ঞ’ প্রতিক্রিয়া জানাবে। অর্থাৎ সীমিত অভিযান থেকে পূর্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা প্রতিক্রিয়ায় যেতে প্রস্তুত রয়েছে সশস্ত্র বাহিনী।
কূটনৈতিক তৎপরতা
- পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থমানি‑কে ফোন করে সীমান্ত‑সন্ত্রাস দমনে ভারতের ‘টার্গেটেড ও পরিমিত’ পদক্ষেপ ব্যাখ্যা করেন।
- যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আগের দিন ভারত‑পাকিস্তান উভয় দেশের এনএসএ‑র সঙ্গে কথা বলে উন্মুক্ত যোগাযোগ রাখার ও উত্তেজনা এড়ানোর আহ্বান জানান।
সামনে কী
দোভাল ও জয়শঙ্কর আরও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় অব্যাহত রাখবেন। দিল্লি স্পষ্ট করেছে—সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংসে অভিযান চলবে, তবে উত্তেজনা না বাড়িয়ে। পাকিস্তান গতি‑পথ নির্বাচন করলে একই মাত্রার বা তার চেয়ে কড়া জবাবের প্রস্তুতি রয়েছে ভারতের।