০৬:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র-হামাস আলোচনায় অচলাবস্থা, গাজা ও ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে কূটনৈতিক ব্যস্ততা নদীতে ভাসমান হাট: বরিশাল ও ঝালকাঠির নৌপথে কৃষিপণ্যের জীবন্ত সংস্কৃতি চিতা বাঘ — ছায়ায় লুকিয়ে থাকা বনবাসী যুক্তরাজ্যের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেল ভারত : বাংলাদেশের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও সংকট: ছয় মাসেও কেন থামছে না এই মরণব্যাধি? আধুনিক জীবন ও উদারচিন্তা ভয়ের পরিবেশে: বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতা যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানি: গমজাত পণ্যের দামের ওপর প্রভাব শয়ে শয়ে মুসলমানকে বেআইনিভাবে বাংলাদেশে তাড়াচ্ছে ভারত, বলছে হিউমান রাইটস ওয়াচ প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-৪২) রওশন জামিল — চলচ্চিত্র, মঞ্চ ও নৃত্যজগতের আলোকবর্তিকা

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৮০)

  • Sarakhon Report
  • ০৩:২৫:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
  • 121

প্রদীপ কুমার মজুমদার

তবে অপ্রত্যক্ষ ভাবে এর উল্লেখ থাকতে দেখা যায়। যেমন ২ এর অষ্টম, তৃতীয় ও চতুর্থ অভিসারী হচ্ছে 849/802, 9/y, 29/22 বিভিন্ন জৈন গ্রন্থে / 3 2 প্রভৃতি ভগ্নাংশের উল্লেখ থাকতে  দেখা যায়। সূর্যপ্রজ্ঞপ্তির ১৮ তম সূত্রে বলা হয়েছে “দৌ জোয়নাহং অন্ধছয়ত্বালীসতে সীতসয়ভাগে 1 ^ * অর্থাৎ উদ্দিষ্ট সংখ্যা হচ্ছে অন্য একজায়গায় বলা 2 * (8 * 2/2)/(2bc) * 1 হয়েছে “তিনি জোয়নাহং অন্ধসীতলীসংচ তে সীতয়ভাগে’ অর্থাৎ উদ্দিষ্ট সংখ্যা ৩৪৬২ ১৮৩ ।

“চহারি জোয়নাহং অন্ধবাবন্নয়তে সীতয়ভাগে i ^ prime prime অর্থাৎ সংখ্যাটি হচ্ছে 8 * (a * 2 3/2)/(2bc) ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে ছোট ছোট ভগ্নাংশকে ভারতীয় গণিতজ্ঞরা সহজেই লিখতে পারতেন তার ভূরি ভূরি উদাহরণ দেখতে পাওয়া যায়। তবে বড় বড় ভগ্নাশকে প্রাচীন ভারতীয়রা ছোট ছোট ভগ্নাংশে ভেঙ্গে তারপর যোগ পদ্ধতির সাহায্যে লিখতেন।

প্রসঙ্গক্রমে সূর্যপ্রজ্ঞপ্তির ২৩-তম সূত্রের কথা ধরা যেতে পারে। এখানে বলা হয়েছে:

“সীতালীসাহ জোয়ন সদয়েহিং ছন্নউতীন্নয় জোয়নেহি তত্তীসাএয় সউভাগেহিং ‘জোয়নয় সডিং ভাগং চ এসদিধাছেত্তা চন্নিয়া ভাগহিং।”

অর্থাৎ শ্লোকটির উদ্দিষ্ট ভগ্নাংশটি এই ভাবে লেখা যায়: (8292 89/92)(2 – 3/62) = 89 * 25 90/90 + lambda/(5eX*phi)

অন্য কয়েকটি জায়গায় কয়েকটি বড় বড় ভগ্নাংশ দেখতে পাওয়া যায়। যেমন:

(89285 22/68) / 463 = bo * d/98 + 28/(63 * 50)

১৮৫৪৮ ৬০ ৬১ ৪১ + ৪৩

বৃহৎক্ষেত্র সমাসে জিনভদ্রগণি বলেছেন:

“কল লখক দুগং ইয়াল সহসা ণব সয়া সঠহিয়া।.. সুগ্রেমবৃণেউ অংসং চউ সুন্নগ সত্ত এগ পণ। ছেউ চউ অট্‌ঠ তিগ ণব দুগা বাহে স উত্তরদ্ধ”

উদ্দিষ্ট সংখ্যাটি হচ্ছে: ২৪১৯৯০ ৪০৭১৫ ৪৮৩৯২

আর্যভটের ৩২ এবং ৩৩-তম শ্লোকষয়ে যা বলা হয়েছে তার মর্মার্থ হচ্ছে:

a b = q_{1} + 1/q_{2} + 1/q_{3} + 1/q_{4} +***….

(চলবে)

 

যুক্তরাষ্ট্র-হামাস আলোচনায় অচলাবস্থা, গাজা ও ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে কূটনৈতিক ব্যস্ততা

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৮০)

০৩:২৫:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

তবে অপ্রত্যক্ষ ভাবে এর উল্লেখ থাকতে দেখা যায়। যেমন ২ এর অষ্টম, তৃতীয় ও চতুর্থ অভিসারী হচ্ছে 849/802, 9/y, 29/22 বিভিন্ন জৈন গ্রন্থে / 3 2 প্রভৃতি ভগ্নাংশের উল্লেখ থাকতে  দেখা যায়। সূর্যপ্রজ্ঞপ্তির ১৮ তম সূত্রে বলা হয়েছে “দৌ জোয়নাহং অন্ধছয়ত্বালীসতে সীতসয়ভাগে 1 ^ * অর্থাৎ উদ্দিষ্ট সংখ্যা হচ্ছে অন্য একজায়গায় বলা 2 * (8 * 2/2)/(2bc) * 1 হয়েছে “তিনি জোয়নাহং অন্ধসীতলীসংচ তে সীতয়ভাগে’ অর্থাৎ উদ্দিষ্ট সংখ্যা ৩৪৬২ ১৮৩ ।

“চহারি জোয়নাহং অন্ধবাবন্নয়তে সীতয়ভাগে i ^ prime prime অর্থাৎ সংখ্যাটি হচ্ছে 8 * (a * 2 3/2)/(2bc) ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে ছোট ছোট ভগ্নাংশকে ভারতীয় গণিতজ্ঞরা সহজেই লিখতে পারতেন তার ভূরি ভূরি উদাহরণ দেখতে পাওয়া যায়। তবে বড় বড় ভগ্নাশকে প্রাচীন ভারতীয়রা ছোট ছোট ভগ্নাংশে ভেঙ্গে তারপর যোগ পদ্ধতির সাহায্যে লিখতেন।

প্রসঙ্গক্রমে সূর্যপ্রজ্ঞপ্তির ২৩-তম সূত্রের কথা ধরা যেতে পারে। এখানে বলা হয়েছে:

“সীতালীসাহ জোয়ন সদয়েহিং ছন্নউতীন্নয় জোয়নেহি তত্তীসাএয় সউভাগেহিং ‘জোয়নয় সডিং ভাগং চ এসদিধাছেত্তা চন্নিয়া ভাগহিং।”

অর্থাৎ শ্লোকটির উদ্দিষ্ট ভগ্নাংশটি এই ভাবে লেখা যায়: (8292 89/92)(2 – 3/62) = 89 * 25 90/90 + lambda/(5eX*phi)

অন্য কয়েকটি জায়গায় কয়েকটি বড় বড় ভগ্নাংশ দেখতে পাওয়া যায়। যেমন:

(89285 22/68) / 463 = bo * d/98 + 28/(63 * 50)

১৮৫৪৮ ৬০ ৬১ ৪১ + ৪৩

বৃহৎক্ষেত্র সমাসে জিনভদ্রগণি বলেছেন:

“কল লখক দুগং ইয়াল সহসা ণব সয়া সঠহিয়া।.. সুগ্রেমবৃণেউ অংসং চউ সুন্নগ সত্ত এগ পণ। ছেউ চউ অট্‌ঠ তিগ ণব দুগা বাহে স উত্তরদ্ধ”

উদ্দিষ্ট সংখ্যাটি হচ্ছে: ২৪১৯৯০ ৪০৭১৫ ৪৮৩৯২

আর্যভটের ৩২ এবং ৩৩-তম শ্লোকষয়ে যা বলা হয়েছে তার মর্মার্থ হচ্ছে:

a b = q_{1} + 1/q_{2} + 1/q_{3} + 1/q_{4} +***….

(চলবে)