সারাক্ষণ রিপোর্ট
গুজরাটে কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা
জাপানের ফুজিফিল্ম হোল্ডিংস ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় গুজরাট রাজ্যে একটি সেমিকন্ডাক্টর উপকরণ কারখানা গড়তে এবছর জমি অধিগ্রহণ করবে। নির্মাণকাজ শুরু হতে পারে ২০২৬ সালে, আর বাণিজ্যিক চালু হবে প্রায় ২০২৮ সালে।
বিনিয়োগ ও পণ্যধারা
মোট বিনিয়োগ কয়েক শ’ কোটি ইয়েন (১ বিলিয়ন ইয়েন ≈ ৬.৯ মিলিয়ন ডলার)। প্রাথমিকভাবে চিপ উৎপাদনের অশুদ্ধতা দূর করার কেমিক্যাল ও সমাধান তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে; পর্যায়ক্রমে অন্যান্য উৎপাদ যোগ হতে পারে।
টাটা ইলেক্ট্রনিক্সের প্রথম গ্রাহক
প্রথম দফায় উপকরণ চলবে টাটা গ্রুপের টাটা ইলেক্ট্রনিক্সে। তারা তাইওয়ানের পাওয়ারচিপ সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশনের সহযোগিতায় গুজরাটে ফ্রন্ট‑এন্ড চিপ কারখানা তৈরি করছে, যেখানে ২০২৬ থেকে গাড়ি শিল্পে ব্যবহারযোগ্য ম্যাচিয়ুর চিপ উৎপাদন শুরু হবে।
স্বনির্ভর সরবরাহ শৃঙ্খল গড়ার চেষ্টা
ভারত ও টাটা ইলেক্ট্রনিক্স অর্থনৈতিক নিরাপত্তা জোরদারে চীনা নির্ভরতা কমিয়ে ঘরোয়া সাপ্লাই চেইন গড়তে চায়। গুজরাটের কারখানা চালু হওয়া পর্যন্ত ফুজিফিল্ম ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার বিদ্যমান কারখানা থেকে উপকরণ সরবরাহ করবে।
ভারতের বাজারে জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রহ
রেনেসাস ইলেক্ট্রনিক্স ইতিমধ্যে স্থানীয় এক কনগ্লোমারেটের সঙ্গে কারখানা গড়ে চিপ সংযোজন ও পরীক্ষা কাজ শুরু করেছে। সুমিতোমো কেমিক্যাল পরিষ্কারক কেমিক্যাল সরবরাহের সুযোগ খুঁজছে; টোকিও ইলেক্ট্রন চলতি বছর যন্ত্রপাতির নকশা ও সফটওয়্যার উন্নয়নের জন্য ভারতে নতুন কেন্দ্র খুলবে।
সরকারি প্রণোদনা ও বিশ্ব প্রেক্ষাপট
২০২১ সালে ভারত সেমিকন্ডাক্টর ও এলসিডি উৎপাদনে ৭৬০ বিলিয়ন রুপি বিনিয়োগ ঘোষণা করে। মহামারি এবং যুক্তরাষ্ট্র‑চীন টানাপোড়েনে বিশ্ব সরবরাহ শৃঙ্খল ভাঙনের প্রেক্ষাপটে নানাদেশ স্থানীয় উৎপাদন উৎসাহিত করছে।
চীনের বিকল্প হিসেবে ভারতের উত্থান
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি ও অন্যান্য চাপ চীনা নির্ভরতা হ্রাসে গতি দিয়েছে। অ্যাপলের সিইও টিম কুক সম্প্রতি বলেন, এপ্রিল‑জুন মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া অধিকাংশ আইফোন ভারতেই উৎপাদিত হবে—যা ভারতের চিপ ও হাই‑টেক খাতে আন্তর্জাতিক আস্থা বাড়াচ্ছে।