সত্যেন্দ্রকুমার বসু
মৌদগল্যায়নের যোগবলে পৃথিবী কম্পমান হল, কিন্তু চাদর নড়ল না। তাই দেখে মৌদগল্যায়ন যোগবলে এক নিমেষে বুদ্ধের কাছে ফিরে গিয়ে দেখেন যে, সারিপুত্র আগেই পৌঁছে গিয়ে নির্বিবাদে বসে বসে উপদেশ শুনছেন। তখন মৌদগল্যায়ন বললেন, ‘এখন বুঝলাম যে, ঋদ্ধির (যোগবলের) চেয়ে প্রজ্ঞা বড়।’
সারিপুত্র যেখানে বসে সেলাই করছিলেন সেখানে হিউএনচাঙ একটি স্মারকস্তুপ দেখেছিলেন।
দেবদত্ত বুদ্ধকে হত্যা করবার চেষ্টা করবার জন্যে আর ‘ভিক্ষু কোকালিক’ বুদ্ধের নিন্দা করবার জন্যে আর ব্রাহ্মণ-কন্যা চণ্ডমণা বুদ্ধের নামে বৃথা কলঙ্ক দেবার চেষ্টা করবার জন্যে যেখানে যেখানে সশরীরে রসাতলে গিয়েছিলেন, সেই তিনটা গর্ত হিউএনচাঙ দেখেন।
দস্থ্য অঙ্গুলীমালা যে মানুষ খুন ক’রে তাদের আঙ্গুল দিয়ে মালা গেঁথে পরতো, আর পরে বুদ্ধের উপদেশে ভিক্ষু হয়েছিল, তার কথা আর বুদ্ধের সমসাময়িক আরো অনেক ঘটনাই হিউএনচাঙ এখানে স্মরণ করলেন। প্রত্যেক ঘটনারই স্মারকস্তূপ ছিল।
(চলবে)