সারাক্ষণ রিপোর্ট
বাণিজ্য দ্বন্দ্বের সূচনা
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনার শুরু মূলত ২০১৮ সালে, যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ব্যাপক হারে শুল্ক আরোপ করেন। যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ তোলে যে চীন একচেটিয়া বাণিজ্যিক আচরণ করছে, বৌদ্ধিক সম্পত্তির সুরক্ষা দিচ্ছে না এবং মার্কিন কোম্পানিগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করছে। এর জবাবে চীনও পাল্টা শুল্ক আরোপ করে, ফলে দুই দেশের মধ্যে একটি পূর্ণমাত্রার “ট্যারিফ যুদ্ধ” শুরু হয়।
মূল ইস্যুগুলো:
- চীনের রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি ও শিল্পনীতির সমালোচনা
- যুক্তরাষ্ট্রের বৌদ্ধিক সম্পত্তির চুরি ও প্রযুক্তি স্থানান্তর নিয়ে উদ্বেগ
- মার্কিন কোম্পানির জন্য চীনা বাজারে প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা
- বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি: যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে শত শত বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতির মুখে পড়ে

প্রযুক্তি যুদ্ধ: হুয়াওয়ে থেকে সেমিকন্ডাক্টর
বাণিজ্য যুদ্ধের পাশাপাশি একটি বড় প্রযুক্তিগত প্রতিদ্বন্দ্বিতাও শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্র চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান যেমন হুয়াওয়ে, জেডটিই এবং আরও অনেককে জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করে নিষেধাজ্ঞা দেয় এবং আমেরিকান প্রযুক্তি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
একইসাথে, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে একাধিক রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। এতে করে চীনের উন্নয়নশীল মাইক্রোচিপ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি খাতে বড় আঘাত লাগে।
সাম্প্রতিক উন্নয়ন
২০২১ সালের পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসন কিছু নীতি অব্যাহত রাখে, আবার কিছু জায়গায় নমনীয়তা আনে। তবে বাণিজ্য ও প্রযুক্তি নিরাপত্তা নিয়ে দ্বন্দ্ব এখনো বহাল রয়েছে। বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে দুই দেশের মধ্যে পণ্যে শুল্ক হ্রাস, প্রযুক্তি স্থানান্তর নীতি, এবং কৌশলগত স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা।
Sarakhon Report 



















