গুপ্তযুগে এদেশের শিল্পের যে কতটা উন্নতি হয়েছিল, হিউএনচাঙের মত গোঁড়া বৌদ্ধের মুখে এ কথায় তা কতক বোঝা যায়। মুসলমান ধ্বংসকারীদের দৌরাত্ম্যে কাশীতে এসব ভাস্কর্যের আর শিল্পের এখন চিহ্নমাত্রও অবশিষ্ট নেই।
হিন্দুদের কাশী দেখে হিউএনচাঙ বৌদ্ধকাশী অর্থাৎ ‘মুগদাব’তে (সারনাথে) গিয়ে দিনকতক বাস করলেন। বোধিলাভ করবার পর বৃদ্ধ প্রথমে এইখানেই এসে পঞ্চ-শিষ্যের কাছে তাঁর বাণী প্রচার করেন। হিউএনচাঙ অবশ্য অশোকস্তম্ভের উল্লেখ করেছেন।
তাছাড়া বুদ্ধ এখানে এসে যে পুষ্করিণীতে স্নান করতেন, যেখানে কাপড় ধুতেন, যেখানে নিজের ভিক্ষাপাত্র পরিষ্কার করতেন ইত্যাদি সমস্ত জায়গাই সে সময়ে সযত্নে রক্ষিত হত। এই মৃগদাবতে একটা প্রকাণ্ড মঠ ছিল। এখানে হীনযানমতের পনর হাজার জন ভিক্ষু থাকতেন।
(চলবে)