a=প্রথম পদ, b = সাধারণ অন্তর, প্রথমশ্রেণীর পদসংখ্যা n₁ = দ্বিতীয় শ্রেণীর পদসংখ্যা, p = শ্রেণীর যোগফলের অনুপাত।
আর্যভট গণিতপাদের ২০তম শ্লোকে ৪-তম পদ নির্ণয় করার সূত্রটি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন-
গজ্জোহষ্টৌত্তর গুণিত দ্বিগুণাদ্যত্তরবিশেষবর্গযুতাত।
মূলং দ্বিগুণাদ্যূনং স্বোত্তরভাজিতং সরূপার্ধম্ ॥
পদসংখ্যা নির্ণয় করতে হবে এইভাবে: সাধারণ অন্তরকে আটগুণ করে তাকে
যোগফল দিয়ে গুণ কর, তারপর প্রথম পদের দ্বিগুণের সঙ্গে সাধারণ অন্তর বিয়োগ করে তার বর্গ যোগ কর এবং মূল লও। তারপর প্রথম পদের দ্বিগুণ বিয়োগ কর এবং এই বিয়োগফলকে সাধারণ অন্তর দিয়ে ভাগ দাও তারপর এক যোগ কর। তারপর সমগ্র ফলটির অর্ধেক লও।
এটির মর্মার্থ থেকে সূত্র রূপে প্রকাশ করলে দাঁড়ায়
মহাবীর তাঁর লিখিত গণিতসার সংগ্রহে প্রথম পদ ও সাধারণ পদ বের করবার সূত্র দিয়েছেন। তার সূত্রে বলা হয়েছে
প্রথম পদ=
সাধারণ অন্তর=
মহাবীরের কতকগুলি বিশেষ ধরণের শ্লোকে এমন কতকগুলি সূত্র পাওয়া গেছে যার ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্ব অসীম। তিনি বলেছেন-
এছাড়াও বলেছেন-
রাশোরেকাংশয়োচ্ছেদৌ কৌ ভবেতাং তয়োয়ু তিঃ ষোড়শো দশা ভাগো বা ক্রহি ত্বং গণিতার্থবিত।
শ্লোকটির মমার্থ সূত্রের সাহায্যে প্রকাশ করলে দাঁড়ায়
a₁ = n(n – 1) p – 2n₁ এবং b = (n₁) 2 – n₁ – 2pn
a=প্রথম পদ, b = সাধারণ অন্তর, প্রথমশ্রেণীর পদসংখ্যা n₁ = দ্বিতীয় শ্রেণীর পদসংখ্যা, p = শ্রেণীর যোগফলের অনুপাত।
আর্যভট (৪৭৬ খ্রীঃ) গণিতপাদের ২১ তম শ্লোকে বলেছেন:
একোত্তরাছাপচিতেগচ্ছাভেকোন্তর ত্রিসংবর্গঃ
ষড় ভক্তঃ স চিতিঘনঃ সৈকপদঘনো বিমূলো বা।
(চলবে)