০৫:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

বিশ্বব্যাপী হুয়াওয়ে এআই চিপ ব্যবহারে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

  • Sarakhon Report
  • ০৫:৫১:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
  • 60

সারাক্ষণ রিপোর্ট

তাইপেই ও পালো অল্টো থেকে: যুক্তরাষ্ট্র সরকার এক নজিরবিহীন পদক্ষেপে হুয়াওয়ের এআই চিপ ব্যবহারে সারা বিশ্বেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে শুল্কসংক্রান্ত উত্তেজনা কিছুটা কমেছে, এই পদক্ষেপ চীনা প্রযুক্তি সংস্থার ওপর নতুন চাপ তৈরি করল।

মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ব্যুরো অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড সিকিউরিটি (BIS) মঙ্গলবার নতুন নির্দেশিকা জারি করে জানায়, হুয়াওয়ের ‘অ্যাসেন্ড’ নামের উন্নতমানের এআই চিপ ব্যবহার মার্কিন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে, যদি না এর জন্য বিশেষ অনুমোদন নেওয়া হয়।

আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে বিশ্বের যেকোনো ব্যবহারকারী

BIS-এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড চিপের উন্নয়ন ও উৎপাদন যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে বা বাইরে যে কেউ এই চিপ ব্যবহার করলে এবং অনুমোদন না থাকলে, তারা বড় ধরনের অপরাধমূলক ও প্রশাসনিক শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন—যেমন কারাদণ্ড, জরিমানা, রপ্তানির অধিকার হারানো ইত্যাদি।

প্রাথমিক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে BIS জানিয়েছিল, বিশ্বের যেকোনো স্থানে হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড চিপ ব্যবহার করলেই তা আইন লঙ্ঘন। পরে এই ভাষ্য পরিবর্তন করে বলা হয়, চীনের উন্নতমানের কম্পিউটিং চিপ ব্যবহারে ঝুঁকির বিষয়ে প্রযুক্তি খাতকে সতর্ক করা হচ্ছে, যার মধ্যে হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড চিপও রয়েছে।

চীনের ভরসা হুয়াওয়েযুক্তরাষ্ট্রের চাপ বাড়ছেই

যুক্তরাষ্ট্রের এনভিডিয়া যখন কঠোর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের কারণে চীনে ব্যবসা চালাতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন চীনের বাজারে হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড চিপ ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চীন সরকার নিজস্ব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে দেশীয় কোম্পানিগুলোকে উৎসাহ দিচ্ছে, এবং iFlytek ও SenseTime-এর মতো প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের প্রতি অনুগত ব্যবহারকারী।

এনভিডিয়ার সিইও জেনসেন হুয়াং একাধিকবার হুয়াওয়েকে “প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার ঠিক আগের দিনই যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ৯০ দিনের জন্য পারস্পরিক শুল্ক হ্রাসের একটি চুক্তিতে পৌঁছায়—যা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছিল।

শিল্পে প্রভাব সীমিততবে বার্তা স্পষ্ট

জোনাহ চেং, J&J ইনভেস্টমেন্টের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা, বলেন, হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড চিপের সরবরাহ এতই সীমিত যে এই নতুন নিষেধাজ্ঞার বাস্তবিক প্রভাব খুব বেশি হবে না।

চেং বলেন, “হুয়াওয়ে নিজের প্রয়োজনেই অ্যাসেন্ড চিপগুলো রাখতে হিমশিম খাচ্ছে, বিদেশে রপ্তানি তো অনেক দূরের কথা। জানুয়ারির রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ যা চিপ নির্মাতা ও প্যাকেজিং কোম্পানিগুলোকে চীনা গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহে বাধা দেয়—সেগুলোই চীনা চিপ শিল্পে বড় আঘাত।”

বাইডেনের রপ্তানি নিয়ম বাতিলএনভিডিয়ার বড় লাভ

মঙ্গলবার BIS আরো তিনটি নতুন নির্দেশিকা জারি করে। এর পাশাপাশি পূর্বতন বাইডেন প্রশাসনের AI ডিফিউশন রুল বাতিল করা হয়, যেখানে দেশগুলোকে তিনটি স্তরে ভাগ করে রপ্তানিতে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছিল। ফলে মেক্সিকোর মতো মিত্র দেশগুলোও উন্নতমানের এআই চিপ আমদানিতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিল।

BIS জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এর বিকল্প নিয়ম জারি করা হবে।

এই বাতিল ঘোষণার পর এনভিডিয়ার শেয়ার ৫ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়—যা চিপ নির্মাতাদের জন্য বড় জয় হিসেবে বিবেচিত।

হুয়াংয়ের হুঁশিয়ারি: বাজারে না থাকলে কেউ আরেকজন থাকবে

মিলকেন কনফারেন্সে এনভিডিয়া সিইও হুয়াং বলেন, “যদি আমরা কোনো বাজারে না যাই, সেটা খালি ফেলে রাখি, তাহলে নিঃসন্দেহে কেউ না কেউ সেখানে চলে আসবে।” হুয়াওয়েকে ‘বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর প্রযুক্তি কোম্পানি’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এনভিডিয়া অনুপস্থিত থাকলেই হুয়াওয়ে সেই শূন্যস্থান পূরণ করে ফেলছে—চীনে যেমন করছে।

তিনি জানান, এনভিডিয়া সৌদি আরবের এআই কোম্পানি ‘Humain’-কে ১৮,০০০ এর বেশি ব্ল্যাকওয়েল চিপ সরবরাহ করবে।

মধ্যপ্রাচ্যের জটিলতা ও দ্বিধা

দুবাইয়ের একটি পরিবারভিত্তিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানের একজন বিনিয়োগকারী জানান, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এখনও যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের উভয় এআই প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী, তবে হুয়াওয়ে চিপের ওপর নিষেধাজ্ঞা তাদেরকে পক্ষ বেছে নিতে বাধ্য করতে পারে।

“সৌদি আরব এআই ক্ষেত্রে বড় স্বপ্ন দেখছে এবং পক্ষপাত না দেখিয়ে দুই বাজারেই অংশ নিতে চায়,” বলেন ওই বিনিয়োগকারী।

কৌশলগত দিক থেকে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার ইঙ্গিত

তাইওয়ানের ইকোনমিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বিশ্লেষক চিউ শিহ-ফাং বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন এই নির্দেশনা স্পষ্ট করে দেয় যে, বাণিজ্য যুদ্ধ কমে এলেও নির্দিষ্ট শিল্পে যুক্তরাষ্ট্র তার নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে।

তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র যাতে কৌশলগত সুবিধা ধরে রাখতে পারে, সেজন্য চীনের ওপর প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণ নিয়েই ভবিষ্যতের বাণিজ্য আলোচনা চলবে। পাশাপাশি দেশগত উত্স গোপনের মতো চর্চার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

দ্বিধা ও সংঘাত বাড়ছে বৈশ্বিক বাজারে

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইনজীবী তান আলবায়রাক বলেন, হুয়াওয়ে অ্যাসেন্ড চিপ নিয়ে নতুন নিয়ম কীভাবে কার্যকর হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

“তবে একটা বিষয় নিশ্চিত,” বলেন তিনি, “এটি বাজারকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে এক পক্ষ বেছে নিতে আরও বেশি বাধ্য করবে।” দুই দেশের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আইন দিন দিন সংঘর্ষময় হয়ে উঠছে, এবং কোম্পানিগুলোর পক্ষে উভয় পক্ষকে খুশি রাখা দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী হুয়াওয়ে এআই চিপ ব্যবহারে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

০৫:৫১:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

তাইপেই ও পালো অল্টো থেকে: যুক্তরাষ্ট্র সরকার এক নজিরবিহীন পদক্ষেপে হুয়াওয়ের এআই চিপ ব্যবহারে সারা বিশ্বেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে শুল্কসংক্রান্ত উত্তেজনা কিছুটা কমেছে, এই পদক্ষেপ চীনা প্রযুক্তি সংস্থার ওপর নতুন চাপ তৈরি করল।

মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ব্যুরো অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড সিকিউরিটি (BIS) মঙ্গলবার নতুন নির্দেশিকা জারি করে জানায়, হুয়াওয়ের ‘অ্যাসেন্ড’ নামের উন্নতমানের এআই চিপ ব্যবহার মার্কিন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে, যদি না এর জন্য বিশেষ অনুমোদন নেওয়া হয়।

আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে বিশ্বের যেকোনো ব্যবহারকারী

BIS-এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড চিপের উন্নয়ন ও উৎপাদন যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে বা বাইরে যে কেউ এই চিপ ব্যবহার করলে এবং অনুমোদন না থাকলে, তারা বড় ধরনের অপরাধমূলক ও প্রশাসনিক শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন—যেমন কারাদণ্ড, জরিমানা, রপ্তানির অধিকার হারানো ইত্যাদি।

প্রাথমিক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে BIS জানিয়েছিল, বিশ্বের যেকোনো স্থানে হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড চিপ ব্যবহার করলেই তা আইন লঙ্ঘন। পরে এই ভাষ্য পরিবর্তন করে বলা হয়, চীনের উন্নতমানের কম্পিউটিং চিপ ব্যবহারে ঝুঁকির বিষয়ে প্রযুক্তি খাতকে সতর্ক করা হচ্ছে, যার মধ্যে হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড চিপও রয়েছে।

চীনের ভরসা হুয়াওয়েযুক্তরাষ্ট্রের চাপ বাড়ছেই

যুক্তরাষ্ট্রের এনভিডিয়া যখন কঠোর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের কারণে চীনে ব্যবসা চালাতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন চীনের বাজারে হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড চিপ ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চীন সরকার নিজস্ব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে দেশীয় কোম্পানিগুলোকে উৎসাহ দিচ্ছে, এবং iFlytek ও SenseTime-এর মতো প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের প্রতি অনুগত ব্যবহারকারী।

এনভিডিয়ার সিইও জেনসেন হুয়াং একাধিকবার হুয়াওয়েকে “প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার ঠিক আগের দিনই যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ৯০ দিনের জন্য পারস্পরিক শুল্ক হ্রাসের একটি চুক্তিতে পৌঁছায়—যা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছিল।

শিল্পে প্রভাব সীমিততবে বার্তা স্পষ্ট

জোনাহ চেং, J&J ইনভেস্টমেন্টের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা, বলেন, হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড চিপের সরবরাহ এতই সীমিত যে এই নতুন নিষেধাজ্ঞার বাস্তবিক প্রভাব খুব বেশি হবে না।

চেং বলেন, “হুয়াওয়ে নিজের প্রয়োজনেই অ্যাসেন্ড চিপগুলো রাখতে হিমশিম খাচ্ছে, বিদেশে রপ্তানি তো অনেক দূরের কথা। জানুয়ারির রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ যা চিপ নির্মাতা ও প্যাকেজিং কোম্পানিগুলোকে চীনা গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহে বাধা দেয়—সেগুলোই চীনা চিপ শিল্পে বড় আঘাত।”

বাইডেনের রপ্তানি নিয়ম বাতিলএনভিডিয়ার বড় লাভ

মঙ্গলবার BIS আরো তিনটি নতুন নির্দেশিকা জারি করে। এর পাশাপাশি পূর্বতন বাইডেন প্রশাসনের AI ডিফিউশন রুল বাতিল করা হয়, যেখানে দেশগুলোকে তিনটি স্তরে ভাগ করে রপ্তানিতে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছিল। ফলে মেক্সিকোর মতো মিত্র দেশগুলোও উন্নতমানের এআই চিপ আমদানিতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিল।

BIS জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এর বিকল্প নিয়ম জারি করা হবে।

এই বাতিল ঘোষণার পর এনভিডিয়ার শেয়ার ৫ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়—যা চিপ নির্মাতাদের জন্য বড় জয় হিসেবে বিবেচিত।

হুয়াংয়ের হুঁশিয়ারি: বাজারে না থাকলে কেউ আরেকজন থাকবে

মিলকেন কনফারেন্সে এনভিডিয়া সিইও হুয়াং বলেন, “যদি আমরা কোনো বাজারে না যাই, সেটা খালি ফেলে রাখি, তাহলে নিঃসন্দেহে কেউ না কেউ সেখানে চলে আসবে।” হুয়াওয়েকে ‘বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর প্রযুক্তি কোম্পানি’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এনভিডিয়া অনুপস্থিত থাকলেই হুয়াওয়ে সেই শূন্যস্থান পূরণ করে ফেলছে—চীনে যেমন করছে।

তিনি জানান, এনভিডিয়া সৌদি আরবের এআই কোম্পানি ‘Humain’-কে ১৮,০০০ এর বেশি ব্ল্যাকওয়েল চিপ সরবরাহ করবে।

মধ্যপ্রাচ্যের জটিলতা ও দ্বিধা

দুবাইয়ের একটি পরিবারভিত্তিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানের একজন বিনিয়োগকারী জানান, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এখনও যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের উভয় এআই প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী, তবে হুয়াওয়ে চিপের ওপর নিষেধাজ্ঞা তাদেরকে পক্ষ বেছে নিতে বাধ্য করতে পারে।

“সৌদি আরব এআই ক্ষেত্রে বড় স্বপ্ন দেখছে এবং পক্ষপাত না দেখিয়ে দুই বাজারেই অংশ নিতে চায়,” বলেন ওই বিনিয়োগকারী।

কৌশলগত দিক থেকে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার ইঙ্গিত

তাইওয়ানের ইকোনমিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বিশ্লেষক চিউ শিহ-ফাং বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন এই নির্দেশনা স্পষ্ট করে দেয় যে, বাণিজ্য যুদ্ধ কমে এলেও নির্দিষ্ট শিল্পে যুক্তরাষ্ট্র তার নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে।

তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র যাতে কৌশলগত সুবিধা ধরে রাখতে পারে, সেজন্য চীনের ওপর প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণ নিয়েই ভবিষ্যতের বাণিজ্য আলোচনা চলবে। পাশাপাশি দেশগত উত্স গোপনের মতো চর্চার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

দ্বিধা ও সংঘাত বাড়ছে বৈশ্বিক বাজারে

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইনজীবী তান আলবায়রাক বলেন, হুয়াওয়ে অ্যাসেন্ড চিপ নিয়ে নতুন নিয়ম কীভাবে কার্যকর হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

“তবে একটা বিষয় নিশ্চিত,” বলেন তিনি, “এটি বাজারকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে এক পক্ষ বেছে নিতে আরও বেশি বাধ্য করবে।” দুই দেশের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আইন দিন দিন সংঘর্ষময় হয়ে উঠছে, এবং কোম্পানিগুলোর পক্ষে উভয় পক্ষকে খুশি রাখা দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।