০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
সাইমন গ্রুট: বদলে দিয়েছেন, পাটশাক, কাঁকড় শাক, মুগ ডাল, মুলা সহ এশিয়ার অনেক সবজী   প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৪২) মিয়ানমার দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক, মানবিক ও নিরাপত্তা সংকটে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে: আইন উপদেষ্টা সৌদি আরবের ‘ঘুমন্ত প্রিন্স’ আল ওয়ালিদ বিন খালেদ-এর দুই দশক পর মৃত্যুবরণ ‘আগুন ধরা প্লেনটা আমার চোখের সামনেই বিল্ডিংয়ে আঘাত করছে’ বিবিসিকে বললেন প্রত্যক্ষদর্শী এশিয়ায় বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের জন্য বদলে যাওয়া নিয়ম হিউএনচাঙ (পর্ব-১৫২) টিকটকে ব্যর্থ প্রচারণা ও জাপানে রাজনীতির রূপান্তরকাল বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় ভবনে বাচ্চাদের ক্লাস চলছিল

মস্তিষ্ক-কম্পিউটার সংযোগ প্রযুক্তিতে চীনের চিকিৎসাখাতে দুরন্ত অগ্রগতি

  • Sarakhon Report
  • ১০:০০:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
  • 80

চিন্তা করলেই যদি হাত-পা চলে, কিংবা মস্তিষ্কের সংকেতেই যদি বোঝা যায় অসুস্থতার গোড়াটা কোথায়—তবে চিকিৎসার কাজটা অনেক সহজ হয়ে আসবে। চীনে সেই কল্পনাই বাস্তব হচ্ছে ‘ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস’ বা বিসিআই প্রযুক্তির মাধ্যমে। চিকিৎসা থেকে প্রযুক্তি ও ভোক্তা খাত—সবখানেই বাড়ছে এই প্রযুক্তির ব্যবহার। বাজারে এর প্রবৃদ্ধিও বিস্ময়কর। ২০২৪ সালে এই বিসিআই প্রযুক্তির বাজার ছিল ৩২০ কোটি ইউয়ান। ২০২৭ সালের মধ্যে এ বাজার ৫৫০ কোটি ইউয়ান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চায়না সেন্টার ফর ইনফরমেশন ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট-এর গবেষণা কর্মকর্তা হুয়াং ওয়েনহোং জানালেন, ‘বিসিআই প্রযুক্তিতে নানা উদ্ভাবনী অর্জন ঘটছে। চিকিৎসা ছাড়াও শিল্প, শিক্ষা ও ভোক্তা খাতে এর ব্যবহার বাড়ছে। এই বিস্তৃত ব্যবহারই বাজারকে আরও সম্প্রসারিত করবে।’

তবে এই প্রযুক্তির মূল চ্যালেঞ্জ হল মানুষের মস্তিষ্ক থেকে আসা জটিল বৈদ্যুতিক সংকেতগুলোকে সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করে কার্যকর নির্দেশনায় রূপান্তর করা।
শানতোং প্রদেশের চিনানে একটি গবেষণাগারে দেখা গেল, পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক রোগী শুধু চিন্তা করেই চালাতে পারছেন এক্সোস্কেলেটন—যা দিয়ে তিনি হাঁটছেন, পা তুলছেন।

চংখ্য অ্যাডভান্সড টেকনোলজি কোম্পানির প্রকৌশলী ওয়াং শংচ্য জানালেন, ‘আমরা ইইজি ক্যাপ ও ইলেকট্রোড ব্যবহার করে মস্তিষ্কের বেশ সূক্ষ্ম সিগন্যাল বের করি, তারপর তা আমাদের নিজস্ব তৈরি অ্যাম্প্লিফায়ারে পাঠাই। সফটওয়্যারে সেই সিগন্যাল বিশ্লেষণ করে বুঝতে পারি রোগী কী ভাবছেন, এরপর সেই অনুযায়ী চিকিৎসায় সহায়তা করি।’

ছেংতু শহরের একটি মেডিকেল গবেষণাগারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই প্রযুক্তির সাহায্যে বিসিআই উন্নয়নের কাজ চলছে। উদ্দেশ্য—বিসিআই যেন সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে আসে।

গবেষকরা জানালেন, তারা এআই ব্যবহার করে বিসিআই প্রযুক্তিকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চান। এ সেবাটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে এটাই তাদের লক্ষ্য।

সম্প্রতি ছেংতুর ওয়েস্ট চায়না হাসপাতালে সার্জনরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে এক রোগীর ব্রেইন টিউমার অপসারণ করেছেন। বিসিআইর সাহায্যে নিউরন সিগন্যাল বিশ্লেষণ করে সুস্থ কোষ আর টিউমার কোষ আলাদা করতে পারি, এতে অনেক বেশি নিখুঁতভাবে টিউমার অপসারণ করা যায়।

মানবমস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারের সরাসরি সংযোগ—এ যেন এক নতুন ভবিষ্যৎ। আর সেই ভবিষ্যতের দ্বার খুলে দিচ্ছে চীনের চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন জানালা।

সিএমজি বাংলা

সাইমন গ্রুট: বদলে দিয়েছেন, পাটশাক, কাঁকড় শাক, মুগ ডাল, মুলা সহ এশিয়ার অনেক সবজী  

মস্তিষ্ক-কম্পিউটার সংযোগ প্রযুক্তিতে চীনের চিকিৎসাখাতে দুরন্ত অগ্রগতি

১০:০০:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

চিন্তা করলেই যদি হাত-পা চলে, কিংবা মস্তিষ্কের সংকেতেই যদি বোঝা যায় অসুস্থতার গোড়াটা কোথায়—তবে চিকিৎসার কাজটা অনেক সহজ হয়ে আসবে। চীনে সেই কল্পনাই বাস্তব হচ্ছে ‘ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস’ বা বিসিআই প্রযুক্তির মাধ্যমে। চিকিৎসা থেকে প্রযুক্তি ও ভোক্তা খাত—সবখানেই বাড়ছে এই প্রযুক্তির ব্যবহার। বাজারে এর প্রবৃদ্ধিও বিস্ময়কর। ২০২৪ সালে এই বিসিআই প্রযুক্তির বাজার ছিল ৩২০ কোটি ইউয়ান। ২০২৭ সালের মধ্যে এ বাজার ৫৫০ কোটি ইউয়ান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চায়না সেন্টার ফর ইনফরমেশন ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট-এর গবেষণা কর্মকর্তা হুয়াং ওয়েনহোং জানালেন, ‘বিসিআই প্রযুক্তিতে নানা উদ্ভাবনী অর্জন ঘটছে। চিকিৎসা ছাড়াও শিল্প, শিক্ষা ও ভোক্তা খাতে এর ব্যবহার বাড়ছে। এই বিস্তৃত ব্যবহারই বাজারকে আরও সম্প্রসারিত করবে।’

তবে এই প্রযুক্তির মূল চ্যালেঞ্জ হল মানুষের মস্তিষ্ক থেকে আসা জটিল বৈদ্যুতিক সংকেতগুলোকে সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করে কার্যকর নির্দেশনায় রূপান্তর করা।
শানতোং প্রদেশের চিনানে একটি গবেষণাগারে দেখা গেল, পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক রোগী শুধু চিন্তা করেই চালাতে পারছেন এক্সোস্কেলেটন—যা দিয়ে তিনি হাঁটছেন, পা তুলছেন।

চংখ্য অ্যাডভান্সড টেকনোলজি কোম্পানির প্রকৌশলী ওয়াং শংচ্য জানালেন, ‘আমরা ইইজি ক্যাপ ও ইলেকট্রোড ব্যবহার করে মস্তিষ্কের বেশ সূক্ষ্ম সিগন্যাল বের করি, তারপর তা আমাদের নিজস্ব তৈরি অ্যাম্প্লিফায়ারে পাঠাই। সফটওয়্যারে সেই সিগন্যাল বিশ্লেষণ করে বুঝতে পারি রোগী কী ভাবছেন, এরপর সেই অনুযায়ী চিকিৎসায় সহায়তা করি।’

ছেংতু শহরের একটি মেডিকেল গবেষণাগারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই প্রযুক্তির সাহায্যে বিসিআই উন্নয়নের কাজ চলছে। উদ্দেশ্য—বিসিআই যেন সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে আসে।

গবেষকরা জানালেন, তারা এআই ব্যবহার করে বিসিআই প্রযুক্তিকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চান। এ সেবাটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে এটাই তাদের লক্ষ্য।

সম্প্রতি ছেংতুর ওয়েস্ট চায়না হাসপাতালে সার্জনরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে এক রোগীর ব্রেইন টিউমার অপসারণ করেছেন। বিসিআইর সাহায্যে নিউরন সিগন্যাল বিশ্লেষণ করে সুস্থ কোষ আর টিউমার কোষ আলাদা করতে পারি, এতে অনেক বেশি নিখুঁতভাবে টিউমার অপসারণ করা যায়।

মানবমস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারের সরাসরি সংযোগ—এ যেন এক নতুন ভবিষ্যৎ। আর সেই ভবিষ্যতের দ্বার খুলে দিচ্ছে চীনের চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন জানালা।

সিএমজি বাংলা