ফেরিওলারা ফেরি করে জামদানী বিক্রি শুরু করে [মসলিন জামদানী নয়, উৎকৃষ্ট সুতার।
জামদানী
এখন বাংলাদেশের অনেক জায়গায়-ই জামদানী তৈরি হয় এবং বলা যেতে পারে তা ঢাকার অন্যতম পরিচিত পণ্য। হাকিম হাবিবুর লিখেছেন, নকশা করা বা ফুলদার মসলিন হলো জামদানী। এক থান ছিল ২০ হাত ও প্রন্থে ২০ গিরা। শায়েস্তা খানের আমল থেকে জামদানী প্রস্তুত হতে থাকে।
জামদানী শাড়ি
১৯ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত সাদা জামদানী তৈরি হতো। “শাড়ীর পাড়ে কালো সাদা রঙের কাজ সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর হতো ও জমিন সাদা থাকত। এবং এটাই ছিল প্রকৃত নমুনা।” তাঁর সময়েই, ধরা যেতে পারে বিশ শতকের শুরু থেকে ডেমরা জামদানী তৈরির কেন্দ্র হয়ে ওঠে এবং ফেরিওলারা ফেরি করে জামদানী বিক্রি শুরু করে [মসলিন জামদানী নয়, উৎকৃষ্ট সুতার।
রঙিন জামদানীর প্রবর্তন করেন নওয়াব সলিমুল্লাহর স্ত্রী জান্নাত আরা। লিখেছেন হাকিম, “গত শতকের ত্রিশ চল্লিশ দশকে রঙিন ও জরির তারের জামদানী তৈরি হতে লাগল বরং এক তার রেশম ও এক তার সুতা মিশিয়ে যে জামদানী থান এবং শাড়ীসমূহ তৈরি হলো তা অনেক জনপ্রিয় হল।
রুপগঞ্জে জামদানীর হাট
কিন্তু এ সমস্ত নওয়াব জান্নাত আরা বেগম সলিমুল্লাহ মরহুমের রুচি অনুযায়ী ছিল যা তাঁরাই বিভিন্ন রঙের জমিনের উপর বিভিন্ন রঙের বুটা নিজের নকশা ও নমুনা অনুযায়ী তৈরি করালেন এবং সবচেয়ে প্রথম তারাই রঙিন জামদানীর ব্যবহার আরম্ভ করলেন। ”
(চলবে)
পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৪১)