প্রদীপ কুমার মজুমদার
খণ্ড পদ্ধতিতে গুণককে কয়েকটি অংশে বিভক্ত করে তারপর গুণ করা হয়।
ধরা যাক ১৩০ ১৫৮
১৩০ ১৫৮= (৬+৭) × ১৫৮-৬×১৫৮+৭০ ১৫৮ =৯৪৮=১১০৬
=২০৫৪.
ইষ্টগুণ সংজ্ঞায় ব্রহ্মগুপ্ত বরলছেন-
“গুণয়ো রাশিগুণকাররাশিনেষ্টাধিকোনকেন গুণঃ।
গুণয়োষ্টবধো ন যুতো গুণকেহভ্যধিকোনকে কার্যঃ ৪৫৬
অর্থাৎ গুণকের সহিত কোন ইষ্টরাশি যোগ বা বিয়োগ করিয়া তদ্বারা গুণ্যকে গুণ করিবে। এবং অতঃপর ঐ ইষ্টরাশি দ্বারা গুণ করিয়া পূর্বফলে বিয়োগ অথবা যোগ করিবে।
এই পদ্ধতির দু একটা উদাহরণ তুলে ধরছি-১
১৩ × ১৩= (৯৩+৭) ০১৩-৭১৩-১৩০০-৯১ = ১২০৯
৯৩ × ১৩= (৯০+৩) × ১৩=৯০ × ১৩+৩x১৩=১১৭০+৩৯=১২০৯ কপাট সন্ধি পদ্ধতিতে শ্রীপতি বলেছেন (গণিত তিলকম্-শ্রীপতি, পৃঃ ৪) বিন্যস্থ্য গুণ্য গুণকাখ্যরাশে-রধঃ কপাটদ্বয় সন্ধি যুক্ত্যা উতসার্য হন্যাত ক্রমশোহহুলোমং, বিলোম মাহো উত তত স্বমেব।
অর্থাৎ গুণকের নীচে গুণ্য নিবেশ করিয়া কপাটদ্বয়ের সন্ধির যুক্তিতে গুণ্যকে ক্রমশঃ সরাইয়া (বা উঠাইয়া) অনুমলোম ক্রমে গুণ করিবে, (তাহা সেই স্থানেই গুণ করিতে হইবে।)
(চলবে)
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৬৯)